এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে সিলেটে অতীতের তুলনায় পর্যটকদের খরা দেখা দিয়েছে। ঈদের তৃতীয় দিনেও সিলেটের হোটেল-মোটেল গড়ে ৫০ শতাংশ খালি। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও হোটেল-মোটেল ৩০-৪০ শতাংশ পূর্ণ ছিল।
এদিকে ঈদের দ্বিতীয় দিনে সাদাপাথর, জাফলং, রাতারগুলসহ জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোতে প্রত্যাশার চেয়ে দর্শনার্থী কম ছিল। স্থানীয় কিছু দর্শনার্থী ছাড়া সিলেটের বাইরের ভ্রমণপিপাসুদের খুব একটা দেখা মিলেনি।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিলেটে বন্যা, বৃষ্টিপাত ও সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র কয়েকদিন বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে। সিলেটের বাইরের অনেক পর্যটকরা সিলেট এখনও বন্যাকবলিত রয়েছে বলে ধারণা করছেন। তাছাড়া পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর খুলে দেওয়া হলেও সেটির প্রচার কম হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের মাঝে।
স্বাভাবিকভাবেই ঈদের ছুটিতে পর্যটকরা সিলেটের সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দি, সারিঘাট ও পানতুমাইসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে আসেন। এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় পর্যটক অনেক কম। ঈদের দ্বিতীয় দিনে সাদাপাথর, জাফলং ও রাতারগুলসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে প্রত্যাশার তুলনায় পর্যটক অনেক কম ছিল।
সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তোয়াহির মিয়া বলেন, অন্যান্য বছর ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন সাদাপাথর ঘাট থেকে জিরো পয়েন্টে নৌকাগুলো ৪০০-৪৫০ ট্রিপ দিয়ে থাকে। গতকাল মাত্র ১০০ ট্রিপ হয়েছে। পর্যটক একেবারে কম ছিল।
জাফলংয়ের হোটেল-রিসোর্টগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিসোর্টগুলোতে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যটক বুকিং দিয়েছেন। হাতেগোনা কিছু রিসোর্টে অবশ্য বুকিং রয়েছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। অথচ অন্যান্য সময়ে এসব হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে।
জাফলং হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু বলেন, বছরের এ সময়টায় পর্যটকের চাপ সামলানোই কঠিন হয়; অথচ এবার হোটেল ও রিসোর্টের অনেক কক্ষ এখনও ফাঁকা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ইনচার্জ মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বন্যার কারণে তুলনামূলকভাবে এবার পর্যটক অনেক কম। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটন স্পটগুলোতে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
সিলেট হোটেল ও গেস্ট হাউস ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী জুয়েল বলেন, গতকাল সিলেটের হোটেল-মোটেলগুলো ৩০-৪০ শতাংশ বুকিং ছিল। অবশ্য আজ তা বেড়ে ৫০ শতাংশের উপরে আছে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাত ও বন্যার একটা প্রভাব পড়েছে। অনেকে অগ্রীম বুকিং দিয়েছিলেন। কিন্তু বন্যার খবর পেয়ে তা বাতিল করেছেন। যার কারণে পর্যটক কম। তবে যেহেতু লম্বা ছুটি রয়েছে, আশা করা যাচ্ছে পর্যটকরা বাকি দিনগুলোতে ঘুরতে আসবেন।