নিউজিল্যান্ডের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলরস ইন্টারন্যাশনাল এক্সেলেন্স স্কলারশিপ নামের এই বৃত্তির জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনলাইনে এই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
এই বৃত্তির আওতায় ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে থাকা যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে।
যোগ্যতা
স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের জন্য স্নাতকে ভালো ফল থাকতে হবে। ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। মেধার ভিত্তিতে এই বৃত্তি দেওয়া হয়। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সনদ থাকতে হবে।
সুযোগ-সুবিধা
এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা (১৫ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার)।
আবেদন যেভাবে
প্রথমে আবেদনকারীদের ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এ জন্য ভর্তির আবেদন করতে হবে। এই লিংকে যে বিষয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক, তার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে।ভর্তির আবেদন গ্রহণ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার নিয়ে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়াইকাটো বিশ্ববিদ্যালের ওয়েবসাইটের এই লিংকে গিয়ে Next Step-এ ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। এই লিংকে বৃত্তির বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
আপনি যদি ফুল টাইম শিক্ষার্থী হিসেবে নিউজিল্যান্ড পড়তে যেতে চান, তবে ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে অবশ্যই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তার লিখিত প্রমাণপত্র এবং ভর্তি ফি জমা দেয়ার রিসিট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য জমা দিতে হবে ভিসার আবেদনের জন্য।
যদি ৩ মাসের কম সময়ের কোনো কোর্সের জন্য যেতে চান তবে ভ্রমণের ভিসাতেই যেতে পারবেন। যদি তিন মাসের চেয়ে বেশি দিনের জন্য কোনো প্রফেসনাল কোর্সে ভর্তি হয়ে পড়তে যেতে চান তবে অবশ্যই স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে হবে আপনাকে।
বাংলাদেশে নিউজিল্যান্ডের হাই কমিশন না থাকায় ভারতের মুম্বাই অথবা কোলকাতায় নিউজিল্যান্ডের ভিসা প্রোসেসিং অফিসে ভিসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর জন্য যোগাযোগ করতে হবে। তাই বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে চাইলে ভারতের মুম্বাই অথবা কোলকাতায় অবস্থিত নিউজিল্যান্ডের ভিসা সংক্রান্ত অফিসের আপনার আবেদন পত্র জমা দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আগেই বলা হয়েছে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের হাই কমিশনের অফিস নেই তাই বাংলাদেশীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে হলে কোলকাতার কিংবা মুম্বাইয়ের নিউজিল্যান্ডের ভিসা প্রোসেসিং অফিসে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করলে আবেদনের জন্য $২৭০ মার্কিন ডলার জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট বাংলাদেশ থেকে ভারতের হাই-কমিশনে পৌঁছে দেওয়ার ফি হিসেবে বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য ১৩৭৪ ভারতীয় রুপির অথবা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৭২৭ টাকা টিটি সার্ভিসের (টেলি ট্রান্সপোর্ট) মাধ্যমে পাঠাতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড
ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড অথবা ইউনিয়ন-পে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারেন।
ডেবিট কার্ড
ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড অথবা ইউনিয়ন-পে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারেন।
স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য সাধারণত দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কতো দিন সময় লাগবে তা আবেদনকারীর তথ্য যাচাই এবং তথ্য মূল্যায়নের উপর নির্ভর করে। তবে সাধারণত কত দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হতে পারে তা আবেদনের সময় জানিয়ে দেয়া হয়।
ভিসা আবেদনের জন্য ছবি:
আরো বিস্তারিত অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিতে পারেন।
-স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন যে কোনো বয়সের শিক্ষার্থীই করতে পারে।
-স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নিউজিল্যান্ড পড়তে গেলেও আপনি পড়ার ফাঁকে কাজ করার অনুমতি পাবেন। প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা করে স্টুডেন্টদের জন্য কাজ করার অনুমতি দেওয়ার নিয়ম আছে নিউজিল্যান্ডে।
-নিউজিল্যান্ডে কাজ করতে হলে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হবে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ইতিহাস আছে এমন কারো জন্য নিউজিল্যান্ডের ভিসা দেওয়া হয় না।
-ভিসার জন্য শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার প্রমাণপত্র হিসেবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে।
-ভিসা হয়ে যাবার পর যে কোনো সময় আপনি নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করতে পারবেন।
-ভিসার মেয়াদ সাধারণত কোর্সের মেয়াদ যতদিন ততদিনের জন্য দেয়া হয়। কোর্সের মেয়াদ কোনো কারণে বর্ধিত হলে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অফিসে গিয়ে রিনিউ করে নিতে হবে।
-কোর্সের মেয়াদ শেষ হলে যদি আরো কিছুদিন থাকতে চান তবে সব শর্ত পূরণ করলে রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
-অবশ্যই হেলথ ইন্সুরেন্স থাকতে হবে যতদিন আপনি শিক্ষার্থী হিসেবে নিউজিল্যান্ড থাকবেন। বেআইনি কোনো কিছু করলে পরবর্তীতে নিউজিল্যান্ড প্রবেশ করবার সমস্ত অধিকার হারাতে হতে পারে।
আরো জানার জন্য নিউজিল্যান্ড অভিবাসন ওয়েবসাইটে ঘুরে আসতে পারেন।