1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
রিবনিক, দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের একটি শহর
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

রিবনিক, দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের একটি শহর

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১

রিয়াল মাদ্রিদ এবং পোলিশ ন্যাশনাল ফুটবল দলের গোলরক্ষক জেরী ডুডেক এর রিবনিক, রুদা নদীর তীরে তুলনামূলকভাবে পরিষ্কার পরিবেশ থাকাতে “সবুজ” শহর খ্যাতি ভোগ করছে পোল্যান্ডের যে শহরটি , তারই নাম রিবনিক।

এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন থেকে পোল্যান্ডের একটি সীমান্তবরতী ( চেক রিপাবলিক ও স্লোভাকিয়া) শহর রিবনিকের এই হিচ হাইকিং ( বাই রোড) থেকেই আমি এস্তোনিয়ান, লাটভিয়া্ন, লিথুয়ানিয়ান আর পোলিশ জাতির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সম্পর্কে আর এই দেশগুলোর বিশালতা, ভউগোলিক দর্শনীয় স্থান আর সংস্কৃতি সম্পরকে অভিজ্ঞতা নিতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ্‌।

এটি ছিল চ্যালেঞ্জিং , প্রায় ২০০০ কি,মি,। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় হয়েছিল নব সংযোগ। প্লেনে সময় লাগে প্রায় ৩ঃ৩০ মিনিট, তবে রিবনিক পর্যন্ত নয়, কাতওিচে পর্যন্ত।

আমি শিখেছি ধৈর্য এবং নমনীয় হতে, প্রবৃত্তিকে বিশ্বাস করতে, শিখেছি পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে, এবং আর উপভোগ করেছি প্রতিটি মুহূর্ত করি, যা সবসময় সহজ নয় আর সম্ভবও নয়।

২০০৯ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে গিয়েছিলাম এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনে, এস্তোনিয়ান গার্মেন্টস ইম্পোরটিং কোম্পানি সুভা এর ডিরেক্টর অ্যালেক্স এর সাথে এক ব্যবসায়িক মিটিঙে।

তাল্লিন থেকে পরবর্তী মিটিং ছিল এই পোল্যান্ডেরই “সবুজ” শহর খ্যাত রিবনিকে, আমার পোলিশ ( গার্মেন্টস ব্র্যান্ডের ) হোস্ট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্টের সাথে। আগে থেকে কমিউনিকেশন চলছিল হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েকের সাথে, যে খুব ভাল ইংরেজী জানে।

ব্যবসায়িক সফরে্র কারনেই করতে হচ্ছিল বিমান ভ্রমণ, কর্পোরেট লেভেলের থাকা খাওয়া, চলা ফেরা।

আর তাই মনে মনে ভাবলাম কেমন হয় আকাশ পথে ভ্রমণ না করে, সড়ক পথে ভ্রমণ করলে ? এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিন থেকে পোল্যান্ডের রিবনিক পর্যন্ত হিচ হাইকিং করলে ! ব্যাকপ্যাকিং ! !

যেই ভাবা সেই কাজ। এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনের সকল ব্যবসায়িক কাজ শেষ করেই সাথে, আমার প্রিয় গ্যাজেট এসার ল্যাপটপ, এইসটিসির ডূপডের পিডিএ আর সনি ডিজিটাল ক্যামেরা সহ কিছু হালকা কাপড়ের সাথে শুধুমাত্র এক সেট ফর্মাল ড্রেস সাথে নিয়ে) আর কিছু প্রয়োজনীয় ফাইল সাথে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম তাল্লিনের বাস স্টেশনের দিকে।

ইচ্ছে আছে সময় ও সুযোগ পেলে এস্তোনিয়ার ভ্রমণ সম্পর্কে ও লিখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ্‌।

তাল্লিন থেকে রিগা তে আপনি বিভিন্ন ভাবে যেতে পারেন, বিমানে, বাসে, ট্রেনে এমনকি ক্রুজেও।

সময় তা ছিল জুলাই মাস। গ্রীষ্মকাল। আমি গিয়েছিলাম বাসে। তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশন থেকে রিগা পর্যন্ত। খুজতে লাগলাম সবচেয়ে সস্তায় কিভাবে রিগা পর্যন্ত যাওয়া যায়, অনেক খুজে পেলাম তাল্লিন্ন বাস ষ্টেশনে লাক্স এক্সপ্রেস এর ডাবল ডেকার বাসগুলো। আমার কাছে সস্তায় ভাল লেগেছিল লাক্স এক্সপ্রেস এর বাসগুলোই। কিন্তু আমাদের দেশের মত সস্তার তিন অবস্থা নয়।

– বাসের ভিতর পরিষ্কার ওয়াশ রুম (শৌচাগার)
– পেয়েছি দুর্দান্ত স্পীড, কিন্তু সিটে বসে কফি খেলেও আপনার কাপড়ে পরবে না। বুঝতে পেরেছেন !!! কি রকম দক্ষ ড্রাইভার আর কি রকম রাস্তা !
– আর ফ্রীতে পেয়েছি অসাধারন মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্য

লাক্স এক্সপ্রেসের ছবিসহ আরো কিছু তথ্য পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে আরো কিছু তথ্য পাবেন।

আমি আগে থেকে টিকেট কেটে রাখিনি, বাস ষ্টেশনে গিয়েই কেটেছিলাম, আর তাই ভাড়াও লেগেছিল একটু বেশি, ২০ ইউরো। কিন্তু আপনি যদি আগে থেকে ( ৩ দিন বা ৭ দিন বা ২০ দিন), কাউন্টারে বা অনলাইনে টিকেট কিনেন, তবে ৮ ইউরো থেকে ১২ ইউরোর মাঝেও পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি হিসেব করেন ২০ ইউরো মানে ১৬০০ টাকা???? এতো অনেক টাকা। কিন্তু না অনেক টাকা নয়। বাল্টিক দেশগুলোতে যারা সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে্ন, তারাও পায় ঘণ্টায় ২ থেকে ৫ ইউরো, যারা স্কেন্ডিনেভিয়ান আর বেনেলুক্স দেশগুলোতে সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করেন, তারা পায় ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ ইউরো আর যারা সাউথ ও ইষ্ট ইউরোপের দেশগুলোতে সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে, তারা পায় ঘণ্টায় ৬ থেকে ১৫ ইউরো। তবেই বুঝুন ! ! ! সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ২ বা ৪ ঘণ্টার আয়ের টাকা দিয়ে আপনি বাসে করে সস্তায় কিন্তু সবেচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে এক দেশ থেকে আরেন দেশ ভ্রমণে যাচ্ছেন !!!!!

পারব কি আমি আমার দেশে বা সার্কের কোন দেশে ? সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ২ বা ৪ ঘণ্টার আয়ের টাকা দিয়ে বাসে করে সস্তায় কিন্তু সবেচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে এক দেশ থেকে আরেন দেশ ভ্রমণ করতে !!!!!

অথচ একজন খেটে খাওয়া মানুষ হিসেবে, আমাকে আমার দেশেও ট্যাক্স দিতে হয়, আর স্পেনেও আমাকে ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু নাগরিক সুবিধা প্রাপ্তির পার্থক্য একটু বিশালই বটে।

মহান আল্লাহতায়ালার কাছে এটাই প্রার্থনা করি, ইনশাআল্লাহ্‌ একদিন আমার দেশ বাংলাদেশেও আমরা, বিশেষ করে নিম্নবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষেরা সর্বনিম্ন ব্যয় করে সবেচেয়ে বেশি নাগরিক সুবিধা পাব।

ছিলাম বাসের দোতলাতে, একদম সামনে, ড্রাইভারের ঠিক মাথার উপরে, ঘুমিয়ে পরেছিলাম রিগার কাছা কাছি আসার আগেই ঘুম ভেঙ্গে গেল। সামনে তাকিয়ে দেখি যেন বসে আছি ৫০০” লেড টিভির সামনে। কি অসাধারণ দৃশ্য সূর্য মামা অস্ত যাচ্ছে ! লাল টকটকে নীল আকাশের মাঝে আর নিচে ধূসর সবুজ ! ! ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা সেই মনমুগ্ধকর দৃশ্যটি ! ! !

ভাবলাম সন্ধ্যা হয়েছে সূর্য তো অস্ত যাবেই। আচমকা সাথে থাকা পিডিএ ( এইচটিসি এর ডুপড) এর দিকে চোখ যেতেই ছানাবড়া ! ! !
– রাত ১১ টা বাজে ! সূর্য মামা অস্ত যাচ্ছে ! ! !
– ছোটবেলাতে তো পরেছিলাম উত্তর গোলার্ধ।
– ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি তো এখন উত্তর গোলার্ধের কাছেই, হাহাহাহা নর্থ পোল থেকে মাত্র ১৬০০ কি,মি, দূরে ! ! ! কার ড্রাইভে মাত্র ১৮ ঘন্টা ! ! !
– আর তাইতো সূর্য অস্ত যাচ্ছে রাত ১১ টায় আর সূর্য উঠতে দেখেছি মধ্য রাতে ! রাত ৩ টায়।

তাল্লিনের বাস স্টেশন থেকে চলে এসেছিলাম লাটভিয়ার রাজধানী রিগায়।
আপনদের সময় , সুযোগ আর ইচ্ছে হলে,আমার লাটভিয়া ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পরতে পারেন আমার ফেসবুকের টাইম লাইন থেকে। অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমার লেখাতে ভুল্ভ্রান্তি গুলোর কারণে, আমি তো আর প্রফেশনাল লেখক নই, এরপর আবার সাহিত্যের শব্দ চয়নে অনেক দুর্বল।

দীর্ঘ পথের এস্তোনিয়ার রাজধানী তাল্লিনের থেকে লিথুয়ানিয়ার কাউনাস হয়ে, পোল্যান্ডের ওয়ারস আর লজ হয়ে পৌঁছেছি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই এই রিবনিক এর কাছাকাছি ৬০ কি।মি। দূরে কাতোউচে তে হিচ হাইকিং করেই।

লিথুয়ানিয়ার ভ্রমণ সম্পর্কেও লিখার ইচ্ছা আছে ইনশাআল্লাহ্‌।

poland3

পোল্যান্ডে লেখক শিবলি সাদিক ও পাশে বিগ বস তাদেউসের একমাত্র ছেলে টমাস, ডান পাশে বারবারা আর সামনে বিগ বস তাদেউস

পোল্যান্ড:
অপার বিস্ময়ের একটি দেশ। এই দেশের গণ-অভিরুচি কীভাবে পুরো পূর্ব-ইউরোপের রাজনীতির চেহারা পালটে দিলো, তা নিঃসন্দেহে গভীর অনুসন্ধানের বিষয়।

ফিনিক্স পাখির মতো ভস্ম থেকেই জেগে উঠল ওয়ারশো নগরী; দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যে নগরীটি প্রায় ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল, সেই নগরীটি আবার জেগে উঠল।

১৯৩৬ সালে পোল্যান্ডে ইসলাম ধর্মকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়৷ এবং স্কুলে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়৷ ছাত্ররা এমনকি আরবি ভাষা শেখারও সুযোগ পায় ।

হালিমা সাচিডেভিচ, বয়স ৭০ বছর, মুসলিম সংগঠনের প্রধান, থাকেন বিয়ালিস্টকে। ইউনিয়নের দেশগুলির মধ্যে পোল্যান্ডের মত এমন একটি দেশে, যেখানে ৯৫ শতাংশ অধিবাসীই ক্যাথলিক, সবচেয়ে কম সংখ্যক মুসলমান বাস করেন৷ পোল্যান্ডের একেবারে পূর্বে বেলারুশের বর্ডারের কাছে বিয়ালিস্টক নামের শহরে অসংখ্য উঁচু দালানের মধ্যে ছোট একটি বেগুনি রং-এর কাঠের বাড়ি চোখে পড়ে৷ সেখানে পোলিশ মুসলমানরা নামাজের জন্য মিলিত হন৷ মোট জনসংখ্যার মাত্র ০,১ শতাংশ সেখানে মুসলমান৷ অধিকাংশই বিয়ালিস্টক শহরের আশেপাশে বসবাস করেন৷

২০০৪ সালের ১লা মে তারিখ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য, পশ্চিমে জার্মানি, দক্ষিণে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া, পূর্বে ইউক্রেন ও বেলারুস, এবং উত্তরে বাল্টিক সাগর, লিথুয়ানিয়া, ও রাশিয়া , ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের একটি রাষ্ট্র ও ঐতিহাসিক অঞ্চল, রাজধানীর ওয়ার্শ, রয়েছে বাল্টিক সাগরের সাথে ডেনমার্কের জলসীমান্ত।

পোল্যান্ডের ছবিসহ আরো কিছু তথ্য পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে আরো কিছু তথ্য পাবেন।

১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের আংশিক অবাধ নির্বাচনের ফলে কমিউনিস্ট শাসনের পতন ঘটে, যাতে সলিডারিটি দল ও লেখ ওয়ালেসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে পোল্যান্ড একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ১৯৯৭ সালে এর নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। ১৯৯৯ সালে পোল্যান্ড ন্যাটো জোটে যোগ দেয়।

লেখ ওয়ালেসার ছবিসহ আরো কিছু তথ্য পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে আরো কিছু তথ্য পাবেন।

পোলিশ ভিসাঃ
১। যদি আপনি সেঙ্গেনভুক্ত কোন দেশে অবস্থান করে থাকেন, তবে আমার এই ভ্রমণের মতই আপনারও পোলিশ ভিসা প্রয়োজন নেই সেঙ্গেনভুক্ত যে কোন দেশ থেকে রিবনিকে আসার জন্য।

২। যদি আপনি বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য কোন দেশে থেকে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে আপনার ঐ দেশের রেসিডেন্ট পারমিট থাকতে হবে। স্টুডেন্ট বা কর্মজীবী হলে পোলিশ ভিসা আবেদনের জন্য অন্যান্য কাগজের সাথে লিভ লেটার / এনওসি লাগবে।
– টুরিস্ট ভিসা হলে আপনার ভিসার আবেদন ঐ দেশের (বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া) পোলিশ এমব্যাসিতে গ্রহন করা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

– বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া ছাড়া অন্য কোন দেশের যদি আপনার লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা হয়ে থাকে, তবে আপনার আবেদনের উদ্দেশ্য, সকল কাগজ পত্রের উপর নির্ভর করবে আপনার আবেদন গ্রহন করবে কিনা।

– বিভিন্ন দেশে আমার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দেশের এম্ব্যাসিতে সচক্ষে দেখেই ২ নং তথ্যগুলো দেওয়া।

৩। আপনি বাংলাদেশে থাকলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে সেঙ্গেন ভিসার ( শুধু মাত্র ট্যুরিস্ট, বিজনেস সহ অন্যান্য শর্ট টার্ম সি টাইপ ) জন্য আবেদন করতে হবে ডেল্টা লাইফ টাওয়ার, প্লটঃ ৩৭, রোডঃ৯০, গুলশান নর্থ, গুলশান ২ ঢাকাতে অবস্থিত সুইডেন ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারেঃ
-রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ৯টা-২টা র মাঝে
– পাসপোর্ট ও ডকুমেন্ট সংগ্রহের সময়ঃ রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ৩টা-৪টার মাঝে
আর
– তথ্য পেতে রবি থেকে বৃহস্পতিঃ ১২টা-২টার মাঝে.

ভিসা ফি,ফটো স্পেসিফিকেশন, প্রসেসিং এর সময়, সার্ভিস চার্জ, সুইডেন ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের অতিরিক্ত সেবা সমুহ, ছবিসহ তথ্যগুলো পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে তথ্যগুলো পাবেন।

পিডিএফ ফরমেট এই পোষ্টে আপলোড করতে ব্যর্থ হওয়াতে ( আমার টেকনিক্যাল জ্ঞানের অপর্যাপ্ততার কারণে)
– সেঙ্গেন ভিসার আবেদনপত্র
– কিভাবে ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে তার নমুনা
– সেঙ্গেন ট্যুরিস্ট ভিসার চেকলিস্ট
– দূতাবাস অনুমোদিত বীমা কোম্পানির তালিকা

এই ৪টি ডকুমেন্টস কারো প্রয়োজন হলে, বিনামূল্যে, কোন সার্ভিস চার্জ ছাড়াই রিটার্ন মেইলে পেতে যোগাযোগ করতে পারেন আমার ইয়াহু মেইলেঃ shiblysadiq@yahoo.com

পোলিশ জ্যাজ পিয়ানোবাদক অ্যাডাম মাকোভিকজ এই রিবনিকের ! আর পোলিশ মডেল এবং গায়ক ইভা সনেটও কিন্তু এই রিবনিকেরই !

poland4

কিভাবে আসবেন এই রিবনিকেঃ
১। যদি আপনি সেঙ্গেনভুক্ত কোন দেশে অবস্থান করে থাকে, তবে প্লেনে, ট্রেনে, বাসে করে চলে আসতে পারেন।

২। যদি আপনি রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন এ অবস্থান করে থাকে, তবে প্লেনে, ট্রেনে, বাসে করে চলে আসতে পারেন।

৩। বাংলাদেশ থেকে সেঙ্গেন ভিসা পাওয়ার পরে যদি আপনি উদ্দেশ্য হয় শুধুমাত্র পোল্যান্ড বা অন্য কোন সেঙ্গেনভুক্ত দেশ ভ্রমণ, তবে আপনি তা না করে আপনার ইটিনেরারীতে যোগ করতে পারেন মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া ( যদি আপনার হাতে যথেষ্ট পরিমাণ আগ্রহ, সময় আর বাজেট থাকে)।

বাংলাদেশ বা ইন্ডিয়া থেকে পোল্যান্ড আসার আগে আপনি আপনার ট্রাভেল বাজেট কিছুটা বাড়িয়ে কিন্তু মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া এর মধ্যে যে কোন একটি বা সব গুলো ভ্রমণ করে তারপর পোল্যান্ড আসতে পারেন এবং তা এই দেশ গুলোর (মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া) ভিসা ছাড়াই।

এই দেশ গুলোর (মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া) ফরেন মিনিস্ট্রীর রুলস অনুযায়ী, বাংলাদেশ পাসপোর্ট হোল্ডার হিসেবে আপনার যদি ভ্যালিড সেঙ্গেন ভিসা থাকে, তবে এই গুলোর এমব্যাসি থেকে আপনাকে ভিসা নিতে হবে না। আপনি সসম্মানে পাবেন ভিওএ বা পোর্ট এন্ট্রি আর ভিসা ফ্রী এন্ট্রি।

মলডোভা, সার্বিয়া, টার্কি, জর্জিয়া, কসভো, ম্যাসিডোনিয়া, বসনিয়া ঘুরেও আপনি আসতে পারবেন এই রিবনিকে প্লেনে, ট্রেনে বা বাসে বা হিচ হাইকিং করেও।

৩। বাংলাদেশ থেকে বিমানে আসতে পারেন।

৪। ইন্ডিয়া থেকে বিমানে আসলে বিমান ভাড়া অনেক কম পাবেন। (নিচের কথা গুলো আমি লিখছি, ইন্ডিয়াতে আমার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে, অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা বিভিন্ন দেশের এম্ব্যাসিতে, ট্র্যাভেল এজেন্সিতে আর এয়ারপোটে সচক্ষে দেখে, বিশেষ করে ২০১৬ সালের পরে ভারত ভ্রমণের আলোকে)

– আপনি যদি ইন্ডিয়া থেকে বিমানের টিকেট কেটে আসতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে পোল্যান্ডের ভিসার আর ইন্ডিয়া টু পোল্যান্ড রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি সহ বাংলাদেশের আইভিএসি থেকে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা নিয়ে যেতে হবে। অথবা আপনার যদি লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা থাকে, সেক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট ভিসা লাগবে না।

– আপনি যদি ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ( যে কোন এন্ট্রি ) ইন্ডিয়াতে টিকেট কিনতে চান, অনেক সমস্যায় পড়তে হবে, কোন ভাবে ফাপড়বাজি করে যদি টিকেট কিনতেও পারেন, এয়ারলাইন্স আপনাকে এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাস দিবে না। আর যদি আরো ফাপড়বাজি করে এয়ারপোর্টে বোর্ডিং পাস নিয়ে নেন, তবে মহা ঝামেলাতে পরবেন আপনি ইমিগ্রেশনে। আপনাকে ইন্ডিয়ান ট্রানজিট বা লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া ফ্লাই করতে দেওয়ার সম্ভাবনা ১%।

আজকাল অনেককেই বিভিন্ন গ্রুপে দেখছি কমেন্ট করছেন যে আপনি ইন্ডিয়ান ট্রানজিট বা লং টার্ম মাল্টিপল এন্ট্রি বিজনেস ভিসা ছাড়া ফ্লাই করতে পারবেন। কমেন্টটি যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, তবে দয়া করে কমেন্টকারীকে জিজ্ঞেস করে নিবেন, কমেন্টকারী কি ২০১৬ সালের পরে তার নিজস্ব ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে এই কমেন্ট করছেন?

এ ধরনের কমেন্টকারীদের আমি বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি, দয়া করে ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে ( যে কোন এন্ট্রি ) ইন্ডিয়াতে টিকেট কিনে, ইন্ডিয়ার এয়ারপোর্ট থেকে বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশন ক্রস করার আপনার নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা না থাকলে, কাঊকে বিভ্রান্ত করবেন না দয়া করে। আপনার অনুমান নির্ভর, কমন সেন্স আর অনভিজ্ঞতা সম্পন্ন কমেন্টসের কারণে:

-অন্য একজন কিন্তু হতে পারে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ
– হতে পারে তার মুল্যবান সময় নষ্ট
আর
-মানসিকভাবে বিপর্যস্ত

মনে রাখবেন পৃথিবীর সকল দেশেরই ইমিগ্রেশন ল আমার বা আপনার কমন সেন্স অনুযায়ী চলেনা। ঘন ঘন আর দ্রুত পরিবর্তনশীল।

ইন্ডিয়া থেকে পোল্যান্ডে বিমানে আসার বিষয়ে আরো কিছু তথ্য পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে তথ্যগুলো পাবেন।

রিবেনিক, পোল্যান্ডের কাছে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর:
ক) ৭৭ কিলোমিটার: কাতোভাইস, পোল্যান্ড (কেটিডব্লিউ / ইপিকিটি) কেটুইয়েস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

খ) ৮৯ কিলোমিটার: অস্টাভা, চেক প্রজাতন্ত্র ( OSR / LKMT) লিওজ জানাচেক বিমানবন্দর অস্টাভা।

গ) ১১৯ কিলোমিটার: ক্রাকো, পোল্যান্ড (কেআরকে / ইপিএককে) জন পল দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ক্রকো-বেলিস।

ঘ) ১৬১ কিলোমিটার: রোক্লা, পোল্যান্ড (ডব্লুআরও / ইপিডব্লিউআর) কোপের্নিকাস বিমানবন্দর রোক্লা।

উপরের ৪টি বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট কোড সহ উল্লেখ করেছি এইজন্য যে, বাংলাদেশ থেকে এয়ার টিকেট কাটতে চাইলে আমাদের দেশের ৯৯% অভিজ্ঞ টিকেট সেলাররা আপনাকে প্রথমেই জিজ্ঞেস করেন এরাইভাল এয়ারপোর্টের নাম আর তারপরেই জিজ্ঞেস করবে এয়ারপোর্টের কোড। হাহাহাহাহা মজার ব্যাপার হচ্ছে, যারা আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেট বিক্রি করেন, পৃথিবীর সকর আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের এয়ারপোর্ট কোড টিকেট সেলারদের জানা থাকা অত্যাবশ্যক। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত তিক্ত অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ অনেক আন্তর্জাতিক এয়ার টিকেট বিক্রেতারাই আমার মুল্যবান সময় নষ্ট করেছেন শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের এয়ারপোর্ট কোড সমুহ না জানার কারণে, যা পরে আমাকেই দিতে হয়েছে ( ফ্রিকোয়েন্টলি ট্রাভেলার হবার কারণে জানা থাকায়)

কাতউচের বাস ষ্টেশনেঃ
যখন লিখুয়ানিয়াতে ছিলাম , তখন থেকেই হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক মাঝে মাঝে কল দিয়ে খোজ খবর নিচ্ছিল। পোল্যান্ডের কাতউচের বাস ষ্টেশনে আগে থেকেই আমার অপেক্ষায় ছিল হোস্ট কোম্পানির অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয তার বোনকে নিয়ে একটি ছোট সেডান গাড়িতে। আমাকে খুজতে হয়নি, হান্না কোলরযই আমাকে খুব দ্রুতই খুজে বের করল। জানতে চাইলাম, কি করে এত দ্রুত আমাকে খুজে বের করলে? বলল কালার। আমি বললাম কালার? হান্না কোলরয বলল স্কিন কালার দেখে। আমি আবার বললাম ও আচ্ছা ব্ল্যাক? বলল না ব্রাউন। আমরা একে অপরকে এর আগে কখনো সামনা সামনি দেখিনি। কখনো কানেক্টেডও ছিলাম না। আমার পোলিশ বিজনেস হোষ্ট, যার জন্য আসা এই রিবনিকে, মুলত হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েকই পাঠিয়েছিল তাদের অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরযকে।

সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে, যাই হোক সেডানের সামনে গিয়ে বসলাম, জিজ্ঞেস করলাম কত দূর যেতে হবে? বলল ৬০ কি,মি, কতক্ষণ লাগবে? – ৪৫ মিনিট। যাক বাচা গেল! আমি ভেবেছিলাম ঢাকার মত ৬০ কি,মি, ৬ ঘণ্টা, কিন্তু না আমিতো এখন রিবনিকে। ৪৫ মিনিট পরে পৌঁছে গেলাম রিবনিকে।

এই সেই রিবনিক, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সুরকার হেনরিক গোরেকির রিবনিক, দক্ষিণপশ্চিম পোল্যান্ডের সিলেসিয়ান ভয়েডেডশিপের একটি শহর।

সিলেসিয়ান জার্মান বংশোদ্ভূত পোলিশ ফুটবল খেলোয়াড় টমাসজ জেডিবালের রিবনিক, যার উত্তর-পূর্ব দিকের রুদা নদীতে একটি জলাধার (জালয়েউ রিবনিকি) আছে, যা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য শীতল জল উৎসের কাজ করে। বনভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত। এখানে আপনি সাঁতার কাটতে পারবেন, পারবেন মাছ ধরতে , পালতোলা নৌকায় চড়তে পারবেন আর পারবেন করতে। এটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য তাপের কারণে সারা বছর গ্রাস কার্পের জন্য একটি যথেষ্ট উষ্ণ। আবাসস্থল।

হোস্ট কোম্পানির পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক আগে থেকেই আমার থাকার ব্যবস্থা করে রেখেছিল, হোস্ট কোম্পানির অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয। আমাকে নিয়ে সেই হোটেলে গেল। রিসিপশনে আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে হান্না কোলরয চলে যাওয়ার পর আমি রুমে গেলাম। অসাধারণ নম্র আর ভদ্র মেয়ে এই হান্না কোলরয। আমি তো এমনিতেই যথেষ্ট বাচাল প্রকৃতির, কিন্তু হান্না কোলরযকে কখনো বিরক্ত হতে দেখিনি, আমার শত প্রশ্নে, জবাব দিয়েছে অত্যন্ত গুছিয়ে, অল্প কথায় কিন্তু তথ্যবহুল।

যাওয়ার আগে বলে গেল পরদিন সকাল ৮ টায় আমাকে নিতে আসবে। প্রথমেই শাওয়ার নিয়ে নিলাম ৭৫% ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।

কোথায় থাকবেনঃ
রিবনিক সিটি সেন্টার থেকে ৫ কি, মি, দূরে , উল। হোটেলোওয়া ১২, রিবনিক, পোল্যান্ড, ৪৪-২১৩ এ পাবেন হোটেল অলিম্পিয়া, একটি তিন তারকা মানের হোটেল। চেক ইন দুপুর ২ টা থেকে আর চেক-আউট সকাল ১১ তার মাঝে। ৪২ ইউরো থেকে শুরু প্রতি রাত।

ব্যালকনি সহ রুমে পাবেন কম্পিউটার, স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাথে টিভি, ট্র্যাশার প্রেস এবং পে চ্যানেল, ইন-রুম ক্যাটারিং সুবিধাগুলির মধ্যে একটি ডিশওয়াশার এবং একটি ফ্রিজ রয়েছে।

আন্তর্জাতিক রন্ধনপ্রণালী সহ একটি ট্রেডিশনাল রেস্টুরেন্ট পাবেন এখানে। আরো পাবেন গেস্ট লন্ড্রি, আয়রনিং সেবা এবং ২৪ ঘন্টা অভ্যর্থনা সহ টেবিল টেনিস, হাইকিং এবং সাইক্লিং ব্যবস্থা। ওয়্যারলেস ইন্টারনেট সম্পূর্ণ হোটেলে বিনামূল্যে পাবেন।

টেনিস কোর্ট বিলিয়ারড / পুল টেবিল, টেবল টেনিস, মিটিং এর ব্যবস্থা আছে বেঙ্কোয়েট ফ্যাসিলিটিস সহ ফ্যাক্স ও ফটোকপির ব্যবস্থা। বিবিকিউ সহ সউনা, জেকুজি পাবেন।

এছাড়াও থাকতে পারেন হোটেল অ্যান্ড স্পা কামেলিওন ও হোটেল পলিটান্সকি তে। ঠিকানা, রুমের ছবি, ভাড়া সহ অন্যান্য তথ্যগুলো পেতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে তথ্যগুলো পাবেন।

আমি রিবনিকে ব্যবসায়িক কাজে আসাতে চাইলেও কোন ব্যকপ্যাক হোস্টেলে উঠিনি, বা সারফিং করিনি কোন লোকাল হোস্টের বাসাতে। ব্যবসায়িক কারনেই আমাকে থাকতে হয়েছে ভাল আর দামী হোটেলে।
তবে আপনি যদি পিউর ট্যুরিজমের কারণে এসে থাকেন আর চান সস্তায় থাকতে, আপনি যদি হব ব্যাক প্যাকার , তবে আপনি পেতে পারেন অনেক ব্যাকপ্যাক হোস্টেল এই রিবনিকে। থাকতে পারেন ডরমিটরিতে ৫ থেকে ১০ ইউরোর মাঝেই প্রতি রাত।

– মিচকিএওিচযা ২/১, ৪৪-২০০ রিবনিকে পাবেন হোস্টেল ভিলা সিলেসিয়া

আর যদি থাকতে চান বিলাসবহুল্ভাবে তবে পাবেন অনেক পাঁচ তারকা মানের হোটেল আর খরচ পরতে পারে প্রতি রাত ২০০ ইউরো থেকে ৫০০ ইউরো। নির্ভর করছে এভেইলেবিলিটির উপর।

এখানে আরো পাবেন অনেক চার তারকা মানের হোটেল আর খরচ পরতে পারে প্রতি রাত ৯০ ইউরো থেকে ২৫০ ইউরো। নির্ভর করছে এভেইলেবিলিটির উপর।

আমি ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অনেক নামি দামি হোটেলে থেকে একটা বিষয় খুব ভা্ল ভাবেই বুঝেছি , যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের তি্ন তারকা মানের হোটেল গুলো বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটানের চেয়েও অনেক সস্তা আর সুবিধাও অনেক ব্যাপক।

আপনি যদি হিসেব করেন ৩৫ ইউরো মানে ৩,১৫০ টাকা ! ৪৫ ইউরো মানে ৪,০৫০ টাকা ! ! প্রতি রাত ! ! ! এতো অনেক টাকা। কিন্তু না অনেক টাকা নয়। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর নানাগরিকরা সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে, ১ দিন বা ৩ দিনের আয়ের টাকা দিয়ে থাকতে পারছে ৩ তারকা মানের হোটেলে বিলাসবহুল ভাবে ! একা বা পরিবার নিয়ে ভ্যাকেশনে ! ! নিজের দেশে বা অন্য দেশে ! ! !

পারব কি আমি আমার দেশে বা সার্কের কোন দেশে ? একা বা পরিবার নিয়ে ভ্যাকেশনে ? ? সবচেয়ে নিম্ন আয়ের কাজ করে ? ? ? ১ দিন বা ৩ দিনের আয়ের টাকা দিয়ে ? ? ? ? ৩ তারকা মানের হোটেলে বিলাসবহুল ভাবে ? ? ? ? ? ?

প্রথম রাতে রিবনিকে শাওয়ার নেবার পর, প্রচন্ড খিদে পাওয়াতে, বের হলাম রাতের রিবনিক দেখতে আর রাতের খাবার খেতে। আমি একা হওয়াতে ধান্দা হয়ে গেল, কিভাবে রিবনিকের পোলিশ ট্রাডিশনাল স্ট্রিট ফুড খাওয়া যায় আর রাতের রিবনিক দেখা যায়। কারণ পরেরদিন সকাল থেকে সারাদিন আনলিমিটেড ওয়ার্ক, না পারব স্ট্রিট ফুড খেতে আর না পারব রাতের রিবনিক দেখতে।

আপনারা যারা স্ট্রিট ফুড খেতে পছন্দ করেন না আর হালাল খাবার খুজতে চান, তবে চলে যেতে পারেন রিবনিক ৮, রিবনিকে। পাবেন বাওবাব রেস্টুরেন্ট। পাবেন বিভিন্ন ধরণের খাবারঃ ভেগান- ফ্রেন্ডলি, ল্যাক্টো, ইউরোপিয়ান আর পোলিশ।

অথবা যেতে পারেন পওস্তানকও স্লাস্কিছ ১৬ এ, রিবনিক এ মাসালা বার ভেজেটারিয়ান এ, সোম থেকে শনি সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা পাবেন। শপিং মলে এটি একটি ল্যাক্টো – অভো ভেজেটারিয়ান রেস্টুরেন্ট।

আর যারা পছন্দ করেন জ্যাজ বা ব্লুজের পাগল যারা, তারা পাবেন এই রিবনিকে অনেক জ্যাজ বা ব্লুজের ধারা রাতের রিবনিকে।

দেখতে পারেন রাতের ফোয়ারার অপূর্ব রংবেরঙের ছোঁয়ার সাথে অসাধারণ সব সুরের সমাহার, যা আপনাকে মাতিয়ে রাখবে।

রাতের খাবার সেরে হোটেলে ফিরেই বরাবরের মতই বিছানাতে পিঠ লাগার আগে ঘুমিয়ে গেলাম, শেষ হওয়ার পথে রিবনিকে আমার প্রথম রাত।

বরাবরের মতই খুব ভোরেই আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়, এরপরও পিডিএ তে এলারম দিয়ে রেখেছিলাম আর রিসিপশনে ওয়েকআপ নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম। হানিয়া আসার কথা সকাল ৮ টায়। আমি উঠে পরেছিলাম সকাল ৬ টায়।

একাকী ঘুম থেকে জেগে ভোরের নতুন অচেনা রিবনিককে আমার প্রথম সকাল রুমের জানালা দিয়ে দেখে আমি আমার শৈশবের বিস্মিত হওয়ার মতো অনুভূতিটি ফিরে পেলাম, পেলাম পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আনন্দের অনুভূতিটি।

খুব তাড়াতাড়ি সকালের শাওয়ার নিয়ে কমপ্লিমেন্টারি বুফে ব্রেকফাস্ট হোটেলেই খেয়ে রুমেই অপেক্ষায় ছিলাম ,কখন হান্না কোলরয আসবে আমাকে নিতে। একটু পরেই ঠিক ঘড়ির কাটায় কাটায় সকাল ৮ টা বাজার কিছু আগেই হান্না কোলরয এর ফোন পেলাম, জানালা দিয়ে হোটেলের গেটেই দেখলাম সেডান কার নিয়ে আমার অপেক্ষায়।

ফরমাল ড্রেস পরাই ছিল সকম গ্যাজেট আর ব্যাগ নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম ওর সেডানে করে। কিছুক্ষনের মাঝেই পৌঁছে গেলাম গাছপালা ঘেরা, ছিমছাম নিরিবিলি পরিবেশের বাড়ির একটি গেটে, বাইরে থেকে মনে হল একটি বাংলো। ভিতরে ঢুকতেই পেলাম কয়েকটা এক তলা বিল্ডীং বিশাল বড় এক ছায়া ঘেরা কমপ্লেক্স।

হান্না কোলরয আমাকে নিয়ে একটি একতলা বিল্ডিং এ প্রবেশ করল। সাথে সাথেই পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক এল আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে আর কথা বলতে বলতে এল আমার হোষ্ট কোম্পানির ফাওন্ডার, দ্যা বিগ বস ! আমাকে অভ্যর্থনা জানাতে একটি দামী পার্কার পেন দিয়ে এজ আ সু্ভেনির। আরো পেলাম ডিজাইনার ইযা ডেরা কে।

সমস্যা হল আমি না জানি পোলিশ আর রাশিয়ান ( কিছু শব্দ আর বাক্য ছাড়া) ভাষা আর উনি না জানেন ইংরেজি, বাংলা, স্পেনিশ আর ইংরেজী ভাষা। সেঙ্গেন ভুক্ত, ইইউ, ইস্ট ইউরোপের, সিআইএস ভুক্ত আর এক্স ইউএসএসআর এর সকল দেশের একই চিত্র। অধিকাংশ প্রবীন ব্যাক্তিরা শুধুমাত্র তাদের নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারেন না। আর অধিকাংশ মধ্যবয়সী আর তরুণরা হয় নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলতে পারেন না, আর অধিকাংশ নিজ নিজ মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন না, এবং ইন্টেনশনালী।

ভাগ্য ভাল আমাদের মাঝে ছিল ইংরেজি জানা বারবারা কুবিয়েনিয়েক আর হান্না কোলরয। শুরু হয়ে গেল বিজনেস মিটিং।

-এক পক্ষে আমি অধম একা প্রতিনিধিত্ব করছি নিজের বায়িং হাউজ এস, এন, এস ফ্যাশনের।

-আর অন্য পক্ষে বিগ বস তাদেউসয উয়িদ পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক, ডিজাইনার ইযা ডেরা, প্রডাকশন ম্যানেজার ইরেনেউসয সহ অফিস এক্সিকিউটিভ হান্না কোলরয, যারা আমার চেয়েও হাজার গুনে বেশি অভিজ্ঞ ইউরোপের ফ্যাশন সম্পর্কে, ইউরোপে তৈরী পোষাকের বাজারজাত সম্পর্কে, ইউরোপে তৈরী পোষাকের আমদানী, রপ্তানী সম্পর্কে।

– শিখেছি তাদের কাছে কিভাবে গুরুত্ব আর সন্মান দিতে হয় সাপ্লাইয়ারকে, এজেন্টকে। শিখেছি আচার- ব্যবহার আর সময়ানুবর্তীটা,

-শিখেছি কিভাবে মতের বিরুদ্ধে যাওয়া ব্যাক্তিটিকে কনভিন্স করতে হয় অত্যন্ত প্রফেশনাল ভাবে।

মিটিং চলল দুপুর একটা পর্যন্ত। মাঝে কিছুক্ষনের জন্য ছোট্ট একটা ব্রেক। এলো নানা ধরনের পোলিশ কুকিজ সহ কফি। আহা! সে কি স্বাদ পোলিশ কুকিজ গুলোর, একেকটার এক একেক রকম সাইজ, কালার আর স্বাদ। কি সুস্বাদু ! মুখরোচক! ! জাস্ট মাউথওয়াটারিং !

দুপুর একটায় বিগ বস তাদেউসয আমাকে , বারবারা কুবিয়েনিয়েককে আর তার ছেলে টমাসকে নিয়ে বের হল দুপুরের খাবার খেতে, ৭০ বছরের বৃদ্ধ নিজেই তার লেটেষ্ট মডেলের বিএমডব্লিও ড্রাইভ করে! গাড়ী চালানো ও যে একটা আর্ট, তা উপভোগ করলাম, ৭০ বছরের বৃদ্ধ , এই পোলিশ শিল্পপতি তাদেউসয এর কাছে।

রিবনিক সিটি সেন্টার থেকে কয়েকটি ব্লক দুরেই আমরা একটি পোলিশ ট্র্যাডিশনাল রেস্টুরেন্টে সবাই মিলে ঢুকলাম।

– ছোট কিন্তু হাল-ফ্যাসন দোরস্ত শহরের সেরা রেস্টুরেন্ট এটি।
– বিস্ময়কর পরিবেশ আর আর কল্পনাপ্রসূত স্বাদ , খেলাম সুস্বাদু আর মুখরোচক সব পোলিশ ট্র্যাডিশনাল খাবার।
– চিত্তাকর্ষক। সৃজনশীল রন্ধন।

– প্রথমেই অ্যাসোপারাগাস পাস্তা সাথে ট্রাডিশনাল পোলিশ সুপ। । জি হ্যা সুপ। কিন্তু এটা যে সুপ, তা বুঝতেই পারিনি। একটি কোয়ার্টার প্লেটের উপর একটি বাটি আকৃতির রুটি, উপরে ঢাকনা, তাও আবার খাওয়া যায়, মানের ঢাকনা আকৃতির রুটি। ঢাকনাটি উঠিয়ে দেখি ভিতরে সুপ। হাহাহাহাহাহ রুটি ছিড়ে ছিড়ে সুপ খেলাম সুপও শেষ হচ্ছে, ধীরে ধীরে বাটি আকৃতির রুটিও শেষ হচ্ছে।

খেলাম আরো নানা রকমের মুখরোচক সব সুস্বাদু পোলশ খাবার ।

– ওয়েটার আর ওয়েট্রেসরা খুবই প্রফেশনাল ভাবে পরিবেশন করল।

কি কি ধরণের সুপ , সাইড ডিশ, মেইন কোর্স, ডেজারট, বেভারেজ সহ নাইন কোর্সের পোলিশ ট্র্যাডিশনাল খাবার খেলাম তা জানতে নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে তথ্যগুলো পাবেন।

নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করলে, ছবির ডানে পাবেন আপনি কখনো রিবনিকে বা পোল্যান্ডের কোথাও আসলে এপিটাইজার আর স্টাটারের সাথে কি কি পোলিশ ট্র্যাডিশনাল সুপ , সাইড ডিশ, মেইন কোর্স, ডেজারট, বেভারেজ খা খেতে পারেন সেই তথ্য।

আপনি ও যেতে পারেনঃ
১। উল, টেডাস্জা কোসিয়াসুস্কি ২৭, পাবেন, ইনোওয়িনো, প্রায়ই নতুন মেনু থাকে ।

দুপুরের খাবার শেষে বিগ বস তাদেউসয আমাদের নিয়ে গেল তার অনেকগুলো রিটেইল ষ্টোরের মাঝে কয়েকটি দেখাতে, সাথে ছিল বারবারা আর টমাস। একটি সুবিশাল বহুতল মার্কেটের পেছন দিয়ে গাড়ী ঢুকে গোলাকার প্যাসেজ দিয়ে উঠে যাচ্ছে উপরের রুফটপে, কার পারকিং এ। গাড়ী থেকে নেমে আমরা লিফট দিয়ে আবার নিচের কোন এক ফ্লোরে অবস্থিত তাদের নিজেদের একটি রিটেইল ষ্টোরে। ঘুরে ঘুরে দেখলাম, জানলাম, শিখলাম, বুঝলাম পোলিশ ফ্যাশন। পারচেজ ডিপার্টমেন্টের বারবারা কুবিয়েনিয়েক আমাকে ইংরেজীতে তাদের সব ব্যাখ্যা করছে। আবার বিগ বস পোলশ ভাষায় যা বলছে, তা আমাকে ইংরেজীতে অনুবাদ করে শুনাচ্ছে। তাদের আরো কয়েকটি সুপার শপে ঘুরে একটি নামকরা কফি শপে বসলাম, রিবনিক সিটি সেন্টারে।

অনেকক্ষণ একসাথে থেকে সময় কাটিয়ে রাতে আমাকে আবার সেই একই হোটেলে নামিয়ে দিয়ে গেল। পরিশ্রান্ত আমি রাতের খাবার খেয়ে, বাংলাদেশ আমার অফিসের সাথে কমিউকেশন করে, বাংলাদেশ আর চায়নাতে আমার সাপ্লাইয়ারদের সাথে ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক কমিউনিকেশন করে, পরের দিনের জন্য সারাদিনের মীটিঙের ফাইল রেডি করে কিছু হোম ওয়ার্ক করে শেষ করে মধ্য রাতে গেলাম ক্লান্তিতে একরাশ ঘুম ভরা চোখে বিছানায়।

রিবনিকে উপভোগ করেছি
– সাবেক জেলা কর্তৃপক্ষের বিলমিত, যা ১৮৮৭ সালে নির্মিত, নব্য-গোথিক বেসিলিকার সেন্ট অ্যান্থনি (বাজিলিকা সোনি আন্তোনিওগো),

-১৯২৮ সালে নির্মিত নব্য-শাস্ত্রীয় নিউ টাউন হল, স্থানীয় ইতিহাসের জাদুঘর ও হাউজিং রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে পরিচিত ক্লক টাওয়ার সাথে নব্য-শাস্ত্রীয় পুরানো টাউন হল

– ১৫৩৪ সালের নির্মিত সেন্ট ক্যাথারিনের চার্চ (কোশিয়াল পাল ক্যাটজিনি)।

– ১৭১৭ সালের নির্মিত সেন্ট লরেন্সের চার্চ (কোশিয়াল শর্মা ওয়াওয়ারজেনকা) ।

-১৭৩৬ সালের নির্মিত লেট ।বারোক এস্টেট হাউস

-১৩ শতকের প্রথম দিকের পিয়াস্ট দুর্গ, যা ১৮ শতকের সম্পূর্ণরূপে পুনরায় ডিজাইন করা হয়।

পোল্যান্ডে আসলে মালবর্ক ক্যাসল আর ভাভেল দেখতে ভুলবেন না।

– ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইটের বাড়ি হলো এই মালবর্ক দুর্গ; তৈরি করতে ৭০০ বছরের বেশি সময় লেগে গেছে শুধু নকশা বদলানোর জন্যেই নয়, যুদ্ধ আর লুটতরাজের দরুণও বটে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন শেষ হতে চলেছে, তখন মালবর্ক দুর্গের অর্ধেকের বেশি ধ্বংস হয়ে যায়। আজ এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ও পোল্যান্ডের একটি মুখ্য টুরিস্ট অ্যাট্রাকশন।

– পোল্যান্ডের ক্রাকাও শহরের ভাভেল ( ইংরেজীতে Wawel, কিন্তু আপনি যদি ক্রাওকোতে এসে বলেন ওয়াওয়েল, তবে কেউই কিন্তু এটা চিনবে না, আপনাকে বলতে হবে ভাভেল) কমপ্লেক্সটিতে কাজ চলেছে গত এক হাজার বছরের বেশি সময় ধরে! পোল্যান্ডের নৃপতিরা এখানে থাকতেন। প্রতি শতাব্দীতে নতুন নতুন ভবন যোগ হয়েছে ভাভেলে – এমনকি গত শতাব্দীতেও। কাজেই ভাভেল-এর কাহিনি আজও সমাপ্ত হয়নি এবং কোনোদিনই সমাপ্ত হবে না বলে ধরে নেওয়া যায়।

ভাভেলের ছবি সহ, কি কি দেখবেন, কখন যাবেন, এন্ট্রি ফি কত সহ ফোন নম্বর জানত, নিচে সংযুক্ত ছবিগুলোতে ক্লিক করুন, ছবির ডানে তথ্যগুলো পাবেন।

কেনাকাটার জন্য রিবনিকে পাবেন অনেক বড় বর শপিং মল সহ অনেক মার্কেটঃ

– রিবনিক মার্কেটের পাশেই বি ক্রব্রেগো ১, রিবনিক এ পাবেন শপিং মল সেন্ট্রাল ফোকাস মল, খোলা থাকে সপ্তাহের প্রতি দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। পাবেন, কেনাকাটার জন্য অনেক দোকান, রেস্তুরেন্ট, ক্যাফে আর সিনেমা হল।

– যেতে পারেন ওল্ড মার্কেটে

সকল ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে এবার রিবনিক কে বিদায়ের পালা। বারবারা কুবিয়েনিয়েক আমার ট্রিপের ব্যবস্থা করল রিবনিক থেকে ওয়ারস পর্যন্ত বিগ বসের জার্মানির তৈরী ভক্সওয়াগন ( বিলাসবহুল ব্র্যান্ড অডি এবং পোরশের মালিকও জার্মানির এই গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি) দিয়ে। রাতে ড্রাইভার এসে হোটেলের ্রিসিপশনে অপেক্ষায়। আগেই প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম, জাস্ট চেক আউট করে গাড়িতে উঠে বসলাম। যাত্রা পোল্যান্ডের রিবনিক থেকে পোল্যান্ডের ওয়ারশ পর্যন্ত, ৪ ঘণ্টার পথ ৩৫০ কি,মি।

আপনি যদি কখনো আমার ভাল লাগা এই রিবনিকে ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে অবশ্যই ইটিনেরারীতে রাখবেন আরো দুটি দেশ চেক রিপাব্লিক আর স্লোভাকিয়া , কারন তা পোল্যন্ডের রিবনিকের একেবারেই কাছে। বাংলদেশ থেকে পোল্যান্ডে এসে আবার বাংলাদেশে ফেরত গিয়ে, আপনাকে আবারো চেক রিপাব্লিক আর স্লোভাকিয়া এই দুটি দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে হবে না।

দীর্ঘ কিন্তু অগোছালো আর অপরিপক্ক এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে, আমার কোন লিখা কোন শব্দ বা বাক্য দ্বারা আপনি যদি মনে আঘাত পান, তবে আমাকে ক্ষমা করবেন আপনার নিজ মহানুভবতায়।

আমার এই লেখায় কেউ যদি তথ্যগত কোন ভুল পান, তবে দয়া করে আপনি সঠিক সারটিফাইড তথ্য দিয়ে কমেন্ট করতে পারেন বা আমাকে মেইল করতে পারেন। কৃতজ্ঞ থাকব আপনার কাছে আর সংশোধন করে নিব।

আস্তাগফিরুল্লাহ ! আল্লাহ তায়ালা আমাকে ক্ষমা করুন আর পৃথিবীর পথে পথে ঘুরে ফিরে – ইসলামি স্থাপত্য ও শিল্পসৌকর্যের এক অনবদ্য প্রতিফলন লাল বেলেপাথরে নির্মিত কুতুবউদ্দিন আইবক এর কুতুব মিনার আর কুব্বত-উল-ইসলাম মসজিদ থেকে – তুষার-ধবল-স্নেহমসৃণ মর্মর প্রস্তর-বিনির্মিত স্পেনের কর্ডোভা, আলমোরিয়া, সেভিল, টলেডো, মর্সিয়া এবং কারুকার্য-শোভিত গৌরবোন্নত, সৌন্দর্য-সমালঙ্কৃত, সমৃদ্ধিসম্পন্ন গ্রানাডা অবধি নিজের যাত্রাপথকে পরিব্যাপ্ত করার তৌফিক দিন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com