যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৩০টির মতো নিবন্ধিত উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বহুল পঠিত লাইব্রেরি, ব্রিটিশ লাইব্রেরি। কিন্তু পড়াশোনার খরচের বহর দেখে অনেকের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। আবার অনেকে মনে করেন যুক্তরাজ্যের স্কলারশিপগুলো খুব প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এ জন্য তাঁরা আবেদনই করেন না। কিন্তু যুক্তরাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে স্কলারশিপের সুব্যবস্থা। তেমনি একটি স্কলারশিপ হলো গ্রেট স্কলারশিপ।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাজ্যের এই সম্মানজনক স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয়েছে। এই বৃত্তির আওতায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে আবেদনের সময়ের ভিন্নতা রয়েছে। যুক্তরাজ্য সরকারের গ্রেট ব্রিটেন ক্যাম্পেইন ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদানে এই গ্রেট স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ”ফাইন্যান্স, মার্কেটিং, বিজনেস, সাইকোলজি ডিজাইন, হিউম্যানিটিজ, ডান্সসহ অন্য বিষয়ে এ বছর যুক্তরাজ্যের ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর করার ক্ষেত্রে ১৫টি গ্রেট স্কলারশিপের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
সুযোগ-সুবিধাসমূহঃ-
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এক বছরের স্নাতকোত্তর কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে টিউশন ফি হিসেবে প্রতিটি গ্রেট স্কলারশিপের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড অনুদান দেওয়া হবে। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৪১ টাকা।
যোগ্যতা:
* অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
* স্নাতক ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। প্রস্তাবিত বিষয়ে আগ্রহ থাকতে হবে।
* যুক্তরাজ্যের হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউশনের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে।
* ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
* যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্রেট স্কলারদের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ারের মানসিকতা থাকতে হবে।
* ব্রিটিশ কাউন্সিল ও তাদের হায়ার এডুকেশন ইন্সটিটিউশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং গ্রেট স্কলারশিপের একজন দূত হিসেবে কাজ করতে হবে
আবেদন প্রক্রিয়া:
আনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীকে গ্রেট স্কলারশিপ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে।