শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

শীতে হোক রোমান্টিক ভ্রমণ

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

শীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব। রোমান্টিক যুগলেরা এ মৌসুমে বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন জায়গায়। স্বাভাবিকভাবে তাঁরা ‘লাভ ইজ ইন দ্য এয়ার’-এর মতো ভাইভ আসে তেমন জায়গাগুলো বেছে নেবেন। এসব ভ্রমণ যান্ত্রিক জীবনে ফাটল ধরা সম্পর্কে কিছুটা হলেও উষ্ণতা তৈরিতে সহায়তা করে। এখনো যদি ভ্রমণের পরিকল্পনা না করে থাকেন, এই বেলা তা করে ফেলুন।

নেপালে ভ্রমণের সেরা জায়গা

নেপাল বরাবরই যুগলদের পছন্দের গন্তব্য। দেশটির প্রশান্তিদায়ক জলবায়ু, বিশেষ করে শীতল সন্ধ্যা ও নক্ষত্রময় রাত যে কাউকে রোমান্টিক করে তোলার জন্য যথেষ্ট। দেশটিতে হিমালয়ের যেকোনো চূড়া দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ট্রেকিংয়ের জন্য যেতে পারেন অন্নপূর্ণা রেঞ্জ। মাউন্ট ফিশটেইলের দৃশ্য থেকে শুরু করে পোখারার আয়নার মতো ফেওয়া লেকের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন। কিংবা কালা পাথর, সারাংকোট এবং পুন হিলের মতো আইকনিক পয়েন্টগুলোও ঘুরে দেখতে পারবেন সময় হাতে নিয়ে গেলে।

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য নেপাল আদর্শ দেশ। প্যারাগ্লাইডিং এবং হোয়াইট ওয়াটার রাফটিংয়ের মতো অ্যাকটিভিটি করা যায় নেপালের নির্দিষ্ট জায়গাগুলোয়। আর ট্রেকিং করা যায় যেকোনো জায়গায়।

শীতে নেপাল ভ্রমণের সেরা সময় সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর। দেশটিতে যাতায়াত সহজ, সাশ্রয়ী মূল্যের ট্যাক্সি, লোকাল বাস ও এমআরটি পাওয়া যায় সহজে। নেপালের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে যেতে হবে কাঠমান্ডু। এ ছাড়া আছে সোলুখুম্বু জেলার এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্রেকিং। কাঠমান্ডু থেকে কয়েক দিন হেঁটে লুকলা গ্রামে যেতে পারেন যে কেউ। সেখানে আছে সাগরমাথা জাতীয় উদ্যান। এ ছাড়া শেরপাদের বড় অংশের আবাসস্থল সেখানে। এ ছাড়া আছে পোখারা, ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান লুম্বিনি। সেখানে আছে বৌদ্ধদের জন্য একটি পবিত্র স্থান মায়া দেবী মন্দির। আছে একটি ছোট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রকৃতিপ্রেমীরা যেতে পারেন চিতওয়ান জাতীয় উদ্যানে।

মালদ্বীপে ভ্রমণের সেরা জায়গা

রোমান্টিক ভ্রমণের অন্যতম গন্তব্য দ্বীপদেশ মালদ্বীপ। যুগলদের জন্য পুরো দ্বীপটিই মনে হবে স্বপ্নপুরী। সেখানে প্রচুর রিসোর্ট আর সমুদ্রসৈকত আছে।

ইন্নাহুরা মালদ্বীপ রিসোর্ট নামের তিন তারকা দ্বীপ রিসোর্টটি লাভিয়ানি প্রবাল প্রাচীরের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে ইন্নাহুরা দ্বীপে অবস্থিত। সেখানে আছে ৭৮টি বিচ বাংলো, একটি ওভারওয়াটার বার, প্রধান বার এবং বুফে স্টাইলের বিচফ্রন্ট রেস্টুরেন্ট। সমুদ্রসৈকত বাংলোগুলো মধুচন্দ্রিমার জন্য উপযুক্ত।

মাফুশিভারুর সবচেয়ে রোমান্টিক আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি হলো লোনুবো দ্বীপ। এ দ্বীপের চকচকে সাদা বালু এবং ফিরোজা রঙের পানির মাঝে নিজেকে রবিনসন ক্রুসো বলেও মনে হতে পারে। এমন আরেকটি দ্বীপ ভাধু। সেখানে দেখা মিলবে চকচকে সি অব স্টারস। এগুলো সমুদ্রসৈকত ঢেকে ফেলে উজ্জ্বল আলোয়। রোমান্টিক ডিনারের জন্য যেতে পারেন হিলটন মালদ্বীপ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার রেস্তোরাঁয়। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ মিটার নিচে। এর টানেলের মতো তির্যক ছাদে দাঁড়িয়ে চারপাশের প্রবাল প্রাচীরের মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে।

অ্যাডভেঞ্চারের জন্য যেতে পারেন সাবমেরিন ভ্রমণে। এতে উঠলে ৪৫ মিনিট ডুবে থাকতে পারবেন সমুদ্রে। মালদ্বীপের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র হোয়েল সাবমেরিনের অভিজ্ঞতা মনে থাকবে দীর্ঘ সময়। এ ছাড়া পানির নিচে ও ওপরের নানা অ্যাডভেঞ্চারাস ভ্রমণ আছে পুরো মালদ্বীপে।

শীতের সবে শুরু। তাই তালিকা করে ফেলুন কোথায় কোথায় যাবেন রোমান্টিক ভ্রমণে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com