দেশের বহুল প্রত্যাশিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প কাজের অগ্রগতি ২৪ জুন পর্যন্ত প্রায় ৮৭ ভাগ ছাড়িয়েছে। কাজের অগ্রগতির এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেই সাথে কালুরঘাটের পুরনো রেল সেতুর উপর দিয়ে সেপ্টেম্বরেই স্বপ্নের ট্রেন যাবে কক্সবাজারে।
ইতোমধ্যে রেলপথ প্রকল্পের কাজ অফিসিয়ালি ৮২ কিলোমিটার রেলপথ দৃশ্যমান বলা হলেও কক্সবাজার অংশে ইতোমধ্যে ৫০ কিলোমিটার এবং দোহাজারী অংশে ৩৭ কিলোমিটার রেলপথ দৃশ্যমান বলে নিয়োজিত ঠিকাদাররা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহার পরেই শুরু হচ্ছে কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর উপরে নির্মিত পুরনো সেতু উন্নীতকরণের কাজ। একই সময়ের মধ্যেই চালু হচ্ছে সওজের নতুন নির্মিত ফেরি সার্ভিস বলেন, সওজ চট্টগ্রামের প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।
অপর দিকে চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু জাফর মিঞা বলেন পুরনো রেলসেতু উন্নীত করণের জন্য ৪৩ কোটি টাকায় দরপত্র মোতাবেক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন পবিত্র ঈদুল আজহার পরেই ঠিকাদার রেলসেতু উন্নীতকরণ কাজ শুরু করবে।
সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, কালুরঘাট সেতু উন্নীতকরণ কাজ শুরু করার সময়ে রেলসেতু বন্ধ করা হবে তার আগেই ও সড়কে বর্তমান চলাচলরত যানবাহনের চাপ ( ট্রাফিক ভলিউম ) হ্রাস করার জন্যই সেতুর পাশে নতুন ফেরি সার্ভিস করা হবে।
প্রসঙ্গত, রেলওয়ের পুরনো সেতুর পাশে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত পুরনো কালুরঘাটি সেতুর উপর দিয়েই চলাচল করবে বহুল প্রত্যাশিত দোহাজাজারী-কক্সবাজার রেলপথের ট্রেন সার্ভিস।
সে কারণে পুরনো কালুরঘাট রেলসেতুটির বর্তমান লোড ক্যাপাসিটি প্রতি এক্সেলে ১২ মেট্রিক টন থেকে প্রায় ১৫ মেট্রিক টনের কাছাকাছি উন্নীতকরণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দোহাজারী-কক্সবাজার ভায়া ঘুনধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। দেশের বহুল প্রত্যাশিত ও দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প সিঙ্গেল ট্র্যাক ডাবলগ্যাজ (মিটারগ্যাজ বা এমজি যার প্রতি এক্সেলে লোড ক্যাপাসিটি হবে ১৫ মেট্রিক টন আর ব্রডগ্যাজ বা বিজি যার প্রতি এক্সেল লোড ক্যাপাসিটি ২৫ মেট্রিক টন)।
জানা গেছে, দোহাজারী-কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমারের সীমানার ঘুমধুুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে আসছে ৪ হাজার ৯১৯ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং এডিবির ঋণ ১৩ হাজার ১১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
রেলপথ প্রকল্পের প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের কাজ সন্তোষজনকভাবে দ্রুত এগিয়ে চলছে। এ পর্যন্ত সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি হয়েছে অফিসিয়ালি ৮৬ ভাগ। সে কারণে তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বহুল প্রত্যাশিত রেলপথ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের আশা করেছেন।