বিদেশে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় আছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বমানের শিক্ষা অর্জনে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে শিক্ষার্থীদের। সেই তালিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। দেশটিতে স্কলারশিপের এমনও সুযোগ রয়েছে যাতে পড়াশোনা তো বিনা মূল্যেই, বরং সরকার উল্টো মাসে মাসে টাকা দেবে। সরকারি-বেসরকারি এসব শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে বর্তমানে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করছেন।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তি যেমন রয়েছে, তেমন অস্ট্রেলিয়ার সরকারের নিজস্ব শিক্ষাবৃত্তিও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের দেওয়া তেমনি একটি স্কলারশিপ হচ্ছে ‘রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি)’। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা এবং পিএইচডি স্নাতকোত্তরে আগ্রহী বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর ২০২৪।
প্রতিবছর স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিভিন্ন ডিগ্রির জন্য এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত মাস্টার্সের জন্য দুই বছর ও পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ চার বছরের এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওশেনিয়ার প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাস ক্যাম্পারডাউন এবং ডার্লিংটন শহরতলিতে অবস্থিত। ১৬টি অনুষদ এবং স্কুল নিয়ে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
সুযোগ–সুবিধাসমূহ
সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, আবাসন ব্যবস্থাসহ, মাসিক হাতখরচ, গবেষণামূলক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ—সব মিলিয়ে বাৎসরিক ৪০,১০৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ( বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৮ টাকা ) প্রদান করা হবে ।
আবেদনের যোগ্যতাসমূহ
* আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে ।
* একাডেমিকভাবে ভালো ফলাফল থাকতে হবে এবং গবেষণা পরিচালনার যোগ্যতা থাকতে হবে ।
* বর্তমানে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণা বা পিএইচডি স্নাতকোত্তরের অফার লেটার থাকতে হবে ।
* গবেষণায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
* ইংরেজি দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। আইএলটিএস এ ন্যূনতম ৬.৫ পেতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
* আবেদনকারীর পাসপোর্ট এবং ছবি।
* একাডেমিক পেপারস।
* মোটিভেশন লেটার।
* রিসার্চ প্রপোজাল।
* রেফারেন্স লেটার।
* আবেদনকারীর সিভি।
* আইএলটিএস একাডেমিক স্কোর বা টোয়েফল স্কোর।
আবেদন প্রক্রিয়া:
আনলাইনে আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন