মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

সুশি তেই : ঢাকায় জাপানিজ রেস্তোরাঁ

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩

জাপানিজ খাবার খেতে ইচ্ছে হলে আর চিন্তার কিছু নেই। ঢাকাতেই জাপানি খাবার পাওয়া যাবে ‘সুশি তেই রেস্তোরাঁ’ টিতে। এখানে শুধুমাত্র জাপানিজ খাবারই পাওয়া যায়। শুধু খাবারেই নয়, জাপানের নিজস্বতার ছোঁয়া পাওয়া যাবে রেস্তোরাঁর ভেতরের আবহেও। তার নমুনা আপনি রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই পেয়ে যাবেন। কারণ রেস্তোরাঁয় ঢুকতেই আপনাকে স্বাগত জানানো হবে জাপানিজ ভাষায়। গুলশান-১ নম্বর গোলচত্ত্বর থেকে পুলিশ প্লাজার দিকে সামনে এগোলেই পেয়ে যাবেন ঢাকার এই জাপানি রেস্তোরাঁ সুশি তেই। জাপানের অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার সুশি।

জাপানে খাবার রান্না না করে কাঁচা খাওয়ার পদ্ধতির নাম সুশি তেই। সেখান থেকেই এই রেস্তোরাঁর নাম সুশি তেই। ভিন্নধর্মী খাবার, অভিনব পরিবেশনা আর সুস্বাদু রান্না আপনাকে অভিভূত করবেই। রেস্তোরাঁটি দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে। তাই চাইলে এসময়ের মধ্যে জাপানি খাবার একবার পরখ করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশে জাপানি খাবারের স্বাদ এনে দিতে ২০১৭ সালে যাত্রা আরম্ভ হয় সুশি তেই -এর।

প্রায় ২৫০ রকমের জাপানি খাবার তৈরি করা হয় এখানে। বিভিন্ন রকম সুশি যেমন নিগিরি সুশি, গুনকাম সুশি; তেমাকি, মাকিমুনো, আগেমুনো, নাভেমুনো, সুলিক লোর, দনমুনো ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। জাপানি এসব খাবার রান্নায় দক্ষ ও রন্ধনপটিয়সী করে তুলতে সকল রাঁধুনিকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। জাপানের স্বকীয়তা বজায় রাখতে রান্নার জন্য টুনা মাছ আসে জাপান থেকে। এছাড়া স্যালমন মাছ নরওয়ে থেকে আমদানি করা হয়। অন্যান্য উপকরণগুলোর মধ্যে অধিকাংশই আনা হয় সিঙ্গাপুর থেকে।

সুকি আকি

অন্যতম জনপ্রিয় খাবার সুশি তেই এর। এর বিশেষত্ব হলো অতিথি নিজেই তার টেবিলে এটি রান্না করে খেতে পারবেন। বিভিন্ন উপকরণ যেমন ইনাকি মাশরুন, সিতাকি মাশরুন, টোফু, অনিয়ন (ব্রাউন, স্পিন), গাজর ইত্যাদির মাঝে স্যুপ দিয়ে কিছুক্ষণ গরম করতে হয়। তারপর ছোট ছোট করে কেটে ডিমের নরম অংশ স্যুপের মধ্যে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রেখে খেতে হবে।

স্যালমন জুকুশি

নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে এটি স্যালমন মাছ দিয়ে তৈরি। স্যালমন মাছের বিভিন্ন অংশ যেমন মাথার অংশ, পেটের অংশ, ডিমের অংশ আলাদা করে কেটে এই পদ তৈরি করা হয়। সাধারণত মুলা, বরফ, দাইকন ইত্যাদি দিয়ে স্যালমন জুকুশি পদটি পরিবেশন করা হয়। সুশি তেই -এর ইন্টেরিয়র ডিজাইনে আছে ভিন্নতা। খাবার পরিবেশনাতেও রেস্তোরাঁটি অন্যান্য গুলোর চাইতে একটু ভিন্ন ধরণের।তিনটি ভাগে খাবার নেয়া যেতে পারে। রেগুলার অংশে চারটি চেয়ার দিয়ে সাজানো টেবিল।

কনভেয়ার অংশে একটি বেল্টের ওপর খাবার ঘুরতে থাকবে, আপনি নিজের ইচ্ছামতো খাবার পছন্দ করে নিতে পারবেন। এছাড়া অফিসিয়াল কাজ বা পরিবারের সাথে একান্তে সময় কাটানোর জন্য রয়েছে দুটি প্রাইভেট রুম। রমজানের সময় ইফতার ও সাহেরির জন্য ভিন্ন খাবারের আয়োজন করা হয়ে থাকে। সাহেরিতে সেট মেন্যুর মতোই বানতো বক্সের ব্যবস্থা করা হয়। বানতো বক্সে সাধারণত থাকে স্যালমন ফিশ, ফ্রাইড রাইস, তামাগো সুশি, ম্যানতাই সুশি ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com