আমাদের পরিবেশ ও প্রকৃতিপ্রেমীরা আরো একটি যুক্তি দাঁড় করাচ্ছেন, সেটি হল সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন বাধাঁগ্রস্থ হওয়া। এটিও একটি অমূলক ধারণা। কারণ সামুদ্রিক কচ্ছপেরা ডিম পাড়ার আগে উপযুক্ত যায়গার সন্ধান পেতে শত শত মাইল পথ পাড়ি দিতে পারে। সেন্টমার্টিনে সুবিধা করতে না পারলে ডিম পাড়তে তারা খুব সহজে টেকনাফ কিংবা মিয়ানমারের উপকূলে যেতে পারবে। এছাড়া সেন্টমার্টিনের আশেপাশে আরো কিছু দ্বীপ রয়েছে। প্রকৃতিগতভাবেই কচ্ছপেরা ডিম পাড়তে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় যায়গা খুঁজে নেবে।
প্রবাল নষ্টের মনুষ্যসৃষ্ট কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- অবাদে মৎস শিকার, পলিথিন ও প্লাস্টিক দূষণ, প্রবাল সংগ্রহ ও বিক্রয়, মানুষের অবাদ বিচরণ ইত্যাদি। কিছু বিধিনিষেধ জারি ও সচেতনতা বৃদ্ধির মধ্যমেই এইসব সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
তাই সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিষিদ্ধ কিংবা সীমিত করা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ রক্ষায় অস্ট্রেলিয় সরকারের গৃহীত গুচ্ছ পদক্ষেপের কোথাও পর্যটক সীমিত করার কথা নেই। তেমনি নেই মালদ্বীপেও। তবে সেন্টমার্টিনে কেনো?