1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
সৌন্দর্যে পাগল করে বাধ্য করত যৌনকর্মে, বানাত নিজের গোলাম
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

সৌন্দর্যে পাগল করে বাধ্য করত যৌনকর্মে, বানাত নিজের গোলাম

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল ক্যাট টোরেস। সামাজিক মাধ্যমেও তার রয়েছে ব্যাপক ফ্যান-ফলোয়ার্স। এই মডেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, এই সুযোগে তিনি ভক্তদের সঙ্গে করতেন প্রতারণা। এমনকি জোরপূর্বক যৌনতায় লিপ্ত হতেও বাধ্য করেছেন একাধিক নারী ভক্তকে। তাদের তিনি ক্রীতদাসের মতো খাটাতেন। চাঞ্চল্যকর সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার কারণে ৮ বছর জেল হয়েছে ব্রাজিলিয়ান এই মডেলের।

মাঝে গুজব ছড়ায় টাইটানিক খ্যাত লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিওর সঙ্গেও নাকি সম্পর্ক তার সম্পর্ক ছিল। এ কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ভক্তের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল।

প্রতারিত নারীরা জানান, টোরেসের বিলাসবহুল জীবনে আকৃষ্ট হয়েছিলেন তারা। মূলত তারা এমন একজন বন্ধুর সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলেন, যিনি নিয়মিত হলিউড তারকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আনা নামের এক তরুণী জানান, টোরেসের প্রতি মুগ্ধতায় তিনি আচ্ছন্ন ছিলেন। তাই তিনি এ মডেলের বাড়িতে মাত্র ২০০০ ডলারের বিনিময়ে রান্না, পোশাক পরিচ্ছন্ন করার কাজ এবং পোষা প্রাণী দেখভালের কাজে যোগ দেন। চব্বিশ ঘণ্টা টোরেসের ফরমায়েশে খাটতে হতো। কেবল কয়েক ঘণ্টা ঘুমের জন্য ছুটি দেওয়া হতো তাকে।

তুমুল অত্যাচারে আনা একবার পালিয়ে গেলে ডেজিরি এবং লেটিসিয়া নামের দুইজন নারীকে ভাড়া করেন টোরেস। তাদেরকে তার নিজের টেক্সাসের বাড়িতে রেখে ডেজিরি এবং লেটিসিয়াকে স্থানীয় স্ট্রিপ ক্লাবে কাজ করতে চাপ দেন। টোরেস ওই ক্লাবে ‘জাদুবিদ্যার’ অনুষ্ঠান করতেন।

তারা আরও জানান, ডেজিরি এবং লেটিসিয়ার নিজেদের মধ্যে কথা বলাও বারণ ছিলো। ঘর থেকে বের হতে গেলে টোরেসের অনুমতি নিতে হতো। এমনকি বাথরুমে যেতে গেলেও ক্যাটের অনুমতি লাগতো। এরপর ডিজায়ারকে বেশ্যাবৃত্তিও করতে হয়। আমেরিকান নিবাসী মডেল টোরেস তাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জনের লক্ষ্য দিতো। তা পূরণ করতে না পারলে রাতে বাড়ি ফেরার অনুমতি ছিলো না তার। এর ফলে অনেকদিন তাকে রাস্তায় ঘুমিয়েও কাটাতে হয়েছে।

ঘটনাক্রমে এভাবেই টোরেসের জালে একাধিক নারী ভক্ত জড়ান বলে অভিযোগ করা হয়। জানা যায়, জনপ্রিয় এই মডেলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে এর সত্যতা পায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন রা হয়।

জানা যায়, জনপ্রিয় এই মডেলের বিরুদ্ধে অন্তত ২০ জন নারী মুখ খুলেছেন। অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে এর সত্যতা পায় আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com