মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

সম্পাদকীয়

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৪

আনন্দধারা বহিছে ভূবনে!!!

আহ… কি শান্তি!!! আজকে গর্ব হচ্ছে নিজের বাঙালিত্ব নিয়ে, গর্ব হচ্ছে নিজের দেশের পাসপোর্ট নিয়ে। আফসোস একটিভ আন্দোলনে শরিক হতে পারলাম না, তবে আমার ছোট ভাই বোনেরা দেখিয়ে দিয়েছে।পৃথিবীর সামনে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকব আমরা।

২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ একটি টিপিক্যাল বাংলা ছিঃনেমার শিকার। বাংলা ছিঃনেমায় যেমন নায়কের বাবাকে ছোটবেলায় মেরে ফেলা হয় এবং বড় হয়ে সেটি নায়ক সকলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়, ঠিক তেমনি প্রতিশোধের আগুনে পুড়েছে সোনার বাংলা ২০০৮ সাল থেকে। পুড়ে তবেই সোনা হয়েছে।

তবে এই ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। মাঝখান থেকে লাভবান হয়েছে আমাদের পশ্চিমের দাদাভাইয়েরা। আমার দেশের রূপালী ইলিশ পাচার হয়েছে সেখানে।

তবে আমরা যে আমাদের পাশের দেশের মানুষের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ এবং অনেক বেশি সাহসী তার প্রমান আজকের বিজয়।

সেশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের এই যুগে আমরা সবাই জানি কে কার পক্ষে ছিল এবং আছে। সুবিধাবাদীদের প্রতি বলার কিছু নাই। তারা পা চাটার দল- চেটেই যাবে তা যেই আসুক না কেন। রাগ হচ্ছে সেইসব অন্ধ রাজাকারলীগের প্রতি যারা এখনও সব দেখতে পেয়েও না দেখার ভান করছেন। আপনারা অন্ধ হয়ে গেছেন।

গত অনেকগুলো বছরে আমার শহরে আম্লীগের নেতাদের যন্ত্রনায় টেকাই দায় ছিল। কমিউনিটির যে কোনও স্থানে কথা বলার সুযোগটি ছাড়েননি কখনও। আর কমিউনিটির মধ্যে ব্যবসা করা আমাদের কতিপয় ব্যবসায়ী, রিয়েলটর, উকিল এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীগন তাদের এই নেতৃত্বে ইন্ধন যুগিয়েছেন।কৈ ছাত্র আন্দোলনে এইসব বিত্তবান স্পন্সররা একবোতল পানিও তো স্পন্সর করলেন না। ঘটনা কি? আসলে আপনারা বুঝতে পারেন নি যে আপনাদের দেবী আসলেই হার মানবে। আমরা আজ আপনাদের থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। তবে তাদের মধ্যেও অনেকেই এখন ভিন্ন সুরে গন গাইবেন। ঐ যে সুবিধাবাদী পার্টির সদস্যরা।

আমার এই তাড়কা রাক্ষসী গত ষোল বছরে দেশটিকে ঝাঝড়া বানিয়ে দিয়ে গেছেন। আমাদের বুঝতে হবে আমাদের আবারও উঠে দাঁড়াতে প্রচুর শ্রম, সময় এবং ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। দেশ কেবল ক্যান্সারমুক্ত হল। সেরে উঠতে হয়ত বহু বছর লেগে যাবে। আমাদের সেই ধৈর্য্যশক্তির পরিচয় দিতে হবে এবং আমার বিশ্বাস আমরা পারব।

তাড়কা রাক্ষসীর অন্ধ ভক্তদের কাছে দু’টি প্রশ্ন রেখে যাই। তিনি যদি দেশের এত মঙ্গলই করে থাকেন তাহলে নিজ সন্তানদের কেন সেই দেশে রাখেন নাই? তিনি যদি দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার এত উন্নতি করে থাকেন তাহলে তার নাতি নাতনী কেন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত না? পরের প্রশ্নেটি শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কাছেও রেখে গেলাম।

আমার সোনার বাংলা
আমার আদরের হৃদয়ের বাংলা
যে দেশের মাটিতে আমার প্রিয় বাবা মা শুয়ে আছেন সেই বাংলা,
আমার দুঃখী বাংলা,
আমি তোমায় ভালোবাসি।
হে পরম করুনাময়, আমার এই চিরদুঃখী বাংলাকে তুমি এবার একটু শান্তি দাও।
আমিন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com