অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমারের প্রস্তাবের সমালোচনা করেই এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী৷ রক্ষণশীলদের দাবি, লেবার পার্টির প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে প্রতি বছর আরো হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থী যুক্তরাজ্যে আসার সুযোগ পাবে৷
অনিয়মিত অভিবাসন ইস্যুতে সাধারণ ক্ষমা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক একটি চুক্তির কথ
ভোটারদের কাছে টানতে অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে রক্ষণশীলেরা৷ এর মধ্যে অন্যতম হলো জুলাই থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর কাজটি শুরু করা৷ চ্যানেলজুড়ে নৌকা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বর্তমান সরকার৷
লেবার পার্টি জানিয়ে রেখেছে, তারা ক্ষমতায় এলেই বাদ দেয়া হবে সুনাক সরকারের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি ‘রুয়ান্ডা পরিকল্পনা৷’
কিন্তু সুনাক সরকারের এত উদ্যোগের পরও ইংলিশ চ্যানেলে থামছে না আশ্রয়প্রার্থীবাহী নৌকার সংখ্যা৷ চলতি বছর প্রথম ছয় মাসে আবারো রেকর্ড সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থী পৌঁছেছেন দেশটির উপকূলে৷
ছয় মাসে রেকর্ড আশ্রয়প্রার্থী
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস না পেরোতেই ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়েছে৷ ছয় মাসের হিসাবে সংখ্যাটি রেকর্ড৷
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার চারটি নৌকা নিয়ে ২৫৭ জন আশ্রয়প্রার্থী এসেছে দেশটিতে৷ সব মিলিয়ে চলতি বছর ব্রিটিশ উপকূলে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা হয়েছে ১২ হাজার ৯০১৷
এর আগে ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৭৪৭৷ তবে ২০২৩ সালের একই সময়ে সংখ্যাটি কিছুটা কমে হয়েছিল ১১ হাজার ৪৩৩৷
গত বছর সর্বমোট ২৯ হাজার ৪৩৭ জন আশ্রয়প্রার্থী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন৷ তার আগের বছর এসেছিলেন রেকর্ড ৪৫ হাজার ৭৭৪ জন৷ সেই হিসাবে গত বছর আশ্রয়প্রার্থী আসার হার ৩৬ শতাংশ কমেছিল৷
৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন৷ গত ২২ মে ভোটের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক৷ তারপর থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত তিন হাজারেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী এসেছেন দেশটিতে৷
ফরাসি উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের তথ্য সংরক্ষণ করা শুরু হয়েছে ২০১৮ সালে৷ হিসাব বলছে, গত সাড়ে ছয় বছরে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে দেশটিতে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা হয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ২৪৬ জন৷
আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাজ্যে না রেখে রুয়ান্ডা পাঠানোর পরিকল্পনার নেয়ার পর অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ৮২ হাজার ২৬৫ জন আশ্রয়প্রার্থী দেশটিতে এসেছেন৷