সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়ায় খুব সহজেই বাসে যাওয়া যায়। কম খরচ ও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য এই রুট জনপ্রিয় হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের বিচ রোডের গোল্ডেন মাইল টাওয়ার থেকে আমরা স্টার মার্ট এক্সপ্রেসে মালয়েশিয়ার বুর্জ টাইমস স্কায়ারে গিয়েছিলাম। গোল্ডেন মাইল টাওয়ার থেকে প্রতি ঘণ্টায় মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়।
যাত্রাপথ এবং খরচ আপনার পছন্দমতো নির্বাচন করতে পারবেন। স্টার মার্ট এক্সপ্রেস বেশ জনপ্রিয় বাস সার্ভিস। যা বেশ আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য।
গোল্ডেন মাইল টাওয়ার নিচতলায় অবস্থিত কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। তবে আমরা টিকিট সংগ্রহ করেছিলাম ইজিবুক ডট কম থেকে (www.easybook.com)। বছরজুড়ে এখানে নানা রকম অফার চলে। ফলে বাসের টিকিট সংগ্রহে ভালো ডিসকাউন্ট পাওয়া যায়।
সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ইজিবুক থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে আমাদের জনপ্রতি খরচ হয়েছে ২৬ ইউএস ডলার। তবে আপনি যদি যাওয়ার দিন সকালে টিকিট সংগ্রহ করেন তাহলে ১৫ ইউএস ডলারেও পেতে পারেন। বাসের ৩-৪টি সিট খালি থাকলে টিকিটের দাম কমে যায়।
ইজিবুক বা অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করলে অবশ্যই বাসের কাউন্টার থেকে টিকিট প্রিন্ট করে নিতে হবে। ২৬ ইউএস ডলারে স্টার মার্ট এক্সপ্রেস আমরা পেয়েছিলাম আরামদায়ক সিট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস এবং সময়মতো সেবা।
বাস ছাড়ার প্রায় ২০ মিনিট পর সিঙ্গাপুরের ইমিগ্রেশন পয়েন্টে পৌঁছাই। এখানে বাস থেকে নেমে নিজের পাসপোর্ট নিয়ে ইমিগ্রেশন বুথে যেতে হবে। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটি দ্রুত এবং সহজ।
সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশন শেষ করে একটি দীর্ঘ সেতু পার হয়ে ১০ মিনিটেই মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পয়েন্টে পৌঁছাই। এখানে সব ব্যাগপত্র বাস থেকে নামিয়ে স্ক্যান করতে হবে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়াটি একটু বেশি সময় নিতে পারে, তাই ধৈর্য ধরুন। একই বাসে আবার উঠে যাত্রা শুরু।
সিঙ্গাপুর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার মনকে বিমোহিত করবে। রাস্তার দুই পাশে বিশাল পাম বাগান এবং সবুজ প্রান্তর চোখে পড়বে। মালয়েশিয়ার গ্রামীণ এলাকাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর, যা আপনাকে আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। এই যাত্রা ৫-৬ ঘণ্টা সময় নিতে পারে, তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আরামদায়ক পরিবেশের জন্য সময়ের কোনো অভাব অনুভূত হবে না।
আমাদের বাস মালয়েশিয়ার বুর্জ টাইমস স্কয়ার-এ থামে। এটি কুয়ালালামপুরের একটি প্রধান এবং ব্যস্ত এলাকা। এখানে পৌঁছানোর পর আপনি আশেপাশের হোটেলগুলোর একটিতে চেক-ইন করতে পারেন অথবা স্থানীয় ট্যাক্সি বা গ্র্যাব অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার গন্তব্যে যেতে পারেন।