ভারত ও চীনের মধ্যবর্তী এক স্থানে ভুটানের অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এ দেশটিকে এশিয়ার সবচেয়ে সুখী রাষ্ট্র বলা হয়। বিশ্বের অন্যতম সুখী রাষ্ট্রের তালিকায় আছে ভুটানের নাম। মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য, চমৎকার পর্বতমালা, প্রাচীন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যবাহী জীবনধারা দেখতে গোটা বিশ্ব থেকে এখানে প্রতিবছর পর্যটকরা আসেন। ভুটানের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান-
হা ভ্যালি : পারোর দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত হা ভ্যালি ভূটানের ক্ষুদ্রতম ও প্রত্যন্ততম একটি জেলা। এখানে আছে প্রাচীন আল্পাইন বন, পাহাড়। এ উপত্যকায় ওই দেশের রানীর দাদির পৈতৃক বাড়ির অবস্থান ছিল। যারা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ স্থানটি খুবই আকর্ষনীয়।
পুনাখা : ১৬৩৭ থেকে ১৯০৭ সাল পর্যন্ত পুনাখা ভুটানের রাজধানী ছিল। ঐতিহাসিভাবে এ স্থানের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ভুটানের দুটি প্রধান নদী ফু চু এবং মো চু এ উপত্যকায় এসে মিশেছে। পুনাখা প্রশাসনিক কেন্দ্র পুনাখ ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার মিটার উচ্চতায় স্থাপিত।
থিম্পু : দেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত থিম্পু ভুটানের রাজধানী। বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের রাজধানী থেকে থিম্পু আলাদা কারণ এখানে কোনো বিমানবন্দর নেই। এর জন্য প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পারোর ওপরই এ রাজধানী নির্ভরশীল। থিম্পু বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাজধানী শহর। এখানে অনেক রেস্তোরাঁ, নাইটক্লাব এবং শপিং সেন্টার রয়েছে। আধুনিকতার ছোঁয়া থাকলেও এ শহরটি এখনও তাদের প্রাচীন ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। থিম্পুর আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে চাঙ্গাংখা লখাং, জাতীয় লোকসাতিহ্য জাদুঘর এবং সিমটোখা জজং উল্লেখযোগ্য।
ফুন্টসোলিং : ভুটানের সবচেয়ে বেশি নগরায়ণ হয়েছে ফুন্টসোলিং শহরে। এ অঞ্চলটি দেশের আর্থিক, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রধান অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ফুন্টসোলিং সীমান্ত ভুটানকে ভারত থেকে পৃথক করেছে। এ পথ দিয়ে যেতে যেতে এখানকার সংস্কৃতি, জীবনযাত্রা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য সহজেই মন কাড়ে পর্যটকদের। এ শহরটি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য ভুটানের প্রবেশদ্বার হিসেবেও পরিচিত। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া