এক সময়ের শক্তিধর রাষ্ট্র রাশিয়ায় অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। পর্যটকরা এসব স্থানে ভ্রমণ করে অসীম আনন্দ লাভ করে থাকেন। বিশ্বের উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত রাশিয়ার সেরা ১০ জায়গা নিয়ে বলছি এই পোস্টে।
১. ইয়েক্যাটারিনবার্গ
উরাল পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ইয়েক্যাটারিনবার্গ শিল্পনগরী হিসেবে বিখ্যাত। ১৯১৭ সালে জার দ্বিতীয় নিকোলাস এই শহর থেকে শাসন করেছেন। এটি রাশিয়ার বড় শহরগুলোর অন্যতম। এই শহরে ৩০টি মিউজিয়াম রয়েছে।
২. সোচি
কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী শহর সোচি। এই শহরেই ২০১৪ সালে শীতকালীন অলিম্পিক স্কি প্রতিযোগিতা এবং ২০১৮ সালে ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। শহরটিতে রয়েছে অসংখ্য সমুদ্রসৈকত। সমুদ্রপ্রেমী ও ক্রীড়ামোদী পর্যটকদের কাছে এই শহর অনেক পছন্দের।
৩. ভেলিকি নোভগরোদ
ভেলিকি নোভগরোদ শহরে দশম শতকে প্রথম বসতি গড়ে ওঠে। এই শহর রাশিয়ার অন্যতম পুরনো শহর হিসেবে পরিচিত। রাশিয়ার উত্তরে অবস্থিত এই শহরের মূল আকর্ষণ সেন্ট সোফিয়া ক্যাথেড্রাল নামে একটি গীর্জা, বেল টাওয়ার, হানসিটিক ফাউন্টেইন। এছাড়া শহরটিতে রয়েছে অসংখ্য মিউজিয়াম।
৪. ভ্লাদিভোস্টক
ভ্লাদিভোস্টক শহরের চারপাশে রয়েছে পাহাড়-পর্বত ও উপসাগর। এই শহর রাশিয়ার পূর্বে অবস্থিত। শহরটিতে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বন্দর রয়েছে। ভ্লাদিভোস্টক শহরে আরও রয়েছে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ের সর্বশেষ স্টপ।
৫. নিজনি নোভগরোদ
নিজনি নোভিগরোদ রাশিয়ার অন্যতম বড় শহর। ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত গোর্কি দুর্গ এই শহরের উল্লেখযোগ্য স্থান। শহরটিতে আরক্যাংগেল ক্যাথেড্রাল ছাড়াও ৬০০ মনুমেন্ট ও ভাস্কর্য, ২০০ মিউজিয়াম রয়েছে।
৬. ইর্কুটস্ক
পূর্ব সাইবেরিয়া অঞ্চলের জনপ্রিয় শহর ইর্কুটস্ক। মস্কো এবং পূর্বদিকে শুরু হয়ে এই শহরে এসে ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেলওয়ে শেষ হয়েছে। শহরটির সবচেয়ে সেরা জায়গা লেক বাইকাল যা ৪৫ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত অবস্থিত।
৭. কাজান
কাজান শহরের মানুষ এশিয়া ও ইউরোপের সংস্কৃতির আবহে গড়ে উঠেছে। শহরটি রাশিয়ার বড় শহরগুলোর অন্যতম। কাজান শহরে রয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ। এছাড়া রয়েছে কুল শরিফ মসজিদ। পর্যটকদের কাছে এই শহর অনেক পছন্দের।