সন্তান লালনপালন নিয়ে চীনের নাগরিকদের মনোভাব এবং তাদের এ–সংক্রান্ত কোনো ভয় আছে কি না, তা বুঝতে ৩০ হাজার মানুষের ওপর এক সমীক্ষা পরিচালনা করছে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।
সমীক্ষায় চীনের ১৫০টি প্রদেশ ও দেড় হাজার সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবেন। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের আওতায় থাকা দেশটির জনসংখ্যা ও উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্রের বরাতে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
চীনে ২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা কমার তথ্য প্রকাশের পর তরুণ দম্পতিদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে বেইজিং। চেষ্টা সত্ত্বেও শিশু জন্মহারে গতি আসছে না।
গণমাধ্যমটিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সমীক্ষার মাধ্যমে ‘সন্তান ইস্যুতে অনিচ্ছা ও ভয়ের কারণ’ খোঁজা হবে। এরপর সে অনুযায়ী সন্তান জন্মদানে সহায়তার পাশাপাশি অন্যান্য প্রণোদনা নির্ধারণ করবে দেশটি।
চীনে এর আগে ২০২১ সালে দেশব্যাপী পরিবার ও গর্ভধারণ-সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়েছিল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে জনসংখ্যা উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রায়ই একটি শক্তিশালী ও পুনরুজ্জীবিত চীনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।
চীনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গত মাসে জানান, ‘উপযুক্ত বয়সে’ বিয়ে ও গর্ভধারণের বিষয়টিকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন তাঁরা। এ জন্য একটি দম্পতির মাঝে সন্তান লালনপালনের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।