৫০–এর দশক থেকেই বার্বি পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি নাম। পুতুলটির সঙ্গে বড় হয়েছে একাধিক প্রজন্ম। ২১ জুলাই গ্রেটা গারউইগের ‘বার্বি’ সিনেমার প্রিমিয়ারের আগে মনে হচ্ছে পুরো দুনিয়া গোলাপি হয়ে যাবে। জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রেই গোলাপি রঙের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। সাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি। এই ছবিটির জন্য লন্ডনের ঠিক বাইরে বার্বির জন্য একটি তিনতলা বাড়ি তৈরি করেছিল ওয়ার্নার ব্রোস স্টুডিও। গোলাপি রঙে সাজানো হয়েছিল পুরো সেট। গারউইগ চেয়েছিলেন, সবকিছুতেই যেন গোলাপি রংটি খুব উজ্জ্বলভাবে ফুটে ওঠে। আর এটা করতে গিয়ে এত গোলাপি রং ব্যবহার করা হয়েছিল যে বিশ্ববাজারে সেটের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট গোলাপি রং রোস্কো ফ্লুরোসেন্ট পেইন্টের সংকট তৈরি হয়ে গিয়েছিল।
পুতুল এবং কন্যাশিশু সম্পর্কে এমনিতেই একটা ধারণা কাজ করে যে তাদের সবকিছুতে গোলাপি রং থাকতেই হবে। এই বিষয়টির ওপর ভিত্তি করেই ছবিতে ‘বার্বি’র (মার্গট রবি) জামাকাপড় এবং অনুষঙ্গে যথেষ্ট গোলাপি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রোস্কোর গ্লোবাল মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন প্রাউড বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যত রং ছিল, সব এই ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছে।’ একই সাক্ষাৎকারে ফিল্মটির প্রোডাকশন ডিজাইনার ছয়বার অস্কার মনোনীত সারা গ্রিনউড জানিয়েছেন, ছবিটির কারণে আন্তর্জাতিকভাবেই রোস্কো ফ্লুরোসেন্ট রঙের ঘাটতি সৃষ্টি করেছিল। বিশ্ব থেকে গোলাপি রং ফুরিয়ে গিয়েছিল সে সময়।
পুরো ছবিটিতে শিশুসুলভ ভাব ধরে রাখার জন্য গোলাপি রংটির প্রয়োজনীয়তা বেশি ছিল বলে ‘আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্টে’ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক গ্রেটা গারউইগ। জোর দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি ছোটবেলায় বার্বিকে কী কারণে ভালোবাসতাম, সেটা ভুলে যেতে চাইনি।’ রাজপ্রাসাদের মতো দেখতে বড় পুতুলঘরের (ডলহাউস) বিছানা, আলমারি ভরা পোশাক, বসার চেয়ার, ডাইনিং টেবিলসহ বার্বির গাড়ি, রাস্তা, রাস্তার ধারের ল্যাম্পপোস্ট, মেঝে—সবকিছুই ছিল গোলাপি।
‘বার্বি’র ট্রেলারে দেখা গেছে বার্বি (মার্গট রবি) এবং কেন (রায়ান গসলিং) বার্বিল্যান্ডের বাইরে গিয়ে বাস্তব জগতের মুখোমুখি হয়। সেখানে আশপাশের পরিবেশে গোলাপি রং না থাকলেও তাঁদের পোশাকে ছিল নানা শেডের গোলাপি রং।