লেবাননে অনিয়মিত বা অবৈধভাবে বসবাসরতদের বৈধকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটিতে থাকা অনিয়মিত বাংলাদেশিরা বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) লেবাননের বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈধকরণ কর্মসূচি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈধকরণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য লেবানন জেনারেল সিকিউরিটি বা আমলনামা অফিস থেকে দেওয়া আবেদন ফরম বা সেটেলমেন্ট অ্যাপ্লিকেশন ফরম পূরণ করতে হবে কর্মীদের। আর আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য কর্মীকে তার নতুন নিয়োগকারীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে। দূতাবাসে উপস্থিত হওয়ার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৈধ হওয়ার আবেদন ফরম পূরণ করতে ফেব্রুয়ারির ১৩, ১৫, ১৮, ২৭ ও ২৯ তারিখ নিয়োগকর্তাসহ কর্মীকে দূতাবাসে উপস্থিত হতে হবে।
উল্লিখিত তারিখে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আবেদন করার জন্য কর্মীকে পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি রঙিন ছবি, পাসপোর্ট এবং নতুন নিয়োগকারীর আইডির ২ সেট ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে। যে কোম্পানির অধীনে বৈধ হবেন, সেই নিয়োগকারী কোম্পানির বাণিজ্যিক লাইসেন্স, কৃষিকাজের ক্ষেত্র নিয়োগকারীর ভূমির মালিকানা সনদ, গৃহকর্মী কাজের জন্য নিয়োগকারীর বেতন বা আয়ের সার্টিফিকেট, এবং কনসিয়ার্জ বা নাতুর কাজের জন্য ভূমি বা বিল্ডিংয়ের মালিকানার সার্টিফিকেট অথবা বিল্ডিং কমিটির নোটারাইজ চুক্তিপত্রের ২ সেট করে ফটোকপি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
লেবানন জেনারেল সিকিউরিটি বা আমলনামা অফিসের সার্ভিস চার্জের জন্য দিতে হবে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা। আকামা না থাকলে প্রতি বছরের জন্য পুরুষ কর্মীকে দিতে হবে প্রায় ৩ হাজার এবং নারী কর্মীর জন্য ২ হাজার ৩শ টাকা। লেবানন শ্রম মন্ত্রণালয়কে কর্মীর ওয়ার্ক পারমিট না থাকার জন্য দিতে হবে ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসের জব কন্ট্রাক্ট সত্যায়ন ফি ৭০ ডলার এবং পাসপোর্ট নবায়নের প্রয়োজন হলে তার জন্য দিতে হবে আরও ৩৩ ডলার।
এ ছাড়া বৈধকরণ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য দূতাবাসের ফ্রন্ট ডেস্ক নম্বর ৭১২ ১৭১ ৩৯, হেল্পলাইন- ৮১৭ ৪৪২ ০৭ এবং ল্যান্ডলাইন- ০১৮ ৪২৫ ৮৬-৭ পর্যন্ত নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।