যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের ইমার্জেন্সি মেডিসিন বা জরুরি বিভাগ শিক্ষা দিয়ে ফেলোশিপ সার্টিফিকেট দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ২৯ জুন থেকে প্রথমবারের মতো এই এক বছর মেয়াদি এমন কর্মসূচি চালু হচ্ছে।
কর্মসূচিটি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, গত ১০ বছরের অধিক সময় থেকে কিছু প্রবাসী চিকিৎসক এবং দেশের চিকিৎসকেরা ইমার্জেন্সি মেডিসিনকে দেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও বারডেম হাসপাতালে প্রায় আটটা বার্ষিক তিন দিনের সেমিনার ও প্রশিক্ষণ দিয়ে এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিন গঠন করে বিভিন্নভাবে বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করার জন্য চেষ্টা করে আসছেন।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার নতুন উদ্যোগ ‘পেন গ্লোবাল ইমার্জেন্সি মেডিসিন প্রোগ্রাম’-এর আওতায় অন্যান্য দেশের মতো এই আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেট প্রদান করে বাংলাদেশে ইমার্জেন্সি মেডিসিন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বছর মেয়াদি এই প্রশিক্ষণ প্রতি সপ্তাহে জুমের মাধ্যমে পাঁচ ঘণ্টা এবং বছরে পাঁচবার দুই সপ্তাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অধ্যাপকেরা এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ দেবেন। বছর শেষে একটি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণদের আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে।
কর্মসূচির পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক আবদুল হানিফ, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করবেন যুক্তরাজ্য থেকে আসা ইমার্জেন্সি মেডিসিনের উচ্চ শিক্ষাপ্রাপ্ত মোহাম্মদ সাদউদ্দিন আহমেদ, সহকারী প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ঢাকা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ খান ও সহকারী অধ্যাপক ফেরদৌস।
প্রোগ্রামের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ টিটু মিয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আহমেদুল কবীর ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী। আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক জিয়াউদ্দিন আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক নাহরীন আহমেদ এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব ইমার্জেন্সি মেডিসিনের উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলম।