যে কয়টি দেশ উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে তার মধ্যে জার্মানি অন্যতম। জ্ঞান, বিজ্ঞান ও পযুক্তিতে জার্মান জাতি অনেক উন্নত। এখানকার শিক্ষার মান আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন। এদেশে উচ্চ শিক্ষার অন্যতম সুবিধা হলো এখানে কোন প্রকার টিউশন ফি লাগে না।
শিক্ষা ব্যবস্থা:
জার্মানিতে ব্যাচেলরস, মাস্টার্স, ডক্টোরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া ডিপ্লোমা করারও ব্যবস্থাও আছে। এখানকার বিশ^ বিদ্যালয়গুলোতে বছরে ২ সেমিস্টারে ভর্তির সুযোগ থাকে। সামার আর উইন্টার সেমিস্টার।এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সামার সেমিস্টার এবং অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত উইন্টার সেমিস্টারে ভর্তি করা হয়।ইদানিং বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়ার জন্য জার্মানির বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পড়তে যাচ্ছে।
ভর্তির জন্য যোগ্যতা:
১। আন্ডার গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য এস এস সি এবং এইচ এস সিতে কমপক্ষে জিপিএ ৩.৫ পেতে হবে।
২। গ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ডিগ্রিতে কমপক্ষে জিপিএ ৯.০০ থেকে ৩.৫ পেতে হবে।
৩। আই এল টি এস এ ৬.৫ থেকে ৭.০০ পেতে হবে।
৪। রিকমেন্ডেশন লেটার (শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে)
৫। পূরনকৃত ভর্তির আবেদনপত্র।
৬। মূল পাসপোর্ট এবং ফটোকপি।
৭। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাবেন সেখান থেকে ইস্যুকৃত লেটার অব এ্যাকসেপ্টেন্স।
৮। আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমান।
টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ:
এদেশে উচ্চ শিক্ষার্থে সরকারি বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে কোন টিউশন ফি লাগে না। তবে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে প্রতি সেমিস্টারে ৫০০ থেকে ৫৫০ ইউরো প্রয়োজন হয়।এছাড়া থাকা, খাওয়া, বইপত্র ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৬০০ থেকে ৭০০ ইউরো খরচ হতে পারে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা খন্ডকালীন চাকরি করতে পারে। সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি আছে। তবে সামারে ৩ মাস ছুটিতে ফুলটাইম কাজ করা যায়।
ভর্তির আবেদন ও ভিসা
জার্মান বিশ^বিদ্যালয় ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ সঠিকভাবে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ভাষাগত যোগ্যতা: জার্মান বা ইংরেজি ভাষার টেস্ট স্কোর, পাসপোর্টের ফটোকপি সহ আবেদন করতে হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য জার্মান দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারেন।
জার্মান দূতাবাস
১৭৮ গুলশান এভিনিউ
গুলশান-২