স্কুলে-স্কুলে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। কচিকাচাদের স্কুলে এই টানা ছুটির সুযোগ নিয়ে দিন কয়েক ব্যস্ত জীবনকে বলুন বাই-বাই। প্রাণের আরাম নিতে ঘুরে আসুন প্রকৃতির কোলের এক সুন্দর সাজানো-গোছানো গ্রাম থেকে। সবুজে সবুজ চারিদিকের মায়াবী পরিবেশ হৃদয় জুড়োবে। ছোট্ট সুন্দর পাহাড়ি গ্রামের অনিন্দ্যসুন্দর শোভা ভুলিয়ে দেবে জীবনের সব স্ট্রেস। কোলাহলহীন, নিরিবিলি, মুক্ত পরিবেশে জীবনকে নতুনভাবে চেনার সুযোগ এনে দেবে সোনালী এই সফর। এই প্রতিবেদনে তেমনই এক অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্রের হদিশ রইল।
কালিম্পঙ জেলার নতুন অফবিট ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সবুজে ঘেরা সামালবং গ্রাম। পাহাড়ি গ্রাম জুড়ে শান্ত, নিরিবিলি নিঝুম পরিবেশ। মায়াবী পরিবেশে কাটিয়ে যাওয়া দিন কয়েকের প্রতিটি মুহূর্ত জীবনভর মনে থেকে যাবে। স্মৃতির পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এতল্লাটে কাটিয়ে যাওয়া দিনগুলি। পাহাড়ি এই জনপদে হাতেগোনা কয়েকটি পরিবারের বাস। এখনও এই গ্রাম নিয়ে তেমন একটা প্রচার হয়নি। তবে যাঁরা একবার এতল্লাটে বেড়ানোর স্বাদ নিয়েছেন, তাঁরাই অন্যদের সঙ্গে সোনালী সফরে আহ্লাদে কাটিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলি ভাগ করে নিচ্ছেন।
লোকমুখে শুনেই ভিড় বাড়ছে এই কালিম্পঙের ছোট্ট এই পাহাড়ি গ্রামে। এখানকার পরিবেশে যেন জাদু আছে। এই সামালবং গ্রামকে কেন্দ্র করে ছোট ট্যুরও সেরে নিতে পারেন। এখান থেকেই লাভা, রিশপ লোলেগাঁও, সামথার, চারখোল, ডেলো, তিস্তা পাওয়ার ড্যাম-সহ কাছেপিঠের বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন। এছাড়াও স্থানীয় ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলে এখান থেকেই সেরে নিতে পারেন সিল্করুট, দার্জিলিং বা ডুয়ার্সের সফর।
কীভাবে যাবেন সামালবং গ্রামে?
কালিম্পঙ শহর থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই সামালবং গ্রাম। শিলিগু়ডি থেকে এর দূরত্ব ৬০ কিলোমিটারের মতো। নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে অথবা শেয়ারে গাড়ি বুক করে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন। কিংবা এনজেপি বা শিলিগুড়ি থেকে গাড়িতে কালিম্পেঙে পৌঁছে সেখান থেকে অন্য গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন পাহাড়ি এই গ্রামে।
সামালবং গ্রামে কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জন্য সুদৃশ্য কয়েকটি হোম স্টে রয়েছে। থাকা-খাওয়া বাবদ খরচ নেওয়া হয়। আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভালো।
যোগাযোগ করতে পারেন
Samalbong Girii Homestay
ATC Camps Tours & Homestays Samalbong, Kalimpong- 7031626241