বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোর আগ্রহ বাড়ছে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আগামী মার্চে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনার শিডিউল নিয়েছে সৌদি এয়ারলাইনস। কাতার এয়ারওয়েজ ও টার্কিজ এয়ারলাইনস দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানা গেছে।
উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
রানওয়ে সম্প্রসারণ, আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বদলে গেছে শাহ আমানতের পুরনো চিত্র। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ২৪ ঘণ্টাই চালু করা হয়েছে বিমানবন্দর। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগার পর থেকে বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোরও শাহ আমানতের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার তাসলিম আহমেদ বলেন, ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।
এখন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হচ্ছে। রানওয়ে সম্প্রসারণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ায় বিদেশি বড় বিমান সংস্থাগুলো ফ্লাইট অপারেশনের আগ্রহ দেখাচ্ছে। ’ জানা যায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েসহ আধুনিক সুবিধা যুক্ত হওয়ায় এক মাস আগে থেকে ২৪ ঘণ্টা পরীক্ষামূলক চালু রাখা হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ প্রায় শেষ।
৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকায় এ প্রকল্পের লাইটিংয়ের কাজ শেষ হলে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্যাসেঞ্জার ও কার্গো সিকিউরিটি ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং টার্মিনাল সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বোর্ডিং ব্রিজ স্থাপন, লিফ্ট, কানেক্টিং করিডোর ও ডিপার্চার লাউঞ্জ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কার্গো ভিলেজে অত্যাধুনিক ইডিএস (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকসন সিস্টেম) এবং ইডিএস-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম সংস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানা যায়, ঢাকার পর দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বিমানবন্দর হচ্ছে চট্টগ্রাম।
এ বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি নিয়তই বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। ফলে বেড়েছে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও। গত অর্থবছরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আয় করেছে রেকর্ড ২০০ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে যা ছিল ১০৬ কোটি টাকা। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শাহ আমানতের আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি টাকা।