সাজেকে পর্যটক আটকা পড়ার বিষয়টি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ধসে রাস্তাঘাটে চলাচলে তৈরি হয়েছে প্রতিবন্ধকতা। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাঘাইহাট বাজার ও মাচালং সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে সাজেকে তিনশ’র বেশি পর্যটক আটকা পড়ে আছে। তবে সবাই নিরাপদেই আছে।
রুমানা আক্তার বলেন, ‘সাজেকে ২০টি মোটরসাইকেল, ২০টি জীপ, চারটি মাহেন্দ্র বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার করে আসা পর্যটক রয়েছে সাজেকে।’
সাজেকের স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান অতি ভারী বর্ষণের ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার প্রধান সড়কের একটি কার্লভাট ডুবে গেছে। ফলে খাগড়াছড়ি থেকে দীঘিনালা যান চলাচল সাময়িক বন্ধ আছে। যেহেতু সাজেকে দীঘিনালা হয়ে যাতায়াত করতে হয়, তাই সাজেকে যাতায়াতের পথও সাময়িকভাবে বন্ধ আছে।
পর্যটক অহিদুজ্জামান বলেন, ‘গত সোমবার সাজেকে এসেছি। গতকাল রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যুৎ নেই। মোবাইলে নেটওয়ার্কের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। সারাদিন রুমের সময় কাটছে।’
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পূর্ণিয়া রহমান মালা বলেন, ‘গতকাল এসেছি এখানে। আজ চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে যাওয়া হচ্ছে না। তবে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ভাড়া ৫০ ভাগ কমিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি ভালো লেগেছে।’
সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি জয় মারমা বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাজেক থেকে কোন গাড়ি ছেড়ে যায়নি এবং বাঘাইহাট থেকেও সাজেকে কোন গাড়ি প্রবেশ করেনি। তাই পর্যটকরা সাজেকে অবস্থান করছে। যেহেতু তারা আটকা পড়েছে তাই সমিতির পক্ষ থেকে সকলের রুম ভাড়া ৫০ ভাগ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’