গায়ে জুব্বা মাথায় সৌদি পাগড়ি, সাম্বার বদলে আরব নাচ। কখনও কি চিন্তা করেছেন এক সময়ের ইউরোপ মাতানো ফুটবলার নেইমার জুনিয়রকে দেখবেন এই রুপে? এর আগে সৌদি আরবকে সারাবিশ্বের সামনে তুলে ধরতে নেইমারের মতো বেশে দেখা গেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সাদিও মানে ও অ্যালেক্স তেলেসের মতো তারকাদের।
প্রতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব নিজেদের জাতীয় দিবস পালন করে। এবার দেশটির ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমারসহ একাধিক তারকাকে সৌদির ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও নাচে দেখা গেছে।
সৌদি আরব শুধু ফুটবল লিগ নয়, নিজেদের ঐতিহ্য-ইতিহাসকেও বিশ্বের বুকে তুলে ধরার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে বিদেশি ফুটবলারদের নিজেদের ঐতিহ্যের আবাহনে যুক্ত করেছে। আর ইউরোপীয় তারকারাও বেশ সানন্দে সেই আবাহনে সাড়া দিয়ে উৎসবে মেতেছেন।
এ দিন আল-হিলালের প্রাঙ্গনে নেইমারদের আনন্দ-উৎসব শুরু হয়। এক ভিডিওতে দেখা যায়, তারকা ফুটবলাররা সৌদির ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেখানকার মানুষের সঙ্গে প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি করে আইকনিক অর্ধা নাচ করছেন। সেই নাচে নেইমারসহ তার সতীর্থরাও যোগ দিয়েছেন। আর প্রত্যেকের পরনে রয়েছে থোবে (ঐতিহ্যবাহী পোশাক), শেমাঘ (মাথার স্কার্ফ) এবং আকাল (মাথার রিং)।
এ দিকে আল-হিলালের মতো রোনালদোর আল-নাসরেও ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। নেইমারের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে ছিলেন রোনালদো। পর্তুগিজ তারকা শুধু নাচই নয়, ‘যুদ্ধাংদেহী’ হয়ে তলোয়ার হাতে পুরো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার সঙ্গে ছিলেন সতীর্থ আবদুল্লাহ আল খাইবারি, মার্সেলো ব্রোজোভিক ও সুলতান আল ঘানাম।
নিজেদের ফুটবলকে এক অনন্য উচ্চতায় নিতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে যাচ্ছে সৌদি আরব। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্বের বড় বড় তারকাদের নিজেদের লিগে ভেড়াচ্ছে তারা। শুরুটা করেছে রোনালদোকে দিয়ে। ইউরোপের পাঠ চুকিয়ে গত বছর সৌদিতে পাড়ি জমান জনপ্রিয় এ তারকা। তার দেখাদেখি পরবর্তীতে একে একে দেশটিতে পাড়ি দিয়েছেন করিম বেনজেমা, নেইমার জুনিয়র, সাদিও মানের মতো তারকারা।