সম্বন্ধ করেই হোক বা ভালবেসেই হোক, বিয়ের পর কিন্তু নবদম্পতি নিজেদের একটু চিনে-বুঝে-জেনে নিতে চান। সেই কারণেই হানিমুন (honeymoon) বা মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার প্রথা। আগে বেশিরভাগ সময়েই দেখা যেত, বিয়ের পর হানিমুনে হয় সিমলা-কাশ্মীর-দার্জিলিং অথবা পুরী-দিঘা-ভাইজ্যাগ যাচ্ছেন লোকজন। তবে এখন একটু অফবিট জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন সবাই। তবে খরচটাও একটা ভাবার মতো বিষয়। তাই আমরা ঠিক করেছি, এমন কয়েকটি হানিমুন ডেস্টিনেশনের হদিশ আপনাদের দেব, যেখানে কম খরচে (cheap), শীতকালে (winters) বেরিয়ে আনন্দ পাবেন! আমাদের না হয় ধন্যবাদটা ফিরে এসেই দেবেন!
কম খরচে (cheap) যদি সমুদ্রে যেতে চান, তাহলে যখন ইচ্ছে দিঘা-পুরী-তাজপুর-মন্দারমণি যেতে পারেন, কিন্তু মধুচন্দ্রিমার সময়ে প্লিজ যাবেন না! শীতকালে (winters) সমুদ্রের ধারে একান্তে সময় কাটাতে ঘুরে আসতে পারেন গোপালপুরে। যদিও এই সমুদ্রসৈকতটিও ওড়িশাতেই, কিন্তু পুরীর তুলনায় এখানে ভিড় অনেক কম। হাওড়া থেকে বেহরামপুরগামী যেকোনোও ট্রেনে বেহরামপুর নেমে সেখান থেকে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা চলে যান গোপালপুর। শীতকালে কম খরচে হানিমুনের জন্য গোপালপুর কিন্তু সেরা জায়গা। তপ্তপানি, জিরাং মনাস্ট্রি ঘুরে আসতে পারেন সাইটসিয়িং-এর সময়ে। যদি পারেন, পূর্ণিমার সময়ে ঘুরতে আসুন এখানে, চাঁদের আলোয় সমুদ্রের ঢেউ দেখার অপরূপ দৃশ্য সারা জীবন আপনাদের মনে থাকবে।
মেঘের রাজ্য মেঘালয়, মধুচন্দ্রিমা কাটানোর জন্য কিন্তু দারুণ জায়গা! চারদিকে সবুজ পাহাড়, পথের মাঝে-মাঝেই ঝর্ণা আর নরম মিঠে রোদ – সদ্যবিবাহিত জুটির মনে প্রেম জাগাতে আর কি চাই? মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা যাপন (honeymoon) করতে খুব বেশি খরচ হবে না (cheap)। কলকাতা থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস অথবা কামরূপ এক্সপ্রেসে চেপে বসুন আর পৌঁছে যান গৌহাটি। গৌহাটিতে একটা দিন থেকে পরদিন রওনা দিতে পারেন শিলং-এর উদ্দেশ্যে। ও হ্যাঁ, গৌহাটি থাকাকালীন একবার কামাখ্যা মন্দিরও দর্শন করে আসতে পারেন। শিলং যাওয়ার পথে উমিওম লেক পড়বে। শিলং-এ সাইট সিয়িংয়ে দেখতে পারেন দারুণ-দারুণ সব লাইমস্টোন গুহা এবং ঝর্ণা। চেরাপুঞ্জিও ঘুরে আসতে পারেন হাতে সময় থাকলে, এখানে এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম রয়েছে।
শীতকালে মধুচন্দ্রিমায় যদি জঙ্গলে যেতে চান, এবং তা-ও খব বেশি খরচ না করে, তা হলে আমাদের রাজ্যেই রয়েছে নানা ‘হিডন জেমস’। এই সব হিডন জেমসের মধ্যেই একটি হল চিলাপাতা ফরেস্ট। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, এবং শিলিগুড়ি থেকে ঘণ্টা দুয়েকের পথ চিলাপাতা। আপনাদের যাওয়ার পথেই পড়বে গরুমারা, চাপড়াহাটি আর জলদাপাড়া। রাতে চিলাপাতায় বিশ্রাম নিয়ে পরদিন ভোর-ভোর চলে যান জঙ্গল সাফারিতে। জঙ্গল সাফারির জন্য কিন্তু আগে থেকে বুকিং করাতে হয়। সন্ধের মধ্যে আবার গেস্ট হাউজে ফিরে এসে পরদিন সকালে বেরিয়ে পরুন বক্সার উদ্দেশ্যে। মাদারিহাট এবং জলদাপাড়াতে হাতি দেখে ফিরে আসুন চিলাপাতায়।
বিদেশে মধুচন্দ্রিমা (honeymoon) কাটানো – এই সুপ্ত বাসনাটি মোটামুটি সবারই থাকে। আপনারাও যদি বিয়ের পর প্রথম বেড়াতে যাওয়ার স্মৃতিগুলো উজ্জ্বল রাখতে চান, সেক্ষেত্রে কিন্তু বিদেশে যেতেই পারেন হানিমুন করতে। শীতকালে (winter) যাওয়ার জন্য কোনও সমুদ্র বা শহর ভাল। কারণ, যেহেতু আমরা গ্রীষ্মপ্রধান দেশে থেকে অভ্যস্ত, কাজেই বরফ-শীতল ঠান্ডায় মানিয়ে নেওয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর হতে পারে। কম খরচে (cheap) বিদেশে যেতে চাইলে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় ঘুরে আসতে পারেন। নিজেরাও একটু রিসার্চ করে কলম্বো, অনুরাধাপুরম বা অন্যান্য জায়গায় যেতে পারেন। আবার চাইলে কোনও ভাল ট্র্যাভেল এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁদের সঙ্গে প্যাকেজে ঘুরে আসতে পারেন। বিদেশের তুলনায় মোটেও বেশি খরচ পড়বে না।