সার্বিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ওয়ার্ক ভিসার মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জনের প্রক্রিয়া বেশ দীর্ঘ এবং নির্দিষ্ট শর্তসমূহ পূরণের উপর নির্ভর করে। নিচে প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হলো
১. ওয়ার্ক ভিসা এবং রেসিডেন্স পারমিট
– প্রথমে বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিয়াতে কাজ করার জন্য **ওয়ার্ক ভিসা** এবং **টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট (অস্থায়ী বসবাসের অনুমতি)** নিতে হবে।
– ওয়ার্ক ভিসা পেতে হলে একটি সার্বিয়ান কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ করতে হবে এবং সেই কোম্পানি ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করবে।
২. টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট নবায়ন
– সার্বিয়াতে কাজ করার সময় প্রথমে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট পাবেন, যা সাধারণত এক বছরের জন্য প্রদান করা হয়।
– এই পারমিটটি নবায়ন করতে হবে যতদিন পর্যন্ত আপনি সার্বিয়াতে বৈধভাবে অবস্থান করছেন এবং কাজ করছেন।
৩. পারমানেন্ট রেসিডেন্স (স্থায়ী বসবাসের অনুমতি)
– টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট** নিয়ে সার্বিয়ায় **৩ বছর** (পূর্বে ৫ বছর) বসবাস করলে আপনি **পারমানেন্ট রেসিডেন্স** বা স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়ার যোগ্য হবেন।
– পারমানেন্ট রেসিডেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে কোনও ফৌজদারি অপরাধে জড়িত না থাকা, নিয়মিত কর প্রদান করা, এবং সার্বিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
৪. নাগরিকত্ব (Citizenship) পাওয়ার উপায়
পারমানেন্ট রেসিডেন্স পাওয়ার পর নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ এবং কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের প্রয়োজন হবে:
1. সার্বিয়াতে বসবাসের সময়কাল: আপনি পারমানেন্ট রেসিডেন্স নিয়ে ৩ বছর অথবা সার্বিয়াতে মোট ৮ বছর বৈধভাবে বসবাস করলে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
2. সার্বিয়ান ভাষা: নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে সার্বিয়ান ভাষায় মৌলিক দক্ষতা দেখাতে হবে।
3. কোনো অপরাধে জড়িত না থাকা: সার্বিয়ার আইন অনুযায়ী আপনি কোনও অপরাধে জড়িত থাকলে নাগরিকত্বের আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে।
4. আয়ের উৎস দেখানো: আপনার নিয়মিত আয়ের উৎস থাকতে হবে, এবং এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি সার্বিয়াতে বসবাস ও কাজ করতে সক্ষম