শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন

স্থল সীমান্ত বন্ধ সত্ত্বেও কানাডায় শরনার্থীর ঢল

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্র থেকে শরনার্থীদের ঢেউ বন্ধ করতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে কানাডা। প্রথমদিকে দ্রুত সাফল্যও আসে। সীমান্ত পাড়ি দেওয়া লোকদের ধরা পড়া লক্ষণীয় হারে কমে যায়।

কিন্তু পাঁচ মাস পর শরনার্থীর দাবিতে লোকজনের পাড়ি জমানো না কমে উল্টো বেড়ে যায়। এদের অনেকেই আকাশপথে আসছেন। বাকিরা আসছেন স্থল সীমান্ত দিয়ে এবং শরনার্থীর আবেদন করার আগ পর্যন্ত তারা লুকিয়ে থাকছেন। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছেন।

সংখ্যাটিই বলে দিচ্ছে বেপরোয়া লোকদের জন্য দরজা বন্ধ করা দেশগুলোর জন্য কতটা কঠিন। অপ্রত্যাশিত সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে সেটাও দৃশ্যমান হয়েছে। বিছানা না পেয়ে এই গ্রীষ্মে বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী টরন্টোর রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন।

সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া যে সমস্যার সমাধান নয় এটাই মূল বাস্তবতা। এতে কেবল আশ্রয়প্রার্থীদের আরও বেশি বেপরোয়া করেই তুলবে।

কানাডা অভিবাসীদের স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের গর্বিত মনে করে এবং চরম শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ লাখ অভিবাসীকে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এতে শরনার্থীর আবেদনকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিক এক চুক্তির মাধ্যমে। চুক্তির আওতায় উভয় দেশই শরনার্থী প্রত্যাশীদের ফেরত পাঠাচ্ছে।

কেবল গত বছরই অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ৩৯ হাজারের বেশি আশ্রয়প্রার্থী কানাডায় প্রবেশ করেছেন। এদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের রক্সাম রোডের বাইরে নোংরা পথ দিয়ে কুইবেকে প্রবেশ করেছেন। এর ফলে এটা যে তারা ব্যবস্থাপনা করতে পারবে না সেই অভিযোগও করতে হয়েছে প্রদেশটিকে। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ এবং বেশি সংখ্যায় গ্রহণ করার ব্যাপারে কানাডার সুনামের কারণেই দেশটির প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে শরনার্থী প্রত্যাশাীরা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com