1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
যে গ্রামে হেলিকপ্টারে চড়ে যেতে হয়
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

যে গ্রামে হেলিকপ্টারে চড়ে যেতে হয়

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০২৫

আল্পস পর্বতের কোলে ইটালির বিচ্ছিন্ন এক গ্রাম পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হলেও সেখানে বাস করা খুব কঠিন। শুধু সিড়িঁ ভেঙে অথবা হেলিকপ্টারে চড়ে সেখানে পৌঁছানো সম্ভব। এমন পরিবেশেই বাস করছে কয়েকটি পরিবার।

নামে আল্পস পর্বতের শেষ বিচ্ছিন্ন গ্রাম অবস্থিত। সেখানে মাত্র নয় জন মানুষ পাকাপাকি বাস করেন। রেস্তোরাঁর মালিক এলেনা গুসমেরোলি ছোট সেই সমাজের স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত।

তাঁর রেস্তোরাঁয় পৌঁছানোর দুটি উপায় রয়েছে। কোমের হ্রদের তট থেকে প্রায় ২,৬০০ সিঁড়ি ভেঙে দুই ঘণ্টা ধরে উপরে উঠে সেখানে পৌঁছাতেই তিনি ভালোবাসেন। এলেনা বলেন, ‘‘উপত্যকায় আমার যে ওজন ও ক্রোধ জমা হয়, উপরে উঠতে থাকলেই সেগুলি কমতে থাকে৷ সেই জায়গা এত সুন্দর! কোডেরায় পৌঁছলেই হালকা বোধ করি।”

হেলিকপ্টারে চেপেও সেখানে পৌঁছানো যায়। তবে প্রতিটি উড়ালের মাসুল প্রায় ৩০০ ইউরো। তাই শুধু নিজের ও গ্রামের অন্যান্যদের জন্য খাদ্য ও অন্যান্য পণ্য আনার কাজেই তিনি সেই পরিষেবা ব্যবহার করেন৷ মাত্র দুই মিনিটেই সব কিছু ৮২৪ মিটার উচ্চতায় কোডেরা গ্রামে পৌঁছে যায়।

গ্রামে পৌঁছানোর কোনো পাকা রাস্তা নেই। আলপ্স পর্বতের উপর গোটা বছর ধরে বিচ্ছিন্ন এমন জনপদ আর অবশিষ্ট নেই।

পিসনোলিসের ছাগলগুলি পাহাড়ের কোলে চরে বেড়ায়৷ ৪৫ বছর বয়সি এই ব্যক্তি কোডেরার সবচেয়ে কনিষ্ঠ বাসিন্দা। তিনি পরিবর্তন চান৷ ডেভিস বলেন, ‘‘আমি রাস্তা চাই৷ গ্রামটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সেটা প্রয়োজন। আমাদেরকে জাদুময় নিসর্গ অথবা খ্রিস্টমাসের পোস্টকার্ড হিসেবে দেখলে চলবে না।”

কারণ বিচ্ছিন্ন এই জনপদের জীবনযাত্রার মধ্যে রোমান্টিকতার তেমন কোনো স্থান নেই। ডেভিসের মতে, যাদের সেখানে পাকাপাকি থাকতে হয় না, শুধু তাদেরই এমনটা মনে হয়। তিনি মনে করেন, ‘‘পর্যটকদের জন্য এটা এক স্বর্গরাজ্য। কিন্তু আমার কাছে গ্রামটি মরে যাচ্ছে। কারণ সেখানে কীই বা করার আছে? কোন কাজ করা যায়? একটা রাস্তা থাকলে পাথর ভাঙা যেত, কাঠ কাটা যেত৷ কিন্তু সেটা ছাড়া সেগুলি কীভাবে উপত্যকায় আনা সম্ভব? এখনকার মতো ঘাড়ে চাপিয়ে?”

তা সত্ত্বেও পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসার টানে ডেভিস নিজের ছাগলগুলির কাছেই থাকতে চান।

হেলিকপ্টার থেকে মালপত্র নামানো হয়েছে৷ এলেনাকে এবার সেগুলি রেস্তোরাঁয় নিয়ে যেতে হবে। রাস্তা না থাকায় ঘাড়ে করে ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে পরিবহণের উপায় নেই।

তবে এখনো রাস্তা তৈরির কোনো পরিকল্পনা না থাকায় কোডেরা আরো বহুকাল পৃথিবীর দূর প্রান্তের এক প্রায় বিচ্ছিন্ন গ্রাম হিসেবে টিকে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com