যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা শরণার্থীদের ঢল কমাতে এ বছর দেশটির সঙ্গে একটি চুক্তি করে কানাডা সরকার। এ চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত দিয়ে কানাডায় শরণার্থী প্রবেশের সঙ্গে অনেক কমে যায়। প্রাথমিক অবস্থায় ধারণা করা হয়েছিল, এ চুক্তির মাধ্যমে কানাডায় শরণার্থীদের স্রোত থামানো গেছে।
তবে চুক্তিটির পাঁচ মাস পর দেখা গেছে- শরণার্থী হিসেবে কানাডায় আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমার বদলে বরং বেড়েছে। এখন সীমান্ত দিয়ে আসার পরিবর্তে আশ্রয়প্রার্থীরা আসছেন বিমানে করে, আবার অনেকে চোরাইভাবে সীমান্ত পার হয়ে আসছেন এবং আশ্রয় চাওয়ার আগ পর্যন্ত লুকিয়ে থাকছেন। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা কয়েকজন ব্যক্তি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এতে করে বোকজা গেছে যে, যেসব দেশে মানুষ শরণার্থী হিসেবে যেতে চান; সেসব দেশ চাইলেই এটি বন্ধ করতে পারবে না। আবার সঙ্গে এটিও প্রকাশ পেয়েছে; অত্যাধিক মানুষ শরণার্থী হিসেবে আসলে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে। যেমন কানাডার টরেন্টোতে এই গ্রীষ্মে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ঘুমিয়েছেন।
তা সত্তে¡ও শুধুমাত্র গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় এসেছিলেন ৩৯ হাজার শরণার্থী। যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রোক্সহ্যাম সড়ক দিয়ে কানাডার কিউবেক রাজ্যে প্রবেশ করেছিলেন। ওই রাজ্য সরকার পরবর্তীতে জানিয়েছিল, অধিক সংখ্যক শরণার্থীদের তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় শরণার্থীরা প্রবেশ করার কারণ হল, দ্রুত গতিতে শরণার্থীদের অনুমোদন দেওয়ার ভালো রেকর্ড রয়েছে কানাডার। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার বিষয়টি কঠিন ও সময়সাপেক্ষ হয়। কানাডায় এখন যারা আশ্রয় চাইছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিমানে করে আসছেন। কেউ কেউ বিমানবন্দরে নেমেই আর কেউ কেউ অভিবাসন কেন্দ্রে গিয়ে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস পর গিয়ে আশ্রয়ের আবেদন করছেন। যেসব দেশের মানুষ আশ্রয় চাইছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মেক্সিকো, হাইতি, তুরস্ক, কলম্বিয়া এবং ভারতের নাগরিক। ইউরোপসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে আশ্রয়ের বিষয়টি কঠিন হয়ে যাওয়ায় কানাডার দিকে ঝুঁকছেন মানুষ। কারণ এখানে সহজেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে।