টোকিও অলিম্পিকের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাসের দাপটে এবারের অলিম্পিক একটু আলাদা হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অ্যাথলেটদের ভিলেজে একজনের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও অ্যাথলেটদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারই অংশ হিসেবে অ্যাথলেটদের ভিলেজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কার্ডবোর্ডের খাট। যে খাট খুব বেশি ওজন সামলাতে পারবে না। করোনাকালে অ্যাথলেটদের যৌনতা ঠেকাতে এই খাট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে নেটমাধ্যমে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন খেলোয়াড়রা।
করোনাকালে খেলোয়াড়দের যৌনতার লাগাম টানতেই অভিনব এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে অলিম্পিক কমিটি এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি হলেও খাটগুলো বেশ শক্তপোক্ত। এই খাট তৈরির পেছনে নেহাত পরিবেশ রক্ষার বিষয়টিকে ভাবা হয়েছে। খেলা শেষে খাটগুলো ভেঙে কাগজ তৈরি করা হবে।
প্রতিবারের মতো এবার প্রতিযোগীদের হাতে কন্ডমের প্যাকেট তুলে দেওয়া হলেও তা তাঁরা পাবেন অলিম্পিক থেকে বিদায় নেওয়ার দিন। খেলোয়াড়দের কাছে আয়োজকদের অনুরোধ, সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে যেন গেমস ভিলেজে কেউ মিলনে লিপ্ত না হন।
কার্ডবোর্ড দিয়ে খাট তৈরি হলেও তা বেশ শক্তিশালী বলেই জানিয়েছে আয়োজকরা। এই খাটে ঘুমাতে খেলোয়াড়দের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘অ্যান্টি-সেক্স’ খাটের খবর সম্পূর্ণ গুজব। এই খাট যথেষ্ট শক্তপোক্ত। এর সত্যতা প্রমাণ করতে সামনে এসেছে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আয়ারল্যান্ডের এক জিমন্যাস্ট রিস ম্যাকক্লেঘান গেমস ভিলেজের ঘরের খাটের ওপর রীতিমতো লাফালাফি করছেন। বলে দিচ্ছেন, “এটি নাকি অ্যান্টি-সেক্স খাট। কার্ডবোর্ড দিয়ে তৈরি। হিসাবমতো একটু নড়াচড়া করলেই এটি ভেঙে যাওয়ার কথা। কিন্তু এমনটা একেবারেই নয়। সম্পূর্ণ ভুল খবর।’
আইরিশ অ্যাথলেট নিজে থেকে এমন উদ্যোগ নিয়ে ভিডিও পোস্ট করায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছে আইওসি। টুইটারে তারা লেখে, “মানুষের ভুল ধারণা দূর করার জন্য ধন্যবাদ।”
খাটের রহস্য সমাধান হলেও করোনা সংক্রমণ নিয়ে গেমস ভিলেজে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ। রবিবার জানানো হয়েছিল দুই অ্যাথলেট এবং টোকিওতে পৌঁছানো অন্য একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল। সোমবার সংক্রমিতের সেই সংখ্যা আরো বাড়ল। ২৩ তারিখ থেকে নির্বিঘ্নে অলিম্পিক শুরু করাই এখন আয়োজকদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।