সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ বলেছেন, সত্য বলার সময় এসেছে। সত্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। ভবিষ্যতে পুনঃতদন্ত হলে আমার অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণগুলো বলতে চাই।
বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এসব কথা বলেন।
সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘সত্য বলার সময় এসেছে। সত্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। একজন মানুষের সবচেয়ে বড় সম্বল হচ্ছে তার আত্মসম্মান আর মর্যাদা এবং সত্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার আর ঢাল।’
বিডিআর বিদ্রোহের সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সাহারা খাতুন। আর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সোহেল তাজ। অভিযোগ ওঠে, পিলখানা ট্রাজেডির ঘটনার পরিকল্পনায় যুক্ত ছিলেন সোহেল তাজও। যদিও সোহেল তাজের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ঘটনার সময় তিনি দেশের বাইরে ছিলেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে আজ (১৫ আগস্ট) সোহেল তাজ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আপনারা যারা জেনে না জেনে বা বুঝে না বুঝে কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে পিলখানা হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত থাকার মিথ্যা অপপ্রচার করছেন; তাদের উদ্দেশে বলব- এই কাজটা ঠিক না। আমিও বাংলাদেশের সব বিবেকবান মানুষের মতো হতভম্ব হয়েছিলাম, স্তম্ভিত হয়েছিলাম। আমিও মানসিকভাবে মর্মাহত হয়েছিলাম। আমিও সত্য জানতে চাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ভবিষ্যতে পুনঃতদন্ত হলে আমার অভিজ্ঞতা এবং পর্যবেক্ষণগুলো বলতে চাই। বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও মর্মান্তিক ঘটনার একটি বাংলাদেশের পিলখানা ট্রাজেডি বা বিডিআর বিদ্রোহ। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন।’