সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা। ভিজিট ছাড়া অন্যান্য বেশিরভাগই ভিসাই পাচ্ছেন না তারা। দুবাইতে উচ্চপদস্থ চাকরিতে ভিসা মিললেও দরকার পড়ছে উচ্চশিক্ষার সনদ। এ জন্য দালালের খপ্পরে পড়ে জাল সনদ তৈরি করছেন কেউ কেউ। যাচাইয়ে ধরা পড়ার পর, বাংলাদেশিদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দিচ্ছে।
পারিবারিক স্বচ্ছলতার আশায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। যার মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্যতম।
দেশটিতে ভিজিট ভিসায় যাওয়ার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশিদের জন্য অন্যান্য ভিসা দেয়া প্রায় বন্ধ। আর যেসব ভিসা মিলছে, সেসব কেবলই উচ্চ পদের চাকরির জন্য। তাই দালালের সহায়তায় অনেকেই বানাচ্ছেন ভুয়া শিক্ষাগত সনদ। যার দরুণ দুবাই এসে চাকরি না পেয়ে অনেকেই চাকরির প্রত্যাশায় দালালদের কাছে প্রতারিত হচ্ছেন।
প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০টি ভিসা সত্যায়নের আবেদন পড়ে কনস্যুলেটে। কিন্তু যাচাই বাছাইয়ের পর বেশিরভাগেই মেলে জালিয়াতির প্রমাণ। ভুয়া সনদের সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে এক সময় দেশটিতে সব ধরণের ভিসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা বাংলাদেশ দূতাবাসের।
আবুধাবিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, দেখা যাচ্ছে অনেকেই সর্বস্ব খুইয়ে এদেশে আসছে, সঠিক তথ্য তাদের কাছে না থাকার কারণে। এখানে এখন অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা একেবারেই কমে গেছে।
আরব আমিরাতে বর্তমানে কর্মরত প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি। তবে দেশটিতে দিন দিন কমছে অদক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তা।