মালয়েশিয়ার তিন দিকেই সমুদ্র। মানচিত্রে এই দেশকে তাই একটি দ্বীপভূমির মতো দেখায়। মাটি আর সমুদ্রের মিতালী মালয়েশিয়ার মসজিদগুলোকেও এক অনন্য বৈশিষ্ট্য দিয়েছে। দেশটির বিভিন্ন শহরে এমন কয়েকটি পানিবেষ্টিত মসজিদ রয়েছে, যা দেখলে ভাসমান মনে হয়। দৃষ্টিনন্দন এমন পাঁচটি মসজিদ সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।
পুত্রা মসজিদ
দারুণ নির্মাণশৈলী নিয়ে নির্মিত মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের পুত্রা মসজিদ। ভেতর ও বাইরে অপরূপ সৌন্দর্যমণ্ডিত এ মসজিদ মুগ্ধ করবে যে কাউকে। মসজিদের সৌন্দর্য এক বা দুটি ছবি দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। পটে আঁকা ছবির মতো সাজানো এই মসজিদটির নাম বরাবর উঠে আসে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মসজিদের তালিকায়। নির্মাণগত দিক দিয়ে মসজিদটি যেমন সুন্দর, তেমনি একে আলাদা সৌন্দর্য দান করেছে অবস্থানগত কারণ।
মসজিদটি কুয়ালালামপুরের পুত্রাজায়া লেকে অবস্থিত। প্রবেশ পথ স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত। মসজিদটির কয়েক গজ দূরে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পারাদানা পুত্রা। স্বাভাবিকভাবেই এর চারিদিকে অপরূপ শোভামণ্ডিত। মসজিদের সামনে বিশাল গোলচত্বরটিও পুত্রাজায়া লেকবেষ্টিত। মানবসৃষ্ট লেকটির পাড়ে অবস্থিত হালকা গোলাপি গ্রানাইট পাথর দিয়ে নির্মিত মসজিদটির গম্বুজ। হালকা লাল গম্বুজ, হালকা গোলাপি রঙের গ্রানাইট পাথর আর সুন্দর কারুকাজ মসজিদটিকে করেছে দৃষ্টিনন্দন। এর নির্মাণকাজ ১৯৯৭ সালে শুরু হলেও দুই বছরের মাথায় নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। মসজিদে একত্রে ১৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা আছে।
মসজিদের মূল অংশে রয়েছে নামাজের জায়গা, আঙিনা এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রমের জন্য কয়েকটি কক্ষ। নামাজের স্থানে রয়েছে মোট ১২টি বিশালাকায় খুঁটি। ২৫০ ফুট উঁচু প্রধান গম্বুজটি অবস্থিত মসজিদের মাঝখানে। গম্বুজের ব্যাসার্ধ ১১৮ ফুট। মসজিদের বিভিন্ন রুমে কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম ও সেমিনার আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে। একসঙ্গে পাঁচ হাজার লোক আঙিনায় জড়ো হয়ে বসতে পারেন। ৩৮০ ফুট উঁচু মিনারটি বাগদাদের শেখ ওমর মসজিদের আদলে নির্মিত। এই মিনারটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ মিনার।
পৃথিবীর অন্যতম আধুনিক মসজিদ বলা হয় পুত্রা মসজিদকে। মসজিদের সামনে সুসজ্জিত ফুলের বাগান সহজেই মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। পুত্রাজায়ার নামকরণ করা হয়েছে মালয়েশিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী টুঙ্কু আবদুর রহমান পুত্রার নামানুসারে। পুত্রার সঙ্গে যোগ করা হয়েছে ‘জায়া’, যার অর্থ হলো ‘উৎকৃষ্টতা’। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মসজিদটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে।
মসজিদ সালাহ মালাকা
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে একটি ছোট সমুদ্রপ্রণালীতে অবস্থিত মসজিদে সালাহ মালাকা। মালয়েশিয়ায় ইসলামের প্রচার এবং প্রসারও ঘটেছে মালাক্কাকে দিয়েই। তাই মালয়েশিয়ার বিচিত্র বর্ণময় ইতিহাসের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই মালাক্কায়। মালাক্কা মালয়েশিয়ার তৃতীয় ক্ষুদ্রতম একটি রাজ্য এবং ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত একটি। তাই মালাক্কাকে বলা হয় মালয়েশিয়ার ইতিহাসের শহর।
ঐতিহ্যবাহী এই শহরের আসল নাম মেলাকা হলেও সবাই একে মালাক্কা নামেই চেনে। কুয়ালালামপুর থেকে মালাক্কা যেতে সময় লাগে মাত্র ২ ঘণ্টা। এই মালাক্কারই বিখ্যাত স্থাপনার নাম ‘মসজিদ সালাহ মালাকা’। মসজিদটি সমুদ্রপাড়ে অবস্থিত হওয়ায় দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি পানিতে ভাসছে।
মসজিদটির নির্মাণশৈলী প্রাচীন স্থাপত্যের নকশার অনুকরণে। ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এছাড়া মসজিদটের সৌন্দর্য দেখতে বিপুল পর্যটকের দেখা মেলে মসজিদ সংলগ্ন বিশাল উঁচু মিনার, সুপরিসর বাগান, পার্কিং ও সামনের খোলা জায়গাজুড়ে। সুসজ্জিত মসজিদে নারীদের আলাদা নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের ভেতরে বিশাল কাঠের মিম্বর ও বড় সাইজের সিলিং ফ্যান অন্যতম একটি বিশেষত্ব। মসজিদে রয়েছে শিশুদের আনন্দের সঙ্গে কোরআন শেখানোর ব্যবস্থা। আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আলাদা স্থানে, আরবি হরফগুলোকে বিভিন্ন ছবি ও নকশার মাধ্যমে শেখানো হয়। আছে অতিথিদের জন্য শরবত ও ঠাণ্ডা পানি পানের সুব্যবস্থা। মসজিদের পাশে বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে বিশাল হলরুম। রয়েছে মসজিদের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স ও দাফন-কাফনের ব্যবস্থা। জুতা চুরির আশঙ্কা নেই বিধায় জুতার স্ট্যান্ড মসজিদের বাইরে রাখা।
দ্বিতল মসজিদের মূল ভবনে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি গম্বুজ। মসজিদের চারপাশের দরজাগুলো খোলা। মসজিদের দক্ষিণ পাশে সাগরের ওপর বিশাল এলাকাজুড়ে জেটির মতো মাচা নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় দৃষ্টিসীমাজুড়ে শুধু পানি আর পানি।
মসজিদ ছাড়াও মালাক্কায় পায়ে-হাঁটা দূরত্বের মধ্যে ঘুরে দেখার জন্য বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার অন্যতম হলো মালাক্কা সুলতানের বাড়ি, হেরিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পল চার্চ, মালাক্কা ডাচ স্কয়ার, স্কাই টাওয়ার, মালয়েশিয়া মুসলিম মিউজিয়াম, স্থাপত্য মিউজিয়াম ও মসজিদে ট্রানকুরাহ ইত্যাদি।
কোতা কিনাবালু সিটি মসজিদ
বোর্নিও দ্বীপে পূর্ব মালয়েশিয়ার সাবাহ প্রদেশের রাজধানী কোতা কিনাবালুতে অবস্থিত দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ ‘কোতা কিনাবালু সিটি মসজিদ’। নীল এবং সোনালি রঙের গম্বুজ দিয়ে নির্মিত এই মসজিদটি ভ্রমণপিপাসুসহ দর্শনার্থীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মসজিদে নববীর আদলে তৈরি আধুনিক ডিজাইনে নির্মিত এই মসজিদের আকর্ষণ অন্যান্য অনেক মসজিদ থেকে আলাদ। ১৯৮৯ সালে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হলেও ভিত্তি গড়া হয় ১৯৯২ সালে। মালয়েশিয়ান মুদ্রা রিঙ্গিতের হিসেবে মসজিদের ব্যয় হয়েছে ৩৪ মিলিয়ন রিঙ্গিত। মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০০০ সালে।
মসজিদটির চারপাশ কৃত্রিম হ্রদ দিয়ে ঘেরা। দেখে মনে যেন পানির মাঝে একখণ্ড ভূমির মতো ভেসে আছে মসজিদটি। দিনের বেলা পানিতে পড়া মসজিদের ছায়া আর রাতে চাঁদের আলোর সেই দৃশ্য যেন নয়নাভিরাম। এটির অবস্থান দক্ষিণ চীন সাগরের লাইকাস বে উপকূলে পাসির রোডে। অনেকটা অর্ধবৃত্তাকারে শুয়ে থাকা সাগরের ওই অংশটার নাম লিকাস বে। রাজধানী কোতা কিনাবালু থেকে এখানে আসতে ১৫-২০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না।
এক সঙ্গে ১২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারা এই মসজিদ কমপ্লেক্সে ৩টি মাদ্রাসা রয়েছে। শুধু বাইরে থেকেই নয়, মসজিদের ভেতরেও খুব সুন্দর করে সাজানো-গোছানো সবকিছু। মূল কম্পাউন্ডে আছে তথ্যকেন্দ্র আর ফাস্টফুড কর্নার। মসজিদে প্রবেশমুখে আরও আছে বিনা পয়সায় পানি পানের অটো মেশিন, ব্যাংকের এটিএম বুথ। গোটা কয়েক মেসেজ চেয়ার আর বিপরীতে আতর সুরমার পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে মসজিদ চত্বরে। আছে কোরআন শরিফ ও কোরআনদানিসহ ধর্মীয় বই পুস্তক। নানা আকারের খেজুরের প্যাকেটও আছে এর একপাশে। মাঝে মাঝে গোলাকার স্তম্ভ ঘিরে গড়া বৃত্তাকার খাঁজে রাখা আছে কোরআনসহ ধর্মীয় বই। মসজিদের মিহরাব ও মিম্বরে নকশাখচিত দারুন কারুকাজ। সামনের মূল অংশটার ওপরে একটাই গম্বুজ। তার নিচে সুদৃশ্য প্যানেল। পেছনের লাগোয়া ছাদের চার কোনায় চারটি মিনার। দূর থেকে মনে হয় গম্বুজটাকে ঘিরে রেখেছে মিনারগুলো।
মসজিদটিকে দেখে মনে হয় এ যেন ঘরের ভেতরে ঘর, তার ভেতরে ঘর স্টাইলে মসজিদের মূল ভবন গড়া। একের পর এক দরজা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে হয় সামনে। প্রতি দরজার দুই পাশে এলসিডি মনিটর। তাতে করা হয় খুৎবা আর বয়ান প্রচারের ব্যবস্থা। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মসজিদটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখা হয়। মসজিদে প্রবেশের আগে পর্যটকদের গেটে রেজিস্টার খাতায় নাম এন্ট্রি করতে হয় এবং তাদের পরিহিত পোশাক নজরে রাখা হয়। পুরো শরীর পোশাকে আবৃত করলেই কেবল মসজিদে প্রবেশের অনুমতি মেলে।
ক্রিস্টাল মসজিদ
মূল্যবান ক্রিস্টাল আর সঙ্গে স্বচ্ছ কাচ ও স্টিলের দণ্ড দিয়ে বানানো হয়েছে মালয়েশিয়ার ক্রিস্টাল মসজিদ। মূলত স্বচ্ছতার কারণেই মসজিদের এমনই নামকরণ করা হয়েছে। মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব এই নিদর্শনটি দাঁড়িয়ে আছে মালয়েশিয়ার তেরেনগানু এলাকার ‘পোলাও ওয়ান ম্যান’ দ্বীপে। প্রাকৃতিক শোভা ও মননশীল নির্মাণশৈলীর অভূতপূর্ব সমন্বয়ে তৈরি এই মসজিদ শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, পুরো বিশ্বের কাছে অতি আশ্চর্য ও মনোমুগ্ধকর একটি স্থাপনা। খাঁটি ক্রিস্টাল দিয়ে নির্মিত মসজিদটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ।
দিনের বেলা মসজিদের সৌন্দর্য দেখতে যতটা সুন্দর লাগে, রাতের বেলা সৌন্দর্য যেন বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। মসজিদটির কিছু অংশ সমুদ্রে আর কিছু অংশ স্থলে হওয়ায় আশপাশে সৃষ্টি হয়েছে এক নৈসর্গিক পরিবেশের। পানির মাঝে অবস্থান হওয়ায় মসজিদের চারপাশ বেশ খোলামেলা। চারপাশে এই খোলা জায়গার জন্য বিকেলের দিকে যখন ক্রিস্টাল মসজিদে সূর্যের আলো পড়ে তখন প্রতিটি কাচের আলো প্রতিফলিত হয় পানিতে। আর রাতে মসজিদের রঙিন আলো যখন পানিতে পড়ে তখন সে দৃশ্যের বর্ণনা যেন অপরূপ অন্য সকল স্থাপনাকেও হার মানায়। কংক্রিট আর কাচ দিয়ে বানানো বলে মসজিদের ভেতরে আরামদায়ক তাপমাত্রা বজায় থাকে। এই মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার আছে। মিনারগুলোও নির্মিত হয়েছে স্বচ্ছ ক্রিস্টাল দিয়ে। যার জন্য মসজিদের ভেতরের দৃশ্য বাহির থেকে দেখা যায়। মসজিদের ভেতরে রয়েছে তারবিহীন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রডব্যান্ড সংযোগ। ফলে মুহূর্তে ইমাম সাহেবের ওয়াজ ও খুতবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
২০০৬ সালে মালয়েশিয়ার রাজা এই মসজিদ নির্মাণের আদেশ দেন। ২০০৮ সালে মুসল্লিদের নামাজের জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ মুসল্লি। মালয়েশিয়ার ক্রিস্টাল মসজিদটি মূলত ঐতিহ্যগত ইসলামিক স্থাপত্য ও আধুনিকতার বৈশিষ্ট্য নিয়েই নির্মিত।
পেনাং মসজিদ
মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে অবস্থিত ভাসমান আরেকটি মসজিদের নাম পেনাং মসজিদ। এই মসজিদের আরেক নাম তানজুং বুনগাহ মসজিদ। এটি মালয়েশিয়ার প্রথম ভাসমান মসজিদ। একে ভাসমান বলা হলেও মসজিদটি আসলে কাঠের ওপর নির্মিত। জোয়ার এলে এই মসজিদকে পানিতে ভাসমান মনে হয়।
মধ্যপ্রাচ্য এবং আধুনিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে নির্মিত হয়েছে মসজিদটির মিনার। মসজিদে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন ১ হাজার ৫০০ মুসল্লি। মসজিদটি শুরুতে এত বড় ছিল না। ১৯৬৭ সালে এই এলাকায় একটি ছোট মসজিদ নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৭ সালে জায়গা বড় করে ৫০০ মুসল্লির নামাজ পড়ার মতো ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের নামাজের জায়গাও কমতে থাকে। মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে মসজিদে সব মুসল্লিকে জায়গা দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তখনই পানির মাঝে এই মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব আনা হয়। ২০০৩ সালে মসজিদটির আবারও নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হয় ১৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে এটি মুসল্লিদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সূত্র : আমাদের সময়