গ্রাম বাংলার রূপে বিমোহিত হয়ে জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন, “বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ/ খুঁজিতে যাই না আর : অন্ধকারে জেগে উঠে ডুমুরের গাছে/ চেয়ে দেখি ছাতার মতন বড়ো পাতাটির নিচে ব’সে আছে/, আমাদের বাংলার চির সবুজের দৃশ্য মোড়ানো প্রকৃতি যে কত সুন্দর আর প্রাণ জুড়ানো, তা শহরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি দেখে প্রাণ সজীব ও সতেজ হয়ে যায়। আলাদা একটা অনুভূতি বিরাজ করে মনে।
অনেকের নানী বা দাদী বাড়ি হয়তো গ্রামে। তারা ছুটিতে গ্রামে গেলে সেখানকার নির্মল বাতাস আর সবুজ প্রকৃতিতে নিজেকে সতেজ করে নিতেন। আর সেখানে মাটির চুলায় রান্না করা খাবার খেয়ে তৃপ্তি পেতেন। তবে এখন বিদুৎ আর গ্যাসের যুগে মাটির চুলা প্রায় হারিয়ে গেছে। আবার অনেকের নানী বা দাদী বাড়ি শহরেই। তাই হয়তো কোনোদিন মাটির চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদই নিতে পারেননি।
তাই প্রকৃতি প্রেমী ও ভোজন রসিক মানুষদের কথা মাথায় রেখে কালীগঞ্জ হাইওয়ের ব্যাংকার্স পল্লীতে গড়ে উঠেছে “মাটির চুলা”। এখানকার নিরিবীলি গ্রামীণ পরিবেশ ও নির্মল প্রকৃতির মাঝে পরিবার-প্রিয়জনের সাথে একান্তে দারুন সময় কাটাতে পারবেন। সেই সাথে পাবেন মাটির চুলায় সুস্বাদু রান্নার স্বাদ।
“মাটির চুলা”য় তিন ধরনের প্যাকেজ আছে। “ফ্রেন্ডস & ফেমিলি”, “চড়ুই ভাতি” এবং “কাপল”
“ফ্রেন্ডস & ফেমিলি” প্যাকেজে থাকছে:-
** নির্মল প্রকৃতির মাঝে আড্ডা ও গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরা ফেরা
** বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলার সুব্যবস্থা
** বিশ্রামের জন্য এসি রুমের ব্যবস্থা
** দুপুর ২:০০ – ৩:০০ মাটির চুলায় রান্না দুপুরের খাবার
** দুপুর ৩:৩০ – ৫:৩০ শীতলক্ষ্যা নদী ভ্রমণ
** সন্ধ্যা ৫:৩০ – ৭:০০ আকর্ষণীয় BAR-B-Q
** নূন্যতম ০৬ জন
** নূন্যতম ০১ দিন পূর্বে বুকিং দিতে হবে।
“চড়ুই ভাতি” প্যাকেজে থাকছে:-
** বিভিন্ন ধরণের খেলাধূলার সুব্যবস্থা
** নির্মল প্রকৃতির মাঝে আড্ডা ও গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরা ফেরা
** সারাদিন বিশ্রামের জন্য এসি রুম
** সকাল ৯:০০ – ১০:৩০ সকালের নাস্তা
** দুপুর ২:০০ – ৩:০০ মাটির চুলায় রান্না দুপুরের খাবার
** দুপুর ৩:৩০ – ৫:৩০ শীতলক্ষ্যা নদী ভ্রমণ
** সন্ধ্যা ৫:৩০ – ৭:০০ আকর্ষণীয় BAR-B-Q
** নূন্যতম ০৬ জন
** নূন্যতম ০২ দিন পূর্বে বুকিং দিতে হবে।
“কাপল” প্যাকেজে থাকছে:-
** নির্মল প্রকৃতির মাঝে আড্ডা ও গ্রামীণ পরিবেশে ঘুরা ফেরা
** সারাদিন বিশ্রামের জন্য এসি রুম
** সকাল ৯:০০ – ১০:৩০ সকালের নাস্তা
** দুপুর ২:০০ – ৩:০০ মাটির চুলায় রান্না দুপুরের খাবার
** দুপুর ৩:৩০ – ৫:৩০ শীতলক্ষ্যা নদী ভ্রমণ
** সন্ধ্যা ৫:৩০ – ৭:০০ আকর্ষণীয় BAR-B-Q
** নূন্যতম ০২ দিন পূর্বে বুকিং দিতে হবে
যারা ঢাকা থেকে যাবেন তারা পূর্বাচল ৩০০ ফিট হাইওয়ে হয়ে যেতে পারেন। বসুন্ধরা থেকে মাত্র ৩০ মিনিটের দূরত্ব। জিন্দা পার্ক পার হয়ে নাগরী বাজার থেকে মাত্র ৫ মিনিটের পথ। আর হাতে একটি স্মার্ট ফোন থাকলে গুগল ম্যাপে “মাটির চুলা” টাইপ করে খুব সহজেই চলে যেতে পারবেন এখানে। কার ও বাইক পার্কিং এর সুব্যবস্থা রয়েছে এখানে (ফ্রি)।