বাংলাদেশ থেকে সার্বিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা একটি আকর্ষণীয় সুযোগ হতে পারে। সার্বিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিভিন্ন শিল্পখাতে কর্মসংস্থানের প্রয়োজনের কারণে সেখানে বিদেশী কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশের নাগরিকরাও সেখানে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। নিচে সার্বিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য বিস্তারিত তথ্য এবং প্রয়োজনীয় ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো।
১. সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কেন?
সার্বিয়ায় বিদেশী কর্মীদের জন্য বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ রয়েছে, যেমন নির্মাণ, কৃষি, তথ্য প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিভিন্ন সেবা খাতে। সার্বিয়ার কোম্পানিগুলি বিশেষ করে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে, এবং এটি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
২. সার্বিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যোগ্যতা
• আবেদনকারীর বৈধ পাসপোর্ট থাকা আবশ্যক।
• প্রস্তাবিত কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক।
• সার্বিয়ার নিয়োগকর্তা থেকে একটি অফার লেটার থাকা প্রয়োজন।
• স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনেশন সম্পন্ন থাকতে হবে।
ধাপ ১: সার্বিয়ার নিয়োগকর্তার থেকে জব অফার সংগ্রহ করুন
প্রথমে, সার্বিয়ার কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির অফার পেতে হবে। আপনার দক্ষতা অনুযায়ী একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কাজের সুযোগ খুঁজতে পারেন।
ধাপ ২: কাজের চুক্তি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করুন
নিয়োগকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত কাজের চুক্তি, অফার লেটার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র (যেমন- আপনার শিক্ষাগত ও পেশাগত সার্টিফিকেট) প্রস্তুত রাখতে হবে।
ধাপ ৩: ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন
সার্বিয়ায় কাজ করার জন্য নিয়োগকর্তা আপনার পক্ষে কাজের অনুমতি (Work Permit) এর আবেদন করবে। সাধারণত সার্বিয়ার ইমিগ্রেশন দপ্তর বা শ্রম মন্ত্রণালয় এই অনুমতি প্রদান করে।
ধাপ ৪: ভিসার জন্য আবেদন করুন
ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর সার্বিয়ার দূতাবাসে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন- ওয়ার্ক পারমিট, পাসপোর্ট, এবং অন্যান্য সাপোর্টিং ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
ধাপ ৫: সার্বিয়ায় ভ্রমণ
ভিসা পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সার্বিয়া গমন করতে পারবেন। সেখানে পৌঁছানোর পর কাজের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
1. বৈধ পাসপোর্ট (কমপক্ষে ৬ মাসের মেয়াদ থাকা আবশ্যক)
2. সার্বিয়ান কোম্পানির থেকে কাজের অফার লেটার
3. ওয়ার্ক পারমিট
4. স্বাস্থ্য পরীক্ষা সনদপত্র
5. পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
6. ভিসা আবেদন ফরম ও ভিসা ফি
7. প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত ও পেশাগত সনদপত্র
• সার্বিয়া ইমিগ্রেশন: সার্বিয়া ইমিগ্রেশন অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
• বাংলাদেশে সার্বিয়ার দূতাবাস (যদি প্রযোজ্য): সাধারণত কাছাকাছি দূতাবাস থেকে প্রসেসিং হয় যেমন ভারতের সার্বিয়ান দূতাবাস।
• ভিসা আবেদন সম্পর্কিত তথ্য: VFS Global বা সার্বিয়ার অনলাইন ভিসা প্রসেসিং ওয়েবসাইট
ওয়ার্ক পারমিট প্রসেসিং সময়
সাধারণত ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা প্রসেসিংয়ে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগতে পারে। তবে এই সময়কাল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন হতে পারে।
সার্বিয়ায় পৌঁছানোর পর করণীয়
সার্বিয়ায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় প্রশাসনিক অফিসে আপনার কর্মসংস্থানের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এটি সার্বিয়ায় বৈধভাবে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সার্বিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার পরিকল্পনা করতে চাইলে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে আপনি সহজে সার্বিয়ায় কর্মজীবন শুরু করতে পারবেন।
Like this:
Like Loading...