বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফ্লাইট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বেসরকারি এয়ারলাইন্স ফ্লাই ঢাকা। ইতোমধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) অনাপত্তি সনদ (এনওসি) পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরামর্শ পেতে এয়ারএশিয়া কনসাল্টিংকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। এ ছাড়া ফ্লাইট পরিচালনায় এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজ বহরে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এয়ারএশিয়া। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এয়ারএশিয়া কনসাল্টিং মূলত এয়ারএশিয়া এভিয়েশন গ্রুপ লিমিটেডের অধীনে একটি নতুন এভিয়েশন কনসালটেন্সি শাখা। যেটি মূলত এয়ারলাইন্সগুলোকে পরিচালনার কৌশল, ফ্লিট মূল্যায়ন ও পরিকল্পনা, নেটওয়ার্ক কৌশল, সময়সূচি, টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম, অন-টাইম পারফরম্যান্স ও ক্রু অপ্টিমাইজেশন, এয়ারক্রাফট ইনডাকশন সাপোর্ট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপারেশনাল এক্সিলেন্স, জ্বালানি সাশ্রয় এবং কম খরচে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে পরামর্শ দেয়। সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে এয়ারএশিয়ার সঙ্গে ফ্লাই ঢাকার চুক্তি হয়েছে। এখন ফ্লাই ঢাকা মূলত এয়ারএশিয়া কনসাল্টিং থেকে এসব ব্যবস্থাপনা পরামর্শ নেবে।
এই বিষয়ে ফ্লাই ঢাকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম ফজলে আকবর জানান, ফ্লাই ঢাকা ২০২১ সালের অক্টোবরে বেবিচকের এনওসি পেয়েছে। বর্তমানে এয়ারওর্দিনেস সার্টিফিকেট (এওসি) পাওয়ার বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এওসি পাওয়ার পর শিগগির বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু করা হবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বহরে এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজ যুক্ত করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো এয়ারলাইন্স এয়ারবাসের উড়োজাহাজ ব্যবহার করছে না। এক্ষেত্রে এয়ারএশিয়ার বহরে থাকা এয়ারবাস এ৩২০ উড়োজাহাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। এয়ারএশিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্ব ফ্লাই ঢাকাকে সমৃদ্ধ করবে। কারণ, এয়ারএশিয়ার রয়েছে দুই দশকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা।
এয়ারএশিয়া কনসাল্টিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুবাশিনি সিলভাদাস বলেন, লো কস্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে ফ্লাই ঢাকাকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সহযোগিতা করবে এয়ারএশিয়া। এয়ারএশিয়া এবং ফ্লাই ঢাকা দুই প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়। একইসঙ্গে ফ্লাই ঢাকা এয়ার এশিয়ার নেটওয়ার্ক এবং হাব কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের এই অঞ্চলের অন্যান্য গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগও কাজে লাগাতে পারবে।