সুইজারল্যান্ডের সরকারি প্রতিষ্ঠান বর্ণবাদ বিরোধী ফেডারেল কমিশন (ইকেআর) রোববার (২৭ এপ্রিল) এসব তথ্য জানিয়েছে৷
সুইস এনজিও হিউম্যানরাইটস-এর সঙ্গে একটি যৌথ বিবৃতিতে ইকেআর জানিয়েছে, গত বছর ঘৃণামূলক বক্তব্য, শারীরিক আক্রমণ, হুমকি এবং অন্যান্য বৈষম্যমূলক আচরণের এক হাজার ২১১টি ঘটনা সম্পর্কে তারা জানতে পেরেছে৷ জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের মতো বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই এসব ঘটনাগুলো ঘটেছে৷
পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বর্ণবাদী ও বিদেশিদের প্রতি ঘৃণামূলক ঘটনা অন্তত ৪০ শতাংশ বেড়েছে৷
গত কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার এবং অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী দেশটির জনসংখ্যা ৯০ লাখ৷ এদের মধ্যে অভিবাসী বা অভিবাসন অতীত রয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার অন্তত ৪০ ভাগ৷
ইকেআর জানিয়েছে, গত বছর দেশটিতে বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক আচরণের ঘটনা তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ‘বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ’৷
এমন পরিস্থিতি তৈরির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৃহত্তর মেরুকরণ৷
এক হাজার ২১১টি ঘটনার ৬৫ ভাগ ছিল বিদেশিদের প্রতি ঘৃণা এবং কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যমূলক৷ ২০২৩ সালের তুলনায় যে ধরনের বৈষম্য সবচেয়ে বেশি বেড়েছে, তার শিকার হয়েছেন মুসলিম ধর্মানুসারী ও আরব দেশ থেকে আসা অভিবাসীরা৷ এমন ৩৫০টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে৷
ইকেআর জানিয়েছে, এছাড়া এশিয়াবিরোধী আক্রমণের প্রায় ৮০টি ঘটনা এবং ইহুদি বিদ্বেষের ৬৬টি ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে৷
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মৌখিকভাবেই আক্রমণ করা হয়েছে৷ তবে বর্ণবাদী আচরণে উদ্বুদ্ধ হয়ে শারিরীক সহিংসতার অন্তত একশোটি ঘটনার তথ্য পাওয়া গেছে৷ ঘৃণামূলক বক্তব্যের ১৪৯টি ঘটনা ঘটেছে গত এক বছরে৷
অবমাননাকর মন্তব্যের ঘটনা ছিল চার শতাধিক, অপমানের তিনশোটি এবং শতাধিক হুমকির ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে৷
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নথিভুক্ত এসব ঘটনার পাঁচ ভাগের একভাগ ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে৷