আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে সুইজারল্যান্ডের ইটিএইচ জুরিখ ইউনিভার্সিটি। “ইটিএইচ জুরিখ এক্সিলেন্স স্কলারশিপ”-এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের এই স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩।
ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে অন্যতম সেরা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইটিএইচ জুরিখ ইউনিভার্সিটি।ইটিএইচ জুরিখ, সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। একে মাঝে মাঝে Swiss Federal Institute of Technology নামে ডাকা হয়। এর মূল জার্মান নাম হচ্ছে Eidgenössische Technische Hochschule Zürich (ETHZ)। এই প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তরের অধিভুক্ত।
বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায় এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি দৃঢ় বন্ধন তৈরি করার উদ্দেশ্য ১৮৫৪ সালে সুইস ফেডারেল গভর্নমেন্ট এটি তৈরি করে। যার প্রধান লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীদেরকে এক্সিলেন্স ইন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ন্যাশনাল সেন্টার হিসেবে শিক্ষা প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার্থীদের মুক্তমনা চিন্তাকে সমর্থন এবং উদ্যোক্তা মনোভাবকে উৎসাহিত করে।
* সম্পূর্ণ টিউশন ফি প্রদান ।
* জীবনযাপন ও অধ্যয়নের খরচ বাবদ প্রতি সেমিস্টারে CHF 12,000 সুইস ফ্রাঙ্ক (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা) ।
* টিউশন ফি ওয়েভার।
মাস্টার্স প্রোগ্রামের (তিন বা চার সেমিস্টার) নিয়মিত সময়ের জন্য বৃত্তি প্রদান করা হয়।
যোগ্যতাসমূহঃ-
* স্নাতক ডিগ্রীধারী হতে হবে।
* একাডেমিক ফলাফল হতে হবে।
* আবেদনকারীকে মাস্টার্সের থিসিসের বিষয়ের ওপর প্রপোজাল জমা দিতে হবে।
* যদি কোনো শিক্ষার্থী আগে এই অ্যাওয়ার্ড নিয়ে থাকেন কিংবা মাস্টার্স ডিগ্রিধারী হন তাহলে আবেদনের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
* ইংরেজি কিংবা জার্মান ভাষা জানতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ-
* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সার্টিফিকেট।
* অ্যাপ্লিকেশন ফরম।
* সিভি, পাসপোর্টের কপি।
* রিসার্চ প্রপোজাল।
* মোটিভেশন লেটার।
* রেফারেন্স লেটার।
* ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট।
* ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট ।
বাছাই প্রক্রিয়াঃ-
প্রথমেই আবেদনপত্রগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়া কমিটি দ্বারা বাছাই করা হবে। সাধারণত ফান্ডের উপর ভিত্তি করে বার্ষিক শিক্ষাবৃত্তিগুলো দেয়া হয়ে থাকে। আপনার সিজিপিএ, আর্থিক অবস্থাসহ সবকিছু বিবেচনা করে এক্সিলেন্স মাস্টার্স স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মার্চের মাঝামাঝি সময়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
আবেদন প্রক্রিয়াঃ-
অনলাইনে আবেদন করা যাবে।