সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থেকে বিশ্বের সব মুসলিম রোজা রাখেন। রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ বা অত্যাবশ্যকীয়। এই মাসটিতে রোজা না রাখলে গুণাহর খাতা ভারী হতে থাকে।
তবে গ্রিনল্যান্ড ও আলাস্কার মতো বিশ্বের এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে কখনো সূর্যাস্ত হয় না। যদিও আল্লাহর নির্দেশ রয়েছে, সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় দেখে রোজা রাখতে। তাহলে ওই স্থানের মানুষ কীভাবে কোন হিসেবে রোজা রাখেন?
ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন’-এর তথ্য অনুযায়ী, গ্রিনল্যান্ড ও আলাস্কার মতো জায়গা যেখানে কখনো সূর্য অস্ত যায় না, সেখানকার মানুষদের মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবের সময় দেখে রোজা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইসলামিক স্কলাররা। কারণ মক্কা হলো ইসলামের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান এবং সৌদি আরবেই শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাজিল হয়েছে পবিত্র কোরআন।
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারের মতো দেশের মুসল্লিরা এবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা রোজা রাখবেন।
অপরদিকে এ বছর সবচেয়ে বেশি ১৭ দশমিক ৫ ঘণ্টা রোজা রাখবেন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলেনস্কির বাসিন্দারা। আর সবচেয়ে কম ১১ দশমিক ৫ ঘণ্টা রোজা রাখবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মুসলিমরা।
পৃথিবী বাঁকা ও সূর্যের অবস্থানের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় দিন ও রাতের সময়ের মধ্যে পার্থক্য থাকে। তাই বিশ্বের মুসল্লিরা ভিন্ন ভিন্ন সময়— কেউ কেউ ১৭-১৮ ঘণ্টা। আবার কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি রোজা রাখেন। বাংলাদেশে এবার প্রথম রোজার দিনের ব্যাপ্তি হবে ১৩ ঘণ্টা।