উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য মেঘালয়। এটি ‘মেঘের বাড়ি’ হিসেবেও পরিচিত। বাংলাদেশ থেকে মেঘালয় বেশ কাছে। প্রতি বছরই অনেক পর্যটক এখনে বেড়াতে যাচ্ছেন। চেরাপুঞ্জি, ডাউকি, মাওলিনং গ্রাম এখানকার বেশ জনপ্রিয় স্থান। এগুলো ছাড়াও মেঘালয় ভ্রমণের আরও একটি কারণ রয়েছে। সেটি হল উমিয়াম হ্রদ। হ্রদটি রাজধানী শিলং থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
উমিয়াম হ্রদ কোনো প্রাকৃতিক হ্রদ নয়। এই সুন্দর হ্রদটি আসলে একটি জলাধার। যা উমিয়াম নদীতে বাঁধ দিয়ে গঠিত। এর পানি বেশ পরিষ্কার। গভীর নীল জল দেখতে পাড়ি জমায় অনেক পর্যটক। বর্ষাকালে মেঘালয়ে গেলে হ্রদের রঙটি পরিবর্তিত হতে পারে। তবে বেশিরভাগ সময় এটি নীল এবং সবুজ থাকে। এর চারপাশে রয়েছে পাইন বন। যা আপনাকে একটি শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য দিবে। এই মনোরম হ্রদটি প্রায় ২২০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত।
উমিয়াম হ্রদটি ১৯৬০ এর দশকের গোড়ার দিকে মেঘালয়ের বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের ফলস্বরূপ। বর্তমানে, হ্রদটি ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে চলেছে। এর ডান ও বাম দিকের দৃশ্য আপনাকে বিস্মিত করবে। এখানে ভ্রমণের রাস্তাটি কিছুটা ঘূর্ণায়মান। বিশেষ করে, গুয়াহাটি থেকে নেমে আসা রাস্তাটি ব্যতিক্রমী সুন্দর। এর চারদিক পাইন গাছ, বেরি ঝোপ এবং বন্যফুল দ্বারা আচ্ছাদিত। উমিয়াম হ্রদে পৌঁছানো পর্যন্ত এই দৃশ্য অব্যাহত থাকে।
উমিয়াম লেক মেঘালয়ের বার্ষিক কায়াকিং ইভেন্টের অন্যতম স্থান। বর্তমানে এখানে নৌকা বাইচ, কায়াকিং এবং মাছ ধরার মতো মজাদার পানিভিত্তিক ক্রিয়াকলাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া