1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
শৈলশহর কালিম্পং
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

শৈলশহর কালিম্পং

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

শৈলশহর কালিম্পং জেলার কালিম্পং মহকুমার সদর শহর যাহা , ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যে । শহরের উপকণ্ঠে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৭ মাউন্টেন ডিভিশন অবস্থিত। এটি নিম্ন হিমালয়-এ অবস্থিত, যার গড় উচ্চতা ১,২৫০ মিটার (৪,১০১ ফু)।

কালিম্পং-এর পরিচিতি রয়েছে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য। এগুলির অধিকাংশ ব্রিটিশ আমলে স্থাপিত হয়। চীনের তিব্বত আগ্রাসন ও ভারত-চীন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত এই শহর ছিল ভারত-তিব্বত বাণিজ্যদ্বার। ১৯৮০-র দশক থেকে কালিম্পং ও প্রতিবেশী দার্জিলিং পৃথক গোর্খাল্যাল্ড রাজ্য আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র। কালিম্পং তিস্তা নদীর ধারে একটি শৈলশিরার উপর অবস্থিত। মনোরম জলবায়ু ও সহজগম্যতা একে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র করেছে। উদ্যানপালনে কালিম্পং বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নানাপ্রকার অর্কিড দেখা যায়। এখানকার নার্সারিগুলিতে হিমালয়ের ফুল, স্ফীতকন্দ ও রাইজোমের ফলন চলে। কালিম্পং-এর অর্থনীতিতে এই ফুলের বাজার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। নেপালি, অন্যান্য আদিবাসী উপজাতি ও ভারতের নানা অংশ থেকে অভিনিবেশকারীরা শহরের প্রধান বাসিন্দা। কালিম্পং বৌদ্ধধর্মের একটি কেন্দ্র। এখানকার জ্যাং ঢোক পালরি ফোডাং বৌদ্ধমঠে বহু দুষ্প্রাপ্য তিব্বতি বৌদ্ধ পুঁথি রক্ষিত আছে।

কালিম্পং নামের উৎস

কালিম্পং নামের সঠিক উৎস অজ্ঞাত। সর্বজনগ্রাহ্য মত হল, তিব্বতি ভাষায় কালিম্পং মানে রাজার মন্ত্রীদের সভা (বা বেড়া)। কথাটি এসেছে কালোন (রাজার মন্ত্রী) ও পং (বেড়া) শব্দদুটি থেকে। অন্য মতে, লেপচা ভাষায় কালিম্পং শব্দটির অর্থ যে শৈলশিরায় আমরা খেলা করি। অতীতে এখানে স্থানীয় আদিবাসীদের গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়ানুষ্ঠানের আসর বসত। পাহাড়ের অধিবাসীরা এই অঞ্চলকে কালিবং-ও (কালো নাল ) বলে থাকেন।

দি আনটোল্ড অ্যান্ড আননোন রিয়ালিটি অ্যাবাউট দ্য লেপচাস গ্রন্থের রচয়িতা কে পি তামসাং-এর মতে, কালিম্পং কথাটি এসেছে কালেনপাং শব্দ থেকে, লেপচা ভাষায় যার অর্থ গোষ্ঠীর ছোটো পাহাড় (“Hillock of Assemblage”)। শব্দটি প্রথমে হয় কালীবাং। পরে আরও বিকৃত হয়ে হয় কালিম্পং। অন্য মতে, এই অঞ্চলে বহুল প্রাপ্ত তান্তব উদ্ভিদ কাউলিম-এর নামানুসারে এই অঞ্চলের নাম হয়েছে কালিম্পং।

কালিম্পং এর জলবায়ু

কালিম্পং-এ পাঁচটি ঋতুর চক্র লক্ষিত হয়: বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরৎ, শীত ও বর্ষা। বার্ষিক তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩০ °সে (৮৬ °ফা) থেকে সর্বনিম্ন ৯ °সে (৪৮ °ফা) র মধ্যে ওঠানামা করে। গ্রীষ্মকাল মনোরম। আগস্ট মাসে গ্রীষ্মের গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩০ °সে (৮৬ °ফা)। গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা, যা স্থায়ী হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হয়। ফলে মাঝেমাঝে ধস নেমে শহর অবশিষ্ট ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ১৫ °সে (৫৯ °ফা)। বর্ষা ও শীতে কালিম্পং ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে।

শৈবালদামের ওপর পা ফেলে সোনালি ওক গাছের ঘন অরণ্যের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া কালিম্পং-এর অন্যতম আকর্ষণ। কালিম্পং এর চমৎকার আবহাওয়া এবং এর কাছাকাছি অঞ্চলে আরও বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্র থাকায় ভ্রমণপিপাসু মানুষের অন্যতম ঠিকানা হয়ে উঠেছে এই শহর।

ভাষা

নেপালী,বাংলা।

পুলিশ স্টেশন

কালিম্পং থানা

03552255268

হসপিটাল

কালিম্পং জেলা হসপিটাল

03552255363

সেবা সদন হসপিটাল

আর্মি হসপিটাল

কালিম্পং এর দর্শনীয় স্থানসমূহ
গৌরিপুর হাউস

শহর থেকে চার কি:মি: দক্ষিণ পূর্বদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্নকে ধারণ করে আছে বিখ্যাত গৌরিপুর হাউস। স্থানীয়ভাবে ‘চিত্রাভানু’ নামে পরিচিত। মংপু যাওয়া-আসার পথে রবীন্দ্রনাথ প্রায়ই এখানে অবকাশ যাপন করতেন। পাহাড়ী টিলায় অবস্থিত এই শান্ত নির্জন পরিবেশে এসে রবীন্দ্রনাথের ‘চির আমি’ কবিতার সেই বিখ্যাত লাইন মনে পড়ে যাবে “তখন কে বলে গো, সেই প্রভাতে নেই আমি? সকল খেলায় করবে খেলা এই আমি” মনে হবে যেন আপনি রবীন্দ্রনাথের হৃদস্পন্দন শুনতে পাচ্ছেন।

রিশপরিম্বিক

কালিম্পং অঞ্চলের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে মানা হয় রিশপ-রিম্বিককে। এটি লাভা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এবং কালিম্পং থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে ৮২৫০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। লাভা থেকে পাহাড়ি পথে ট্রেকিং করে পৌঁছনো যায় ‘পাহাড়ের মাথায় একলা গাছে’ (‘রিশপ’ শব্দের অর্থ)। অবশ্য লাভা থেকে রিশপ পর্যন্ত জিপ চলার পথও আছে। রিশপের রাস্তা এখনও কাঁচা। বিদ্যুৎ এখনও না পৌঁছনোয়, এখানে থাকার মধ্যে একটা মধ্যযুগীয় অনুভূতির মজা আছে। অপার সৌন্দর্যের আধার রিশপ। আর কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন হাতের কাছে। স্থানীয় শেরপা ও লেপচারা কটেজের মতো বেশ কিছু পর্যটকদের থাকার জায়গা বানিয়েছেন। তবে বর্তমানে এখানে পর্যটকদের ভীড় বাড়ছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এখানে আসছে। এখন অবশ্য বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে। যদিও ভোল্টেজ খুবই কম। বেশ কয়েকটি হোটেলও হয়েছে। রাস্তাগুলিতে খোঁয়া ফেলা হয়েছে।

লোলেগাঁও

কালিম্পং-এর একটি ছোট্ট, শান্ত গ্রাম হল লোলেগাঁও। এটি অপূর্ব সুন্দর । ঘন সবুজ অরণ্য এবং শান্ত উপত্যকার লোলেগাঁওকে প্রকৃতি অকৃপণ হাতে দান করেছে। ভোরের কুয়াশায় মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। কালিম্পং ও লাভা থেকে পাইনের জঙ্গলে ঘেরা আঁকাবাঁকা পথ ধরে লোলেগাঁও যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। বনবাংলোর বারান্দায় বসে অদূরের কালিম্পং শহর দেখো। সন্ধ্যে নামলে এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য। মনে হয় অগুনতি জোনাকি দীপ জ্বালিয়ে রেখেছে পাহাড়চুড়োয়। এখানে বসে বসেই সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়াও এখানে মিলবে ক্যানপি ওয়াকিং। গাছের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া।

ডেলো পাহাড়

ডেলো পাহাড়টি কালিম্পংয়ের সবচেয়ে উঁচু পয়েন্ট। এখান থেকে কালিম্পং শহরটির শোভা সবচেয়ে ভালো দেখা যায়। অপরূপ সুন্দর ছবির মতো সাজানো এই ডেলো পাহাড়। অনেকট সময় এখানে কেটে যাবে। এখানে আবার রোপওয়ে আছে।

কালিম্পং আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টার

কালিম্পংয়ের কালিম্পং আর্টস অ্যান্ড ক্রাফ্ট সেন্টারে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানা ঐতিহাসিক সামগ্রী রয়েছে। এটি একটি দার্শনিক জায়গা। ভাল লাগবে।

তিস্তা বাজার

কালিম্পংয়ে এলে প্রায় সব পর্যটকই এই বাজারে আসেন। সস্তায় নানা সামগ্রী পাওয়া যায় এখানে। শহরের অন্তর্গত এই বাজারে সবসময় ভীড় থাকে।

রোমান ক্যাথলিক চার্চ

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকালে এখানে রোমান ক্যাথলিক চার্চ গড়ে ওঠে। শান্ত নিরিবিলি এই জায়গাটি ঘোরার পক্ষে খুব ভাল। এখানে এলে একটা অপার শান্তি খুঁজে পাবেন।

জাং ঢোক পালরি ফোডাং

কালিম্পংয়ে অনেক বৌদ্ধ মনাস্ট্রি রয়েছে। এর মধ্যে জাং ঢোক পালরি ফোডাং মনাস্ট্রিটি বিখ্যাত। অবশ্যই এখনে ঘুরতে আসবেন।

ম্যাক ফারলেন চার্চ

স্কটিশ মিশনারিরা ১৮৯১ সালে এই চার্চটি তৈরি করেন। প্রচুর মানুষ এটি দেখার  জন্য এখানে আসেন।

মর্গ্যান হাউস

ব্রিটিশ আমলে তৈরি কালিম্পংয়ের অন্যতম পুরনো বাংলো এটি। এখনো এটি তখনকার ছাপ বহন করে চলেছে। এখনো বেশ কিছু পর্যটক এখানে দেখার জন্য আসে।

সায়েন্স সিটি

সাম্প্রতিক সময়ে নির্মিত এই সায়েন্স সিটিতি ডেলো থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। পাহাড়ের কোলে এই জায়গাটি বাচ্চাদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। এখানে বাচ্চাদের চড়ার মতো বেশ কিছু রাইডিং আছে। বাচ্চারা চড়ে মজা পাবে।

টসোঙ্গাঁ গুম্ফা

দার্জিলিং জেলার সবচেয়ে পুরানো ভুটানি আশ্রম এটি যা ভুটানীদের কালিম্পং দখলের সাক্ষ্য বহন করছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে এই আশ্রমটি ১৬০০ সালের দিকে স্থাপিত। সার্জন রেনে এই মঠটিকে ‘টুসো চিম্পা’ নামে অভিহিত করেছেন।

জ্যাং ঢোগ পালরী ফোডাং

ডুরপিন মনাষ্ট্রি নামেও এটি পরিচিত। কালিম্পং এর সবচেয়ে বড় এই মনাষ্ট্রিকে ১৯৭৬ সালে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু দালাইলামার নামে উৎসর্গ করা হয় , বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের গেরুয়া বসন, মন্ত্রোচ্চারণের মন্দ্র সুর, ঘন্টাধ্বনি, ধূপের ধোঁয়া এবং গোধূলির মায়াবী আলো প্রতিদিন বিকালে এখানে এক অতিন্দ্রিয় পরিবেশের সৃষ্টি করে। মন চাইলে আপনিও এই প্রার্থনা সভায় যোগদান করতে পারেন। এটি শহর থেকে তিন কি:মি: দক্ষিণ পূর্ব দিকে ডুরপিন পাহাড়ের চূড়ায় ১৩৭২ মিটার উচ্চতায় এটি অবস্থিত।

লেপচা মিউজিয়াম

জীবন জগত ও সংস্কৃতির নানা ধরনের লিখিত নিদর্শন ও লেপচা বাদ্যযন্ত্রের সমাহার রয়েছে এখানে। ইতিহাস মনস্ক পর্যটকদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্রস্টব্য। লেপচাদের শহর থেকে এক কি:মি: দূরত্বে অবস্থিত।

পাইনভিউ নার্সারী

এটি ক্যাকটাস নার্সারী নামেও পরিচিত। কালিম্পং এর পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম জনপ্রিয় কেন্দ্র এটি। শহরতলীতে অবস্থিত এই নার্সারীতে বিশ রুপি দর্শনীর বিনিময়ে আপনি প্রায় পনের’শ ধরনের বিরল প্রজাতির অপূর্ব সব ক্যাকটাসের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ক্যাকটাস সংগ্রহের দিক থেকে এটি এশিয়াতে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। কালিম্পং এ আসা পর্যটকরা এই ক্যাকটাসের নার্সারিতে একবার আসবেনই।

হনুমান মন্দির

পাহাড়ের শীর্ষে স্থাপিত পঁচিশ থেকে ত্রিশ ফুট উঁচু ধাতব কাঠামোর লাল রংয়ের হনুমান দেবতার জন্য বিখ্যাত স্থানটি। এখান থেকে যেদিকে তাকাবেন সেদিকেই হিমালয়ের অপরূপ সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। হনুমান দেবতার স্থাপনার ঠিক সম্মুখে ডান দিকে দেবী দূর্গার একটি ছোট্ট মন্দির রয়েছে। পর্বতের শান্ত পরিবেশ, পাইন বনের মৌনতা আর ভক্তদের আনাগোনা আপনাকে জগতের সৃষ্টি রহস্য ও পার্থিব জীবনের অসারতা সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করবে।

গল্ফ কোর্স

কালিম্পং এর অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা গল্ফ কোর্স। এখানে ঘুরতে এসে পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করে। গল্প কোর্সে দাঁড়িয়ে চারিদিকে তাকালে কিছুক্ষণ সময়ের জন্য মনে হয় বিদেশে আছি।

ভ্রমণের সময়
সারা বৎসর মোটামুটি আরামদায়ক জলবায়ু থাকে। তবু কালিম্পং ভ্রমণের উপযুক্ত সময় মার্চ থেকে জুন এবং সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারী মাস পর্যন্ত। গ্রীষ্মের মৃদুভাবাপন্ন আবহাওয়া ও পাহাড়ের গাছে গাছে নতুন কুড়ির সজ্জা এবং শরৎ ও শীতের রৌদ্রকরোজ্জল আবহাওয়া, স্বচ্ছ নীলাকাশ ও হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য স্বততই পর্যটকদের আবাহন জানায়।

কিভাবে যাবেন
কালিম্পং ভ্রমণের জন্য , শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে প্রাইভেট ট্যাক্সি বা ট্রেকার বা বাসযোগে কালিম্পং গমন। সময় লাগবে ২.৩০ মিনিট। ভাড়া ১০০-১২৫  টাকা প্রত্যেক সওয়ারী।

কলকাতা থেকে কালিম্পং এর দূরত্ব ৬৪৬ কি:মি:।

ট্রেন

কলিকাতা থেকে

দার্জিলিং মেল ১২৩৪৩(সুপার ফাস্ট).. শিয়ালদহ..রাত ১০.০৫ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৮.১৫ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ১০.১০ ঘন্টা।

পদাতিক এক্সপ্রেস ১২৩৭৭(সুপার ফাস্ট).. শিয়ালদহ..রাত ১১.২০ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৯.২০ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ১০.০০ ঘন্টা।

কাঞ্চণ কন্যা এক্সপ্রেস ১৩১৪৯(এক্সপ্রেস).. শিয়ালদহ..রাত ৮.৩০ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৭.৩০ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ১১.০০ ঘন্টা।

কামরূপ এক্সপ্রেস ১৫৯৫৯(এক্সপ্রেস).. হাওড়া..রাত ৬.০০ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৬.২০ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ১২.২০ ঘন্টা।

৫) উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ১৩১৪৭(এক্সপ্রেস).. শিয়ালদহ..রাত ৭.৩৫ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৬.৫০ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ১১.১৫ ঘন্টা।

এছাড়াও কলিকাতা থেকে দিন রাতের অনেক ট্রেন বর্তমান।

দিল্লী থেকে

নর্থ ইষ্ট এক্সপ্রেস ১২৫০৬(সুপার ফাস্ট).. আনন্দবিহার টার্মিনাল,নিউ দিল্লী..সকাল ৬.৪৫ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ৮.৩০ মিনিট,সপ্তাহে প্রতিদিন,সময় ২৪.৪৫ ঘন্টা।

নিউ দিল্লী-ডিব্রুগড় রাজধানী ২০৫০৬(সুপার ফাস্ট)..নিউ দিল্লী..রাত ৯.২৫ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি সকাল ১১.৫৫ মিনিট,সপ্তাহে ২ দিন,সময় ১০.১০ ঘন্টা।

এছাড়াও আরো অনেক ট্রেন আছে।

মুম্বাই থেকে

মুম্বাই LTT-কামাখ্যা এসি ২০৫০৬(সুপার ফাস্ট)..নিউ দিল্লী..সকাল ৭.৫০ মিনিট-নিউ জলপাইগুড়ি রাত ৮.৫৫ মিনিট,সপ্তাহে ১ দিন,সময় ৩৭.০৫ ঘন্টা।

বাস

কলকাতা থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যায়  শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে প্রচুর বাস ছাড়ে। সময় লাগে প্রায় ১২ ঘন্টা। শিলিগুড়ি থেকে বাস, মিডিবাস অথবা জিপ যোগে কালিম্পং যেতে তিন ঘন্টা সময় লাগবে।

বিমানবন্দর

কালিমপং থেকে নিকটবর্তী বিমানবন্দর শিলিগুড়ির নিকট বাগডোগরায় অবস্থিত। বাগডোগরা থেকে কালিমপং প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে অবস্থিত বাগডোগরা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্দেশীয় বিমান-বন্দর, যেখানে কলকাতা, দিল্লী থেকে নিয়মিত ভাবে বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে।

কোথায় থাকবেন
পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের একাধিক টুরিষ্ট লজ রয়েছে এখানে। বাসস্ট্যান্ডের এক কি:মি: দূরে মেইন রোডে মর্গান টুরিষ্ট লজ, দুই কি:মি: দূরে ডুরপিন দাঁড়ার পথে কালিম্পং টুরিষ্ট লজ, এর পাশে তাশি টুরিষ্ট লজ এবং হিলটপ টুরিষ্ট লজ। সামর্থ্য অনুযায়ী বেসরকারী হোটেলের আবাসনও বেছে নিতে পারেন। অপেক্ষাকৃত ভালো মানের হোটেল হচ্ছে- ডেকি লজ, হোটেল সিলভার ওক্স, হিমালয়ান হোটেল, জেপি লজ, কালিম্পং পার্ক হোটেল, হোটেল মাউন্টেন ভিউ প্রভৃতি।

কালিম্পং  কেনাকাটা কোথায় করবেন?
কালিম্পং এ কেনাকাটা একটি দারুণ অভিজ্ঞতা। কাঠখোদাই কারুকার্য এই অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যগত নৈপুণ্য। বিশাল সংখ্যক তিব্বতি মানুষ তাদের হস্তশিল্পের সঙ্গে কালিমপং এর দিকে তাদের মার্গ তৈরি করেছে। কালিমপং এ যে সমস্ত ব্যাক্তি কেনাকাটা করতে যান, তাদের কাছে তিব্বতি পশমী-বস্ত্র, গহনা-অলংকার ও নুডলস অত্যন্ত প্রিয়। আপনি যদি কোনও স্মারক কিনতে চান, তবে কালিমপং এ কেনাকাটা করার সময় ট্যাপেষ্ট্রি ব্যাগ, তাম্রলিপ্ত বস্তু, পার্চমেন্ট ও চিত্রাঙ্কন খুঁজে নিতে পারেন। সতেজ আদা, মধু ও একটি বিশেষ ধরনের শক্ত পনির কালিমপং-এ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কালিম্পং এ কেনাকাটার জন্য এগুলিও খুবই জনপ্রিয় জিনিষ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com