আরাম-আয়েশে কয়েকটা দিন থেকে প্রকৃতি ও আশপাশ ঘুরে দেখার জন্য ভ্রমণপ্রিয়দের মধ্যে রিসোর্টের জনপ্রিয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।
ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বালি বা থাইল্যান্ডের ফুকেটের জুড়ি মেলা ভার। তবে এশিয়ায় অবকাশযাপনের নতুন ঠিকানা হতে পারে সিঙ্গাপুর। দেশটি বর্তমানে শুধু আধুনিক শহর বা শপিং গন্তব্য নয়, বরং বিলাসবহুল ও প্রকৃতিমুখী রিসোর্ট গন্তব্য হিসেবেও পরিচিতি পাচ্ছে।
এপ্রিলে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বানিয়ান গ্রুপ চালু করেছে ম্যান্ডাই রেইনফরেস্ট রিসোর্ট বাই বানিয়ান ট্রি। সিঙ্গাপুরের প্রাণবৈচিত্র্যে ভরপুর ম্যান্ডাই ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভের ভেতরে ৪ দশমিক ৬ হেক্টর জমিতে গড়ে ওঠা এ রিসোর্টে রয়েছে ৩৩৮টি কক্ষ। অতিথিদের জন্য রয়েছে সাধারণ ও পারিবারিক রুমের পাশাপাশি ‘ট্রিহাউজ’ নামে পরিচিত বিশেষ কাঠের কটেজ, যা একেবারে রেইনফরেস্টের মধ্যে অবস্থিত।
রিসোর্টটির পাশেই রয়েছে সিঙ্গাপুর চিড়িয়াখানা, নাইট সাফারি ও বার্ড প্যারাডাইস। আছে আরো কয়েকটি প্রাকৃতিক উদ্যান। এসব মিলিয়ে জায়গাটি পূর্ণাঙ্গ ছুটির গন্তব্য হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে।
রিসোর্টটি তৈরি হয়েছে সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত ম্যান্ডাই প্রকল্পের অংশ হিসেবে। এর আগে মার্চে সেন্টোসা দ্বীপে চালু হয়েছে র্যাফেলস সেন্টোসা সিঙ্গাপুর। এটি দেশটির প্রথম অল-ভিলা রিসোর্ট। প্রতিটি ভিলায় রয়েছে ব্যক্তিগত সুইমিং পুল। এক রাতের ভাড়া শুরু ১ হাজার ৫০০ সিঙ্গাপুর ডলার থেকে।
সিঙ্গাপুর ২০৪০ সালের মধ্যে পর্যটন আয় ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ হাজার কোটি সিঙ্গাপুর ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। এজন্য বিলাসবহুল অবকাশযাপন কেন্দ্রগুলোয় জোর দিচ্ছে দেশটির সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিঙ্গাপুরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিবেশী দেশগুলো। বালি, ফুকেট বা ফিলিপাইনের বোরাকায় পর্যটকদের আগ্রহ অনেক বেশি। তবে আধুনিক অবকাঠামো, নিরাপত্তা আর বিশ্বমানের হোটেলের জন্য অনেকেই সিঙ্গাপুরকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন।