ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ রোমানিয়ায় ২০২৫ সালে ৩ লক্ষ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে , বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করতে পারে। রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ এবং কৃষি, নির্মাণ, হসপিটালিটি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। এখানে কাজের সুযোগ-সুবিধা, ভিসার প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য সুবিধাসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. যেখানে চাহিদা বেশি
কৃষি খাত: মৌসুমী কাজ, ফসল তোলা এবং প্রসেসিং।
নির্মাণ খাত: নির্মাণ শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ারিং, এবং টেকনিশিয়ান।
হসপিটালিটি: হোটেল ও রেস্টুরেন্টের কাজ (বাবুর্চি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সার্ভিস স্টাফ)।
স্বাস্থ্যসেবা: নার্স, কেয়ারগিভার, এবং হাসপাতালের সহায়ক কর্মী।
বেতন: পেশা অনুযায়ী মাসিক ৬০০-১২০০ ইউরো হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ওভারটাইমের জন্য আলাদা পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।
থাকা ও খাওয়া: অনেক নিয়োগকর্তা কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা এবং আংশিক বা সম্পূর্ণ খাবারের খরচ বহন করেন।
স্বাস্থ্য সুবিধা: ইউরোপীয় দেশ হিসেবে রোমানিয়ার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় কর্মীদের জন্য ভাল সুযোগ রয়েছে।
কাজের পরিবেশ: আইনী সুরক্ষা এবং শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা হয়।
ভিসা প্রক্রিয়া ও শর্তাবলী
রোমানিয়ায় কাজ করার জন্য ওয়ার্ক ভিসা প্রয়োজন।
এটি পেতে একটি বৈধ নিয়োগপত্র (Job Offer) থাকতে হবে।
বৈধ পাসপোর্ট।
নিয়োগকর্তার কাছ থেকে চুক্তিপত্র।
কাজের জন্য প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
৩৫*৪৫ সাইজ ছবি।
রোমানিয়ায় কাজ করার সুবিধা
1. ইউরোপের পরিবেশ: রোমানিয়ায় কাজ করার মাধ্যমে আপনি ইউরোপের অন্যান্য দেশে অভিজ্ঞতা ও যোগাযোগ বাড়াতে পারবেন।
2. ভালো আয়ের সুযোগ: বেতন তুলনামূলক ভালো এবং বৈদেশিক মুদ্রায় আয় করার সুযোগ।
3. পারিবারিক অভিবাসন: দীর্ঘমেয়াদী কাজের পর পরিবারকেও নিয়ে আসার সুযোগ থাকতে পারে।
4. স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সম্ভাবনা: যদি কাজের মেয়াদ দীর্ঘ হয়, তবে স্থায়ী রেসিডেন্সি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে।
1. ভাষার প্রতিবন্ধকতা: রোমানিয়ান ভাষা জানা বাধ্যতামূলক নয়, তবে শিখলে কাজের সুবিধা হয়।
২. কাজের চাপ: কিছু সেক্টরে কাজের সময় ও চাপ বেশি হতে পারে।
3. অসাধু এজেন্সি: প্রতারণা এড়াতে সরকার অনুমোদিত এজেন্সি ব্যবহার করুন।
4. আবহাওয়া ও পরিবেশ: রোমানিয়ার ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
Like this:
Like Loading...