ঈদের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা যান্ত্রিক শহরের ক্লান্তি দূর করতে পাহাড় হ্রদে ঘেরা মনোরম প্রকৃতির লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ছুটে যান। ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় পর্যটক বরণে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টরা।
ঝুলন্ত সেতু, সুবলং, সাজেক ভ্যালি, পলওয়েল পার্ক ও হ্রদ ভ্রমণে পর্যটকদের পছন্দ বেশি। প্রতিনিয়ত তাদের আগমন ঘটলেও ছুটির দিনে এই সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণ। ইট-পাথরের শহরের যান্ত্রিক জীবনের একঘেয়েমি দূর করতে ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাহাড় আর হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙামাটিকে বেছে নেন অনেকে।
পর্যটনখাত সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এবার ঈদের ছুটিতে প্রাকৃতিক নৈসর্গে ঘেরা পার্বত্য জেলাটিতে ঢল নামবে পর্যটকদের। এ জন্য নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েল পার্কসহ শহরের হোটেল মোটেলগুলো। সাজেকে সম্প্রতি অগ্নিকাণ্ড
এদিকে সাজেক ছাড়াও পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। বিষয়টি মাথায় রেখে হ্রদে ভ্রমণে পর্যাপ্ত টুরিস্ট বোট প্রস্তুত করা হয়েছে। সংস্কার শেষ করে ঘাটে প্রস্তুত রয়েছে বোটগুলো। মার্কেটগুলোও তাদের প্রস্তুতি সেরে নিয়েছেন। চাহিদা মেটাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে ১২৬ টি রিসোর্টের মধ্যে ৩৫ টি রিসোর্ট পুড়ে যায়। বাকি ৯১টি রিসোর্ট অক্ষত আছে। আশা করছি ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকরা সাজেক বেড়াতে আসবে। তাদের বরণে আমরা সব প্রস্তুতি সেরে নিয়েছি।
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, রমজানে ঝুলন্ত সেতু এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা কম ছিল। এর মধ্যে ঝুলন্ত সেতুসহ আশেপাশের এলাকা রং করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এবং নতুন করে ছোট্ট একটি পার্ক প্রস্তুত করা হয়েছে। এবারের ঈদের ছুটিতে যারা রাঙামাটি আসবে তাদের সময়টা যাতে ভালো কাটে সেই সেবা দিতে আমরা প্রস্তুত।
অন্যদিকে রাঙামাটি টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক এ কে এম মাহবুবুল আলম বলেন, ঈদের ছুটিতে রাঙামাটির প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে পর্যটকরা যাতে নিরাপদে ঘুরতে পারেন সে জন্য টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশা করছি ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক সমাগম হবে।