বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের নতুন রেকর্ড ৫ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যটকের চোখে জাফলংয়ের সৌন্দর্য ফুডপান্ডায় চাকরি চট্টগ্রাম-কুনমিং ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এই ইরানি শিশুর আয় কত জানলে অবাক হবেন হজযাত্রীদের জন্য ‘সৌদি পারমিট’ নিয়ে নতুন নির্দেশনা নিবন্ধন না করে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি থাকলে দৈনিক জরিমানা ৯৯৮ ডলা বছরে ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে ডিপোর্টেশনের টার্গেট এবার নাগরিকত্বের সাক্ষাৎকারে দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী

শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পরিচালনায় জাপানি কনসোর্টিয়াম

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ পরিচালনায় শুরু থেকেই জাপানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলে আসছে। অবশেষে জাপানের দুটি সরকারি ও চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত ‘‌বিশেষায়িত কোম্পানি’ ১৫ বছরের জন্য নবনির্মিত টার্মিনালটি পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পাচ্ছে। দেশটির কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে এক মাসের মধ্যে এ-সম্পর্কিত চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কর্মকর্তারা।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, জাপানি কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্বে থাকবে দেশটির বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান সুমিতোমো করপোরেশন। চারটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি একই কনসোর্টিয়ামের অংশীদার জাপানের মিনিস্ট্রি অব ল্যান্ড, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্যুরিজম ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) মডেলে বিশেষ এ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করবে বাংলাদেশ।

থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব এরই মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিমান অবশ্য সে কাজটি করবে জাপানি কনসোর্টিয়ামের অধীনে।

বেবিচক সূত্র বলছে, থার্ড টার্মিনাল থেকে দুই ধরনের আয় হবে। অ্যারোনটিক্যাল আয়ের মধ্যে অ্যামবার্কেশন ফি ও বোর্ডিং ব্রিজের চার্জ আদায় করবে জাপানি কনসোর্টিয়াম। আর নন-অ্যারোনটিক্যাল আয়ের মধ্যে বিমানবন্দরের সার্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমের পুরোটাই থাকবে তাদের হাতে। এসব আয় দিয়েই টার্মিনালের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণকাজ করা হবে। এরপর যে অর্থ উদ্বৃত্ত থাকবে, তার একটি অংশ পাবে পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জাপানি কনসোর্টিয়াম, আরেকটি অংশ পাবে বাংলাদেশ সরকার।

চুক্তির খসড়া এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে বলে বণিক বার্তাকে নিশ্চিত করেছেন বেবিচকের কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, জাপানি কনসোর্টিয়ামকে খসড়া চুক্তির জন্য ‘‌রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল’ পাঠানো হয়েছে। পিপিপি আইন অনুযায়ী, এটা পাওয়ার পর তারা সর্বোচ্চ ৪২ দিন সময় নিতে পারে। যদিও বেবিচক কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, এক মাসের মধ্যেই চুক্তি সম্পাদন হয়ে যাবে।

চুক্তির পর পরই অবশ্য টার্মিনালে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে না অপারেটর প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ করে টার্মিনালের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে তাদের ছয় থেকে আট মাসের মতো সময় লাগতে পারে বলে বেবিচক সূত্রে জানা গেছে।

থার্ড টার্মিনালের অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘‌প্রায় এক মাস ধরে তাদের (জাপানি কনসোর্টিয়াম) সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে তাদের রিকোয়েস্ট ফর প্রপোজাল এবং কনসেশন এগ্রিমেন্ট দিয়েছি। টার্মস নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়ে গেছে।’

জাপানি কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে থার্ড টার্মিনালের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স চুক্তির বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‌একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। শিগগিরই আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করে ফেলব। এরপর আমরা থার্ড টার্মিনাল অপারেশনে যাব। চুক্তি সম্পন্ন করার পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে অপারেশনে যেতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’

টার্মিনাল থেকে আয় হওয়া রাজস্ব কীভাবে বণ্টন হবে এমন প্রশ্নে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‌এটা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। যা আয় হবে, তার বড় অংশই টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে। বাকি অংশের এক ভাগ পাব আমরা, আরেক ভাগ অপারেটর। যেহেতু এখনো চুক্তি চূড়ান্ত হয়নি, সেহেতু রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।’

শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ হচ্ছে জাইকার ঋণে। ২ হাজার ১৩৯ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে জাপানের আর্থিক সংস্থাটির ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। ঋণদাতা দেশের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টার্মিনালের নির্মাণকাজেও যুক্ত ছিল।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তরিঘড়ি করে থার্ড টার্মিনালের ‘সফট লঞ্চিং’ করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় টার্মিনাল প্রকল্পের অগ্রগতি ছিল ৯০ শতাংশ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে টার্মিনাল ভবন প্রস্তুত থাকলেও অপারেটর না থাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এক মাসের মধ্যে অপারেটরের সঙ্গে চুক্তি হলে চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হতে পারে। সূত্র: বনিকবার্তা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com