পশ্চিমবঙ্গের কালিংপঙ জেলার একটি শহর হল লাভা। এটি নিন্ম হিমালয়ে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৭২০০ ফিট। এটি বিখ্যাত নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্দ্যানে যাওয়ার প্রধান গেটওয়ে। খুব শীতে এখান বরফও পড়তে দেখা যায়। এটি বাঙালির পরিচিত একটি পর্যটন কেন্দ্র।
এখান থেকে গাড়ীতে আপনিগ্যাংটক,পেলিং,গেজিং,কালিঙ্পং,লাভা,দার্জিলিং,লোলেগাঁও,রিষভ,গরুমারা,জলদাপাড়া, রাজা ভাত খাওয়া, ফুলসিলিং,সামসিং,মিরিক,নামচী সহ অন্যান্য জায়গায় সহজেই যেতে পারবেন।
শিলিগুড়ি থেকে এর দুরত্ব ১০১কিমি,কালিঙ্পং থেকে এর দুরত্ব ৩২ কিমি,মিরিক থেকে এর দুরত্ব ১৪৫ কিমি,পেডং থেকে এর দুরত্ব ২২ কিমি, কার্শিয়ং থেকে এর দুরত্ব ৯৯ কিমি,দার্জিলিং থেকে এর দুরত্ব ৮০ কিমি,গ্যাংটক থেকে এর দুরত্ব ৮৭ কিমি,লোলেগাঁও থেকে এর দুরত্ব ৫১ কিমিরিশভ থেকে এর দুরত্ব ৭ কিমি,পেলিং থেকে এর দুরত্ব ১২১কিমি,নামচী থেকে এর দুরত্ব ৮২ কিমি,জলদাপাড়া থেকে এর দুরত্ব ১২২ কিমি,জয়গাঁও থেকে এর দুরত্ব ১৪৭ কিমি,সামসিং থেকে এর দুরত্ব ৬৬ কিমি,আলিপুর দুয়ার থেকে এর দুরত্ব ২৬ কিমি,গরুমারা ফরেস্ট থেকে এর দুরত্ব ৭৩ কিমি,সেবক থেকে এর দুরত্ব ৭৮ কিমি।এখানকার নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্দ্যানটি এক কথায় অসাধারণ।এখানে বেশ কিছু প্রাণী দেখতে পাওয়া যায়।যার মধ্যে রেড পান্ডা হল প্রধান।প্রচুর পর্যটক এখানে আসে।লাভা শহরের আকর্ষণীয় ঘোরার জায়গাগুলি হল রিশভ, লোলেগাঁও, পেডং, লাভা, মনেস্ট্রি, ন্যাওড়া, ভ্যালী, জাতীয়, উদ্দ্যান, নেচার, ইন্টার, প্রিটেশন, সেন্টার, চ্যাঙ্গেলা জলপ্রপাত, টিফিনধারা ভিউ পয়েন্ট, ইত্যাদী।
লাভার ব্যবহৃত ভাষা
নেপালি,বাংলা,হিন্দি।
পোস্ট অফিস
হসপিটাল
কাছাকাছি মার্কেট
হোটেলস/হোমস্টে
লাভায় থাকার জন্য কিছু হোটেল, হোমস্টে রয়েছে। এখানে ঘরের ভাড়া ৬০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এখানে যে হোটেল,হোমস্টে গুলি রয়েছে তার ভাড়া ২৫০০ টাকার কম। সিজনে এখানে আগে থেকে বুক করলে ভাল হয়।
কিছু হোটেল ও হোমস্টের নাম
হলিডে হোম
* হোটেল সক্রাংন্ত কোনো ভুল তথ্য বা কোনো ভুল ব্যবহার হয়ে থাকলে তার দায় ask2q.com এর উপর বর্তাবে না।
স্থানীয় ঘোরার জায়গা
রিষভ
এটি লাভার এর অন্যতম প্রধান সুন্দর, আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কোনো পর্যটক যদি মনে করে শহরের বাইরে পাহারে কোন রোমান্টিক জায়গায় কয়েকটি দিন কাটাবে।তবে এর থেকে সুন্দর জায়গা বোধহয় হয় না। জানলা খুললেই চারিদিকে পর্বতের চূড়ার সারি। তার মাঝেই চোখ আটকে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘায়। তবে রাস্তা থাকলেও অনেক পর্যটক এই পথটি ট্রেক করে যেতে পছন্দ করেন। প্রকৃতি কত সুন্দর এখানে না এলে জানা যায় না।
এটি লাভার এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি লাভা শহরের উপকন্ঠে অবস্থিত।এটি কাগু থেকচেন লিং মনেস্ট্রি নামেও পরিচিত।এটি তৈরী হয়েছিল ১৯৮০ সালে।এটি খুব সুন্দর করে সাজানো। মনেস্ট্রীর দেওয়াল খুবই উজজ্বল ও রঙীণ।যা দেখতে সুন্দর লাগে।বুদ্ধ সন্ন্যাসীরা এখানে শিক্ষা ও আধ্যাত্বিকতার কাজে নিযুক্ত থাকে।
এটি লাভার এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।এটি লাভা জিপ স্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে রিশি রোডের ওপর অবস্থিত। এটি নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্দ্যানের প্রবেশ দ্বারের নিকটে অবস্থিত যা লাভা ট্যুরিজমের একটি সুন্দর জায়গা।যে সমস্ত প্রকৃতি প্রেমিক বণ্য জীবজন্তু নিয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চান তাদের জন্য এটি অসাধারণ জায়গা। এখানে আপনি বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের ও পাখিদের ছবি,তাদের মডেল সহ অন্যান্য জিনিষ দেখতে পাবেন।
লাভার এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ঘোরার জায়গা হল চ্যাঙ্গেলা জলপ্রপাত।লাভা থেকে এর দুরত্ব ১০ কিমি। এটি প্রায় কালিংপঙ এর কাছাকাছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা এই জায়গাটি এক কথায় অসাধারণ বললে কম এই জায়গাটি প্রকৃতি প্রেমীদের খুব ভাল লাগবে।১৫০ ফুট উপর থেকে জলের ধারা পড়ছে। এর চারিদিকে রয়েছে গভীর বন ও পাহাড়। এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখতে পাওয়া যায়। পাখি প্রেমীরা এখানে দীর্ঘ সময় কাটাতে ভালোবাসে।
এটি লাভার অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। লাভা থেকে এর দুরত্ব প্রায় ৪ কিমি। প্রাকৃতিক সবুজ গাছপালায় ভরা একটি মনোরম জায়গা এটি। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতকে দেখতে অসাধারণ লাগে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ২৩৬০ মিটার। এছাড়া এখান থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের দৃশ্য অসাধারণ লাগে। মূলত এর জন্যই এটি বিখ্যাত। লাভা থেকে পাইন,অর্কিড,রোডোডেনডং সহ অন্যান্য গাছের ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের উপরের দিকে এই সুন্দর জায়গাটি অবস্থিত।
গুম্ভধারা
এটি একটি সুন্দর মনোরম জায়গা।গুম্ভধারা পয়েন্টটি ৬ কিমি পাহাড়ের উপরের দিকে হেঁটে গেলে পড়বে।এখানে একটি বুদ্ধ মনেস্ট্রি রয়েছে।এছাড়া গৌতম বুদ্ধের একটি স্ট্যাচুও বর্তমান।
লাভা : পশ্চিমবঙ্গের একটি পর্যটন কেন্দ্রলোলেগাঁওকে লাভার যমজ পাহাড়ী শহর বলা হয়। এটি লাভার কাছাকাছি এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি লাভা থেকে প্রায় ৫০ কিমি দুরে অবস্থিত। এটি সাইপ্রেস ও ধূপি বনাঞ্চল দ্বারা পরিবৃত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৫৫০০ ফুট। এখান থেকে হিমালয়ের বরফে আবৃত চূড়াগুলি খুব সুন্দর দেখতে লাগে। এখানে বেশ কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট রয়েছে। এটি গাছের ওপর দিয়ে হাঁটা মানে ক্যানোপি ওয়াকের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রচুর পাখি ও জন্তু জানোয়ার রয়েছে।
এটি লাভার কাছাকাছি এর অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। লাভা থেকে এর দুরত্ব ২১। এটি একটি পাহারী শহর। কালিঙ্পং ও লাভার মধ্যবর্তী জায়গায় এটি অবস্থিত। প্রায় ৩৯৭০ ফুট উপরে অবস্থিত এটি। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য অসাধারণ দেখতে লাগে।একদুদিন নিরিবিলিতে কাটিয়ে দেওয়ার জন্য এটি খুব সুন্দর জায়গা।
লাভার এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ঘোরার জায়গা হল নেওড়া ভ্যালী জাতীয় উদ্দ্যান।লাভা থেকে নেওড়া ভ্যালী জাতীয় উদ্দ্যানের দুরত্ব খুবই সামান্য। সমগ্র পূর্ব ভারতে এটি খুব সমৃদ্ধ শালী বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণালয়।প্রায় ৯০ বর্গ কিমি জায়গা জুড়ে এর অবস্থান।এর দক্ষিণে চম্পামারি বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণালয় ও গরুমারা অভয়ারণ্য অবস্থিত।এখানে বিভিন্ন ধরনের জন্তু ও পাখি দেখতে পাওয়া যায়।জন্তুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল রেড পান্ডা,প্যাঙ্গোলিন,হিমালয়ান ভালুক,সম্বর,বাঘ ইত্যাদী।প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরা এই জায়গাটি এক কথায় অসাধারণ বললে কম বোঝায়। এই জায়গাটি প্রকৃতি প্রেমীদের খুব ভাল লাগবে।
এর পাশাপাশি আরো কয়েকটি ঘোরার জায়গা হলঃ
লাভাতে যাওয়ার সেরা সময়
গরমে এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী থেকে ২৮ ডিগ্রীর মধ্যে ঘোরা ফেরা করে। শীতে গড় তাপমাত্রা ৪ থেকে ১৮ ডিগ্রীর মধ্যে থাকে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারী এখানে ঘুরতে ভাল লাগবে।
গাড়ীতে স্থানীয় ভ্রমণ :
আপনি এখানে গাড়ী ভাড়া নিতে পারবেন। গাড়ী ভাড়া নিয়ে আপনি স্থানীয় স্পটগুলি ঘুরতে পারবেন। সারাদিনের জন্য কোথায় গেলে ভাড়া হয় ২২০০-৩০০০ টাকা। আপনি দিনের বেলায় সকল স্পটগুলি ঘুরতে পারেন।