৩. ল্যারি পেইজ
ল্যারি পেইজ একজন মার্কিন কম্পিউটারবিজ্ঞানী ও ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। তিনি সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে মিলে সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি হলেন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান আলফাবেট ইনকরপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে তিনি এখন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন। তবে তিনি পিএইচডি শেষ করতে পারেননি। যে কারণে তাঁকেও বাদ পড়াদের একজন বলে ধরা হয়। বর্তমানে তাঁর কোম্পানি আলফাবেটের সম্পদের পরিমাণ ২২ হাজার কোটি ডলার।
৪. ল্যারি অ্যালিসন
পুরো নাম লরেন্স জোসেফ অ্যালিসন। তবে প্রযুক্তিবিশ্ব তাঁকে একডাকে ল্যারি অ্যালিসন নামে চেনে। তিনি ওরাকল করপোরেশনের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। এখন তাঁর সম্পদের নিট মূল্য হচ্ছে ১৩ হাজার ৩৯০ কোটি ডলার। এর বদৌলতে তিনি বৈশ্বিক ধনীদের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন। তবে ল্যারি অ্যালিসন শিক্ষাজীবনে অত্যন্ত অমনোযোগী ছাত্র ছিলেন বলে বদনাম আছে। তিনি ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোতে ভর্তি হলেও স্নাতক পরীক্ষা না দিয়েই চলে আসেন।
৫. অ্যামেচিও ওর্তেগা
স্প্যানিশ ফ্যাশন নির্বাহী ও ইন্ডিটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অ্যামানচিও ওর্তেগা। তবে ইন্ডিটেক্স বিশ্বজুড়ে খুচরা বিক্রেতা ব্র্যান্ড জারার নামেই বেশি পরিচিত। এখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। ফলে তিনি অতিধনীদের মধ্যে ১৩ নম্বরে আছেন। ২০১৩ সালে অবশ্য তিনি ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন। টপ টেনে ছিলেন বেশ কয়েক বছর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি স্কুল থেকে ড্রপআউট হন। এর ১৩ বছর পর তিনি জারার প্রথম স্টোর খোলেন। বাকি গল্প চূড়ান্ত সফলতার। তিনি হয়ে ওঠেন স্পেনের শীর্ষ ধনী।
৬. মাইকেল সল ডেল
ডেল ব্র্যান্ডের কম্পিউটার কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাইকেল সল ডেল। বর্তমানে তিনি ৫ হাজার ৫১০ কোটি ডলার সম্পদের মালিক। সেই সুবাদে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে ২৫তম স্থানে আছেন। মা-বাবার মন রাখতে নিজ দেশ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু যখন তিনি উপলব্ধি করলেন যে অর্থ উপার্জনের প্রতি তাঁর দুর্বলতা আছে, তখনই ভাবলেন, চিকিৎসক হওয়ার জন্য আর সময় নষ্ট করা যাবে না। ব্যস, মাত্র ১৯ বছর বয়সেই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ১৯৮০ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ডেল কম্পিউটার কোম্পানি।
৭. লি কা শিং
হংকংয়ের বিজনেস ম্যাগনেট ও বিনিয়োগকারী লি কা শিং এখন ৩ হাজার ২২০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে দুনিয়ার ৪১তম অতিধনী। তিনি সেই দেশের সিকে হাতসিশন হোল্ডিংসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা। পিতার অকালমৃত্যুর কারণে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তিনি লেখাপড়া ছাড়তে বাধ্য হন এবং একটি প্লাস্টিক কোম্পানির চাকরিতে যোগ দেন। পরে নিরন্তর প্রচেষ্টার সুবাদে ১৯৫০ সালে নিজেই চিউং কং ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি কোম্পানি খোলেন। পরবর্তী সময়ে আবাসন কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন এবং চরম দুরবস্থার মধ্যেও হয়ে ওঠেন আশার বাতিঘর।
৮. ডাস্টিন মস্কোভিটজ
ডাস্টিন অ্যারন মস্কোভিটজ একজন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাকালে তিনি মার্ক জাকারবার্গ, এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, এন্ড্রু ম্যাককলাম ও ক্রিস হিউজেসের সঙ্গেই ছিলেন। অর্থাৎ তিনি ফেসবুকের একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা। ফেসবুক ছেড়ে ২০০৮ সালে তিনি ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুতকারক আসানারও সহপ্রতিষ্ঠাতা হয়েছিলেন। এখন তিনি ২ হাজার ৪১০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের ৭৮তম ধনী। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০১১ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে কনিষ্ঠতম অতিধনী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করে। ডাস্টিন মস্কোভিটজও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তিনি জাকারবার্গের রুমমেট ছিলেন।
৯. জ্যাক ডোরসি
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যাক ডোরসির ধনসম্পদের নিট মূল্য এখন ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। টুইটার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মিজৌরি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির লেখাপড়া ছেড়ে চলে আসেন। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩৩ কোটি মানুষ সক্রিয়ভাবে টুইটার ব্যবহার করেন, যা তাঁর ভাগ্য সুপ্রসন্ন করে তুলেছে।
১০. জ্যান কোওম
জনপ্রিয় মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ তথা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কোওম। ১৯৯৭ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি যখন ওয়েবসাইট ও সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুতে কাজ করতে শুরু করেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান জোসে ইউনিভার্সিটি থেকে বাড় পড়েন। এরপরই তিনি হোয়াটসঅ্যাপ চালু করেন। ২০১৪ সালে ফেসবুক ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে হোয়াটসঅ্যাপকে অধিগ্রহণ করে। হোয়াটসঅ্যাপ বিক্রি করে তিনি ৬৮০ কোটি ডলার পেয়েছিলেন।
সূত্র: ইয়াহু! ফিন্যান্স, ফোর্বস ও উইকিপিডিয়া।