বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন

শ্রমবাজারে যে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি মালয়েশিয়া

  • আপডেট সময় বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার তিনটি বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির মানব সম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম।

 আজ মালয়েশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বারনামা’, অস্ট্রোআওয়ানি, দি সান এবং দি এজ মালয়েশিয়া সহ প্রায় সবকটি গণমাধ্যম মানব সম্পদ মন্ত্রীর উদৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি হয়, যার এক-তৃতীয়াংশ সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এন্ড ম্যাথমেটিক্স (এসটিইএম) খাতের। এছাড়া, বিভিন্ন খাতে প্রায় ১ লাখ টেকনিকাল ভোকেশনাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম (টিভিইটি) গ্র্যাজুয়েট রয়েছে। অথচ, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রতি বছর মাত্র ৫০ হাজার দক্ষ ও উচ্চ বেতনের চাকরির সুযোগ তৈরি করতে পারে।”

মানব সম্পদ মন্ত্রী তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে প্রথম সমস্যা উল্লেখ করে বলেছেন, দেশের নিম্ন বেকারত্ব হার থাকা সত্ত্বেও বেতন অনেক কম। স্বাভাবিকভাবে, শ্রমবাজারে শ্রমিক সংকটের কারণে কর্মীদের উচ্চ বেতন দাবি করার ক্ষমতা থাকা উচিত কিন্তু বাস্তবে, তা হচ্ছে না।

দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে মি. সিম বলেন, শ্রমবাজারে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে, অথচ উচ্চ শিক্ষিত গ্র্যাজুয়েটদের অনেকেই তাদের যোগ্যতার সাথে মানানসই চাকরি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে শিল্পখাত থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, আমাদের আরও প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানের প্রয়োজন। কিন্তু তুলনামূলকভাবে অনেক গ্র্যাজুয়েট কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছেন না।

দেশটির জনপ্রিয় আরেকটি সংবাদ মাধ্যম ‘দি সান’ মানব সম্পদ মন্ত্রীর উদৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বর্তমানে দেশের (মালয়েশিয়া) বেকারত্বের হার ৩৬.৮ শতাংশ, যা এ সমস্যার মূল কারণ।

তৃতীয় সমস্যা হিসেবে মি. সিম উদৃতি দিয়ে দি এজ মালয়েশিয়া আরো জানিয়েছে, প্রতি বছর মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (টিভিইটি) এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত (এসটিইএম) গ্র্যাজুয়েট তৈরি হলেও তাদের জন্য যথেষ্ট কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। এই সমস্যাগুলোর সমাধানে মালয়েশিয়ার সরকার গত দুই বছর ধরে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এছাড়া মাদানি অর্থনৈতিক কাঠামোর মাধ্যমে দেশের শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং শিল্পের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্যতা আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই কাঠামো আমাদের অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করবে, এর মান বৃদ্ধি করবে এবং আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করবে। তবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া, যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে, শ্রমবাজারে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শিল্পখাতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপরও জোর দিতে বলেছেন এ মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com