পরিবারের মজার কাহিনীর মধ্য দিয়ে তিনি চেষ্টা করেন গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার জন্য। শামস জানালেন, এমন কাহিনী নিয়ে তিনি ভিডিও বানান, যেন সবাই নিজের সঙ্গে রিলেট করতে পারে। সত্যি সত্যি সাড়া পড়ে যায় এসব ভিডিও নিয়েও। শেয়ারও হতে থাকে একের পর এক।
দেখতে দেখতে তিন বছর পেরিয়ে গেলো। ‘থটস অব শামস’ এর ভক্ত এখন প্রায় দুই মিলিয়ন। মোটকথা বিশাল এক পরিবার হয়ে উঠেছে শামস আফরোজ চৌধুরীর। সম-সাময়িক বিষয় নিয়ে শামস আফরোজ চৌধুরীর সঙ্গে আলাপ হয় ডেইলি বাংলাদেশের। একান্ত আলাপকালে নিজ ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেন সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি।
শামস নিজেকে প্রতিটি ভিডিওতে নানা চরিত্রে উপস্থাপন করেন। কখনো শামসু ভাই, কখনো কুলসুম, আবার কখনো নানি কিংবা আম্মাজান সাজেন তিনি। সব চরিত্রেই অভিনয় করে দর্শকদের হাসাতে পারেন তিনি। আর এই বিনোদনের ভিডিওগুলোই তার প্রধান আয়ের উৎস।
তার বর্তমান আয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ডেইলি বাংলাদেশকে তিনি বলেন, আমার ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল ও বিভিন্ন কোম্পানির প্রমোশনাল স্পন্সর ফি বাবদ মাসে সাত থেকে আট লাখ টাকা আয় হয়। কোনো কোনো মাসে সেটি ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত উর্ত্তীর্ণ হয়।
শামস আফরোজ চৌধুরীর হাতে গড়া ‘থটস অব শামস’ ফেসবুক পেইজ ঘুরে দেখা যায়, সাত লাখ ৭৩ হাজার ৩৩২ জন মানুষ তার পেইজে লাইক দিয়েছেন পাশাপাশি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৪১ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী পেইজটিতে ফলোয়ার হিসেবে রয়েছেন। এদিকে, তার ইউটিউব চ্যানেল ঘুরে দেখা যায়, চ্যানেলটিতে মোট সাবস্ক্রাইবার দুই লাখ ৯৩ হাজার জন। তার এই চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওগুলো এখন পর্যন্ত দেখেছেন ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৯৪ হাজার ৯১৮ জন। সব মিলিয়ে দেশ ও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে পুরো বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে সবার প্রিয় নাম এখন শামস আফরোজ চৌধুরী।
ডেইলি বাংলাদেশ