করোনা মহামারীর পর বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। দেশের শীর্ষস্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এতে বলা হয়, দেশের ৮ ব্যাংক থেকে ৩৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন সালমান এফ রহমান। শুধু জনতা ব্যাংক থেকেই হাতিয়েছেন ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে করোনার পর নেয়া হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
২০১৯ সালে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগকারী উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্নধার সালমান এফ রহমান। এরপর আর্থিক খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেই সঙ্গে দেশ ছেড়ে ভারতে পাড়ি জমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগ পর্যন্ত নামে–বেনামে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণের নামে অর্থ তুলে নেন সালমান এফ রহমান।
নিয়মের মধ্যে বেশি ঋণ নেয়ার সুযোগ না থাকায় অন্যদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন তিনি। পাশাপাশি নিত্যনতুন বিনিয়োগ পণ্য চালু করে ব্যাংকের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকেও টাকা তুলে নিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একাধিক নিয়ম শিথিল করে সালমান এফ রহমানকে এভাবে অর্থ নিতে সহায়তা করেছে।
আইএফআইসি, ন্যাশনাল, সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক থেকেও মোটা অংকের ঋণ নিয়েছেন তিনি। এতে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তার। সেই সঙ্গে একাধিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ ফুলেফেঁপে উঠেছে।